ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

সতেজ সাজে সারা বেলা

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
সতেজ সাজে সারা বেলা
মডেল: রিবা, পোশাক: কে-ক্র্যাফট ও ইয়াংকে মেকআপ: শোভন মেকওভার,ছবি: শরিফ মাহমুদ

ক্লাস কিংবা অফিস শেষে অনুষ্ঠানে গেলেও নিজের সাজে থাকবে সতেজ ও স্নিগ্ধতা। এখন মিনিমাল মেকআপের ট্রেন্ড চলছে। উৎসবের দিনে ও মুখভর্তি মেকআপ করতে পছন্দ করেন না। সকালের সাজেই থাকতে চান সারা দিন প্রাণবন্ত। কাজের সময় সাজটা আরামদায়ক না হলে সাজ আর কাজ দুটিই মাটি হবে। সাজে নিজেকে সতেজ, প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় লাগে, সেটাই বেছে নিতে হবে। রূপবিশেষজ্ঞ শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে সারা দিনের সতেজ সাজ নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি।

মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী রাখার প্রথম শর্তই হলো ত্বককে ঠিকভাবে প্রস্তুত করে নেওয়া। সাজ দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ উপায় হলো মুখ ভালোভাবে ধুয়ে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন। ভালো করে মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখে ও গলায় ভালোভাবে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগিয়ে নিন। এরপর ভেজা পাফের সাহায্যে মুখে কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। সব শেষে ফিক্সিং স্প্রে দিয়ে সারা মুখে স্প্রে করুন। দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে থাকার বেইজ মেকআপ শেষ। চোখে একটু কাজল কিংবা লাইনারের রেখা দিয়েই সাজ শেষ করে অফিস বা ক্লাস করতে পারেন। বর্তমানে কমবেশি সবার ব্যাগে মেকআপ আইটেমগুলো থাকে। অফিস কিংবা ক্লাস থেকে বের হওয়ার আগে দিয়ে নিজেকে আরেকবার টাচআপ করে নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রাখুন। ঠোঁট বা চোখের সাজে বেশি গুরুত্ব দিতে সাজতে হবে।

এখন চোখের সাজে ট্রেন্ডি স্মোকি আই। খুব সহজে কেবল কাজল বা কালো আইশ্যাডো দিয়ে স্মোকি আই করা যায়। অথবা পোশাকের সঙ্গে মিক্স বা ম্যাচ করে আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। মুখে ব্লাশঅন বা হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে পারেন নিজের পছন্দমতো। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে বা কনট্রাস্ট করে লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে নিতে পারেন। স্কারলেট রেড, ব্রাউন, পার্পেল, চকলেট এবং পিংক রং বেছে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন চোখের সাজ ভারী হলে ঠোঁটের সাজ যেন হালকা হয়। কপালে রাখুন ছোট টিপ। তবে সব ধরনের মেকআপ কিট পানিনিরোধক হওয়া জরুরি।

চুলের ক্ষেত্রে সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে চুল ব্লো করে খোলা রাখতে পারেন বা হালকা ডিজাইন করে বেণি করতে পারেন। শাড়ি পরলে খোঁপাই ভালো। এ ছাড়া চুল ছেড়ে রাখতে পারেন। সব চুল কার্ল করে তাতে ইচ্ছামতো হেয়ার স্টাইল করতে পারেন সব উপলক্ষেই এই সাজ মানানসই। তবে যেভাবে আরাম মেলে, সেভাবেই রাখা ভালো।

পোশাকের ক্ষেত্রে কোন ধরনের পোশাকে স্বস্তি পাবেন সেটাই আগে বেছে নিতে হবে। সঙ্গে অফিস পরিবেশ ও স্টাইল- দুটোতেই দিতে হবে মনোযোগ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে যে পোশাকটি পরা হয়, সেটা যেন একঘেয়ে না হয়ে যায়, আবার সহজে অনুষ্ঠানে পড়ালে মানিয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ পোশাকে নতুনত্ব যোগ করে নকশা করেছে যাতে সহজে অফিস ও বাহির- দুদিকেই সামাল দেওয়া যায়। পোশাকের সঙ্গে মানানসই স্টাইলিশ জুতার ব্যবহার আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

সব জায়গায় নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায়, এমন জুতা পরা উচিত। পোশাক ও পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে জুতা না পরলে বেমানান দেখায়। বর্তমানে বাহারি লেডিস স্লিং ব্যাক স্যান্ডেল ট্রেন্ডে আছে। অফিসে থেকে অনুষ্ঠানে জন্য বেছে নিতে পারেন সিনথেটিক টাচের ফেন্সি হিলগুলো। যা খুব সহজেই আপনাকে এনে দেবে আকর্ষণীয় লুক।

সব সময় নির্বাচন করুন মানানসই এবং ছোট আকৃতির গয়না। গয়না নিজস্ব সৌন্দর্যকে যেন ঢেকে না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের স্বকীয়তা ফুটিয়ে তুলতে রুপা, মেটাল, মুক্তা, পাথরের মিনিমালিস্ট জুয়েলারি বেছে নিন। সব ধরনের পোশাকের ক্ষেত্রে এগুলো ভালো মানায়। কামিজ বা কুর্তির ক্ষেত্রেও একই বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ফরমাল স্যুটের সঙ্গে কানে ছোট দুল ছোট লকেটের চেইন নেকলেস বেশি পরতে দেখা যায়। এ ছাড়া গলায় পরে নিতে পারেন চেইন নেকলেস, হাতে চেইন ব্রেসলেট।

কলি