বিশ্ব ইজতেমা শুরু আগামীকাল, মুসল্লিদের স্রোত ময়দানের দিকে । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমা শুরু আগামীকাল, মুসল্লিদের স্রোত ময়দানের দিকে

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
বিশ্ব ইজতেমা শুরু আগামীকাল, মুসল্লিদের স্রোত ময়দানের দিকে
ছবি : খবরের কাগজ

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা যানবাহনে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশ্ব ইজতেমায় কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে ইজতেমা ময়দানে একজন ও ময়দানে আসার পথে টঙ্গীতে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লির নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বাংলাদেশে আগমন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তার অনুসারীরা।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানিয়েছেন, ইজতেমা পরিচালনা করার জন্য ময়দানসহ সবকিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা মঙ্গলবার রাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। 

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে।

জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: র‌্যাব
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার প্যাট্রোলিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করেছি।’ গতকাল টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ফেসবুকে অপপ্রচারে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার ময়দান এবারও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ অপপ্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

দুই মুসল্লির মৃত্যু
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসার পথে ইউনুছ মিয়া (৬০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সফরসঙ্গী মজিবুর রহমান বলেন, ‘সকালে (বুধবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ২৩ জন মুসল্লি নিয়ে ইজতেমার উদ্দেশে রওনা হই। টঙ্গীর কাছাকাছি আসার পর আমাদের সাথি ইউনুছ মিয়া দুবার বমি করে বাসের সিট থেকে হেলে পড়েন। টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ অন্যদিকে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা জামান (৪০) নামে আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তার মৃত্যু হয়। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চৌহরদিটোলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।

মৃতের সঙ্গী মুসল্লি জনি জানান, মাগরিবের নামাজের পর খেদমতের (রান্নার) কাজ করছিলেন জামান। কিছু সময় পর তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গের মুসল্লিরা দ্রুত তাকে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহানা তাসনিম জানান, মৃত অবস্থায় ওই মুসল্লিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

মাওলানা সা’দের আগমন নিশ্চিতের দাবি অনুসারীদের
বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনার জন্য দিল্লির নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বাংলাদেশে আগমন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সাধারণ মুসল্লি পরিষদ। আগামী ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে তার অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন অনুসারীরা। গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। 

২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত উদ্ধারে নৌ বাহিনীর জাহাজ বলবান ও সোয়াড

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
উদ্ধারে নৌ বাহিনীর জাহাজ বলবান ও সোয়াড
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানাধীন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটির প্রশিক্ষণরত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে কর্ণফূলী নদীর চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে। এ ঘটনায় এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরেক পাইলট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল তিনটা থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে নৌবাহিনী। উদ্ধারের অংশ নিয়েছে নৌবাহিনীর উদ্ধার জাহাজ বলবান ও বিশেষ টিম সোয়াড।

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়া স্থানটি কর্ণফুলী নদীর জাহাজ চলাচলের চ্যানেল হওয়ায় ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বিকাল ৩টা থেকে ডুবুরি, স্পিডবোট, উদ্ধারকারী জাহাজ, ট্রলার, চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ধার জাহাজ ঘটনাস্থালে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। বিধ্বস্ত হওয়া স্থানে নদীর গভীরতা ৩০ থেকে ৩৫ ফুট গভীর। ফলে নদীর জোয়ার ও ভাটার স্রোতের কারণে উদ্ধার কাছে বিঘ্ন ঘটছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ওয়াইএকে-১৩০ রাশিয়ান) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব এর কাছে ১১নং ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের বিপরীত পাশে এইচ এম স্টিল ফ্যাক্টরির সামনে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। তখন বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাশুট দিয়ে নেমে যান।

ওই বিমানে উইং কমান্ডার সুহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ নামে দুইজন পাইলট ছিলেন। আহত উইং কমান্ডার সুহান জহুরুল হক ঘাটির মেডিকেল স্কোয়ার্ডন (এসকিউএন) এ চিকিৎসাধীন আছেন।

অপরদিকে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদকে গুরতর আহত অবস্থায় বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ চট্টগ্রাম বিমান বাহিনী ঘাটি জহরুল হক অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমা-এ ১ ভবনে বাস করতেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আমানউল্লাহ।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলীম আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে অবতরণের সময় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানে থাকা দু'জন পাইলট প্যারাশুট দিয়ে বিমান থেকে নেমে গেছেন। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সদরঘাট নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্ল্যাহ খবরের কাগজকে বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পাইলটের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতসহ আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বলবান ও সোয়াডের উদ্ধার তৎপরতা 

নৌবাহিনীর উদ্ধার জাহাজ বলবান ও বিশেষ প্রশিক্ষণ টিম সোয়াড বেশ কয়েকটি স্পিডবোট, ট্রলার ও ডুবুরি দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। বিকাল ৩টা থেকে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি যে স্থানে কর্ণফুলিতে পড়েছে সেই জায়গায় একটি বয়া দিয়ে চিহ্নিত করেছে নৌবাহিনী। যাতে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সুবিধা হয়, সে জন্য এ ব্যবস্থা করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ বন্ধ হবে না। কারণ চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচলে চ্যানেলেই এ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি উদ্ধার না হলে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই রাতেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে শুক্রবার দিনেও উদ্বার কাজ চালানো হবে।

এদিকে , চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালেরে এলাকার বরাবর আনোয়ার অংশের দিকে কর্ণফুলীতে পড়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি। যা আকাশে আগুন ধরে বিধ্বস্ত হয়ে দুই টুকরা হয়ে যায়। উদ্ধার কাজ চলাকালীন সময়ে বিমানের একটি পাখার অংশবিশেষ পাওয়া গেছে। যা বিমানের পাখার অতি ছোট একটি অংশ।

উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার ছিল। উদ্ধার কাজ চালানোর সময় ভাটা। পানির গভীরতা কমার জন্য অপেক্ষায় ছিল উদ্ধারকারী দল। জোয়ারে এবং ভাটায় একশ থেকে দুইশ মিটার দূরে চলে যেতে পারে বিধ্বস্ত বিমানটি।

সরেজমিনের দেখা যায়, কর্ণফুলী মাঝ বরাবর একটি নীল রংয়ের বয়া স্থাপন করা হয়েছে। যা দিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানকে নির্ণয় করা হয়েছে। এর চারপাশ ঘিরে নৌবাহিনীর উদ্ধার জাহাজ, স্পিডবোট, ট্রলার অবস্থান করছেন। পানির গভীরের বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে শব্দের মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয়ের কাজ করছেন নৌবাহিনীর টিম। ঘটনাস্থলে বিমান বাহিনী, সেনার বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অবস্থান করছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনার পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

 

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ হস্তান্তর

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ হস্তান্তর
ছবি : বাসস

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন। একই সঙ্গে গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিনও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই সূত্র অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম বিশেষত রেডি টু কুক ফিশ কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন। তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি টু কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি দূরদর্শী দিকনির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ৪০ প্রজাতির মাছ রেডি টু কুক হিসেবে স্থায়ীভাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরে বিপণন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের ১৬টি স্পটে ৬টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে বিএফডিসি রেডি ফিশ বাজারজাত করা হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ স্পটগুলো হলো-১. মিরপুর ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড, ২. বনানী, নেভী হেডকোয়ার্টার ও গুলশান (আজাদ মসজিদসংলগ্ন), ৩. সচিবালয়ের দক্ষিণ গেট, ৪. মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর, ৫. স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, ৬. মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর, ৭. ধানমন্ডি ৬ নম্বর, ৮. আজিমপুর কলোনি, আজিমপুর, ৯. লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন, ১০. সচিব কোয়ার্টার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার), ১১. দুদক অফিসসংলগ্ন, সেগুনবাগিচা, ১২. এজিবি কলোনি, মতিঝিল, ১৩. শংকর, ধানমন্ডি, ১৪. সেচ ভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার), ১৫. ধানমন্ডি ২৮ এবং ১৬. মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতালসংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।

এ ছাড়া অনলাইন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ বাজারজাত করা হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. গোলাম রব্বানী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইনে জুয়া, বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন বন্ধ চায় টিআইবি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
অনলাইনে জুয়া, বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন বন্ধ চায় টিআইবি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দেশে অনলাইন জুয়ার ব্যাপক বিস্তারে মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বন্ধ করতে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

অনলাইনে জুয়ার ব্যাপক প্রসার ও এর মাধ্যমে অর্থ পাচারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনলাইন জুয়া বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো ভিন্ন মোড়কে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে অনলাইন জুয়ার নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এ-সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ ও জুয়া প্রতিরোধ আইন পাসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনের যেকোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ হলেও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়ার প্রচার ও প্রসার চলছেই। মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যমে আইপিএল, বিপিএলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা সম্প্রচারসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেটিং সাইটের চটকদার বিজ্ঞাপন ভিন্ন মোড়কে বা ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি এ বছরের বিপিএলের একটি দলের জার্সিতে জুয়ার ওয়েবসাইটের সারোগেট বিজ্ঞাপনও দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘চরম উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, দেশে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনের মহোৎসব চলছে। আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুধু মুনাফার লোভে দেশকে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কোনোমতেই দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে না। ইদানীং শহরের বিভিন্ন বিলবোর্ডেও অনলাইন জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতে দেখা যাচ্ছে। গত বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন; বিশেষ করে স্পোর্টস চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপনের রমরমা প্রচার চলছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

টিআইবি মনে করে, শুধু অনলাইন জুয়ার মাধ্যমেই দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা আরও বড় উদ্বেগের বিষয়। গণমাধ্যম ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে গ্রামসহ সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সমাজ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর মাধ্যমেই বিপুল অঙ্কের টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ই-ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার হয়।

আবারও মিল্টনকে রিমান্ডে আনা হবে: হারুন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
আবারও মিল্টনকে রিমান্ডে আনা হবে: হারুন
ডিএমপি'র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার তার বিরুদ্ধে ওঠা অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন। সব তথ্য আদায়ে আবারও তাকে রিমান্ডে আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবির প্রধান কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ৯০০ নয় ১৩৫ মরদেহ দাফনের কথা স্বীকার করেছে। সে এই মরদেহগুলোর কোন খোঁজ দিতে পারেনি। এটা একটা ভয়ানক অপরাধ।

মিল্টন সমাদ্দারকে আবারও রিমান্ডে আনা হবে জানিয়ে ডিবি হারুন বলেন, যারা তাকে মদদ দিয়েছে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদে করা হবে। প্রয়োজনে তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবি হারুন বলেন, রিমান্ডে সে ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরির কথা স্বীকার করেছে।‌ অপারেশন থিয়েটারে রাখা হতো না, নিজেই ব্লেড ও ছুরি দিয়ে অপারেশন করতো। যার ফলে রক্তক্ষরণে কয়েকজন মারাও গেছে। আশ্রমের আশ্রিতদের নির্যাতনের কথাও সে স্বীকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তার কাছে নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাদের জানিয়েছে, যখন নির্যাতন করতো তার আগে ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকত না। এই কাজটি করা ঠিক হয়নি বলেও রিমান্ডে মিল্টন স্বীকার করেছে।

খাজা/এমএ/

আগে দিল্লি, তারপর বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
আগে দিল্লি, তারপর বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের চলমান নির্বাচনের পর নয়াদিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেইজিং সফরে যাবেন নয়াদিল্লি সফরের পর।

সফররত ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা জানান।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দিল্লি আমাদের কাছে। বেইজিং একটু দূরে।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সফর কখন হবে, সেটা ঠিক হবে। অনেক আগে থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা রয়েছে। তাদের সেখানে যেহেতু নির্বাচন, সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে, তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা হচ্ছে, জুনের শেষ দিকে তিনি দিল্লি সফরে যাবেন।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা গতকাল বুধবার (৮ মে) রাতে ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।