গৃহকর্মী শিশুদের সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়ন জরুরি । খবরের কাগজ
ঢাকা ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
MIAH - Largest Traditional Online Shop

গৃহকর্মী শিশুদের সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়ন জরুরি

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
গৃহকর্মী শিশুদের সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়ন জরুরি
ছবি : সংগৃহীত

গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা জানান, দেশে অন্তত ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের প্রতিনিয়ত মারধরসহ নানা ধরনের নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট আইনই এসব শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা এবং উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় ও এডুকো বাংলাদেশ আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শিশুশ্রম বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহকর্মে নিয়োজিত অনেক শিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কারও আশ্রয় হয়েছে যৌনপল্লিতে, অনেকেই নানা অপরাধে জড়িয়েছে। তাই সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। ১২ বছরেও আমরা শিশু অধিকার ও সুরক্ষা আইন করতে পারিনি, এটা দুঃখজনক। তবে আমরা শিগগিরই আইন প্রণয়ন করতে সরকারের কাছে একটি খসড়া তুলে ধরব।’ এ ছাড়া শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়, সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব খোন্দকার মো. নাজমূল হুদা শামিম বলেন, ‘সারা দেশে শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করছে শ্রম মন্ত্রণালয়। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ইতোমধ্যে চারটি প্রকল্পের আওতায় চার লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ 

সংলাপে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ অনুসারে ১৪ বছর বয়সের নিচে কোনো শিশুকে গৃহকর্মে নিয়োগ করা যাবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ১২ বছর বয়সী শিশুদেরও গৃহকাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে, যদি কাজটি তার জন্য ক্ষতিকারক না হয় অথবা এর ফলে তার শিক্ষা গ্রহণ বাধাগ্রস্ত না হয়। এই নীতি অনুসারে গৃহকাজে শিশুর নিয়োগদাতা ও অভিভাবকের মধ্যে অবশ্যই চুক্তি থাকতে হবে, যেখানে নাম, ঠিকানা, কাজের ধরন, মজুরি, কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম, সাপ্তাহিক ছুটি, শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। কিন্তু এতে দেখা যায়, শিশু গৃহকর্মীদের বয়স নির্ধারণের বিষয়টি শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শ্রম আইনানুসারে শিশুশ্রমের বয়সসীমা ১৪ বছর; অথচ গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় ১২ বছর বয়সী শিশুরাও কাজ করতে পারবে। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম-সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন নং ১৮২ অনুস্বাক্ষর করেছে। তারই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের মার্চে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করে। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৪৩টি কাজ শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু গৃহকাজে শিশুশ্রম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। গৃহকর্মীদের অধিকার-সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আইনের বিধিবিধান থেকে এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর অধীনে গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। গৃহকর্মী শিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ এর আলোকে দ্রুত আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। 

সংলাপে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এএসডির কর্মসূচি পরিচালক মো. হামিদুর রহমান। তার সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক কাজী আরফান আশিক, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী রফিক, এডুকোর ম্যানেজার আফজাল কবির খান, লেবার ফাউন্ডেশনের মিতু খাতুন, এএসডির ফিরোজা আক্তার শম্পা প্রমুখ। মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ সরফুদ্দিন খান।

গাড়িতে অবৈধ স্টিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অভিযান

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম
গাড়িতে অবৈধ স্টিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অভিযান
ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন ধরনের গাড়িতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিভিন্ন বাহিনী, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও বিভিন্ন পেশার স্টিকার বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এসব স্টিকার ব্যবহার করত: ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করতে না পারা এবং অপরাধ করতে না দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর পুলিশ কমিশনার ডিএমপির সকল ট্রাফিক বিভাগ ও অপরাধ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

গাড়িতে বিধিবহির্ভূত স্টিকার ব্যবহার প্রতিরোধ করতে বুধবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ ডেমরা স্টাফ কোয়াটার এলাকার সুলতানা কামাল ব্রিজসংলগ্ন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। অভিযানস্থলে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সদস্যদেরকে তিনটি টিমে ভাগ করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পুলিশের স্টিকার ব্যবহারকারী গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের এডিসি সুলতানা ইশরাত জাহান। অন্যান্য সকল গাড়িসমূহের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্ব দেন এসি (ট্রাফিক-ডেমরা জোন) মো. মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস। বিভিন্ন স্টিকার ব্যবহারকারী হোন্ডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল কুমার পাল। অভিযানে সার্বিকভাবে ডিসি ওয়ারী মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এর পক্ষে সহায়তা করেন ডেমরা থানার ওসি জহিরসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। অভিযান চলাকালীন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমগ্র অভিযানে প্রায় ৫০টি গাড়ির স্টিকার ব্যবহারের বৈধতা যাচাই-বাছাই করা হয়। ২৫টি গাড়ি সার্বিক বিবেচনা সঠিক থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ২৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণকৃত ২৫টি গাড়ির মধ্যে ২টি গাড়িকে আটক করা হয় এবং ২৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম জানান, গাড়িগুলো যে স্টিকার ব্যবহার করছে সেই স্টিকার এর পদধারী ব্যক্তি গাড়িতে উপস্থিত না থাকায় এবং গাড়ির মালিকানা সঙ্গে যার স্টিকার ব্যবহার করা হচ্ছে তার নামের সাদৃশ্য না থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আজকে অভিযানে আরও লক্ষ্য করা যায় যে, প্রেসের স্টিকার ব্যবহারকারী ব্যক্তি প্রেসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, মূল প্রেসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচিত বা আত্মীয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোন প্রেসের সঙ্গে কাজ করছেন তার আইডি কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। টিভি চ্যানেলের স্টিকার এর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে স্টিকার ব্যবহারকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলের ব্যক্তির পরিচিত। মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোন এক সময় চুক্তিভিত্তিক ভাড়া ছিল, এখন আর নেই। সেই স্টিকার এখনও ব্যবহার করছে। আবার বিভিন্ন বাহিনীর বিভিন্ন প্রকল্প বা সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ছিল বিধায় গাড়ির স্টিকার ব্যবহার করত। এখন আর কোন তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরেও তারা সেই স্টিকার ব্যবহার করে যাচ্ছে। কয়েকদিনের অভিযানে এরকম ঘটনা দেখা গিয়াছে। পুলিশের স্টিকার এর ক্ষেত্রে একইভাবে লক্ষ্য করা যায় যে পরিচিত পুলিশ সদস্যদের নাম ব্যবহার করে তারা গাড়িতে পুলিশ স্টিকার ব্যবহার করছে।

সর্বোপরি এ ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে রাস্তায় কর্মরত ট্রাফিক সদস্যদেরকে মানসিকভাবে চাপের চেষ্টায় রাখা যাতে তারা কাগজপত্র চেক না করেন। পাশাপাশি থানার গাড়ি যাতে তাদের গাড়ি চেক না করেন। অভিযানে ডেমরা থানা সদস্যগণ সন্দেহভাজন গাড়িগুলো চেক করেন। পাশাপাশি তারা ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সদস্যগণের মাঠ পর্যায়ের নিরাপত্তা প্রদান করেন। অবৈধ স্টিকার এর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলবে বলে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মো. আশরাফ ইমাম জানান।

আবার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
আবার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

শারীরিক জরুরি কিছু পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

এর আগে, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২ দিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্টসহ নানা রোগে ভুগছেন

সবুজ/এমএ/

বিএফইউজে-ডিইউজের আলোচনা সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি
ছবি : সংগৃহীত

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিয়ে কর্মহীন সাংবাদিকদের কাজের নিশ্চয়তা বিধান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বিএফইউজে ও ডিইউজে আজ মহান মে দিবস পালন করছে।

এ উপলক্ষে বুধবার (১ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, শ্রমিকের রক্ত, শ্রম ও ঘামে গড়া আধুনিক সভ্যতা। কিন্তু আজ এই শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। সাংবাদিকরা আজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতীত। তিনি বলেন, কথায় কথায় আজ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কোনো প্রতিকার নেই। উল্টো রাষ্ট্র তাদের (নির্যাতনকারীদের) পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। কোন বিচার নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে একের পর এক কালাকানুন তৈরি করছে। বর্তমানে দেশে ৯টি আইন রয়েছে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। আরও ৩টি আইন চূড়ান্ত খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের বিষয়টি ধরলে এমন আইনের সংখ্যা হবে ১৩টি। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া বারবার দেখতে চাওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমের কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম-এর উপস্থাপনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী।

আলোচনায় অংশ নেন বিএফইউজের সহ সভাপতি খায়রুল বাশার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম দিদার, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিক লিটন, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মোদাব্বের হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবু হানিফ, আবুল হোসেন খান মোহন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য মো. আবদুল্লাহ মজুমদার, নির্বাহী সদস্য কাজী ফখরুল ইসলাম, ডিইউজের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডি এম আমীরুল ইসলাম অমর, বাবুল তালুকদার, এম এ মোনায়েম, সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই,মানুষের ভোটাধিকার নেই। মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নেই। ন্যায়বিচার নেই। ভাতের ব্যবস্থা নেই। বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা নেই। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র জগতে ওয়েজবোর্ডের কোনো বালাই নাই। অধিকাংশ পত্রিকায় নবম ওয়েজবোর্ডতো দূরে থাক ৭ম, অষ্টম ওয়েজবোর্ডও কার্যকর হয়নি। সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, দিনকাল বন্ধ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে আগে ৪টি পত্রিকা বাদে সব বন্ধ করা হয়েছিল। আর এখন সব মিডিয়া তাদের নিয়ন্ত্রণে।

প্রধান বক্তা কাদের গনি চৌধুরী বলেন, মে দিবস হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর শ্রমজীবী সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনা করার দিন। শ্রেণি-বৈষম্যের বেঁড়াজালে যখন তাদের জীবন বন্দি ছিলো তখন মে দিবসের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে যায় তাদের শৃঙ্খল। এ ফলে আস্তে আস্তে লোপ পেতে লাগলো সমাজের শ্রেণি-বৈষম্য। পুঁজিবাদের দুর্বল দিকগুলোকে পুঁজি করা অবৈধ অর্থলোভীদের আগ্রাসী দংশন থেকে রেহাই পেলো কোটি কোটি শ্রমিক। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ গোটা বিশ্বকে উপহার দিলো এই মে দিবস।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই অধিক। কিন্তু এই শ্রমজীবী মানুষেরা এখনো তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। বন্ধ হয়নি শ্রমিক শোষণ। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে যেসব শ্রমিক কাজ করেন, তারা সবচেয়ে বেশি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের এখনো আট ঘন্টার চেয়ে অনেক বেশি সময় কাজ করতে হয়। সে অনুযায়ী তাদের মজুরি ও বেতন-ভাতা নেই। আবার অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বাড়তি সময় কাজ করিয়ে নিলেও ন্যায্য মজুরি দেয়া হয় না। এটি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি তিনটি। কৃষি,গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স। এই তিনটিই পরিচালিত হচ্ছে শ্রমিকদের দিয়ে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান শ্রমিকদের। অথচ আজ সেই শ্রমিকরা আজ শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত।

বিএফইউজে মহাসচিব, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সকল শ্রমিকের জন্য বীমা চালু, কর্মক্ষেত্র কর্মঘন্টা ৮ ঘন্টা নিশ্চিত করা, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক ও শ্রমিক হত্যার বিচার, সাংবাদিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার, সকল গণমাধ্যমে নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে মহান মে দিবস পালিত হচ্ছে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেদিন তারা ৮ ঘন্টা কর্মঘন্টার দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তাদের দাবি তারা আদায় করছিলো। কিন্তু বাংলাদেশে শ্রমিকদের বেলায় তা পালন করা হচ্ছে না। দেশে রাষ্ট্রীয় ও প্রাকৃতিক দুইধরনের বিপর্যয় বিদ্যমান। কোনো জনপথের শাসক জালেম হলে, তখন এরকম বিপর্যয় নেমে আসে। আমাদেরকে মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আমরা শিঘ্রই বসে একটি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবো।

জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও সর্বজনীন রেশন প্রথা চালুর দাবি টিইউসি’র

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও সর্বজনীন রেশন প্রথা চালুর দাবি টিইউসি’র
ছবি : সংসৃহীত

স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠন করে জীবন-ধারণ উপযোগী মজুরি ঘোষণা ও সর্বজনীন রেশন প্রথা চালুর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) নেতারা ৷

বুধবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মহান মে দিবসের সমাবেশ ও আলোচনায় তারা এ দাবি জানান ৷

টিইউসির সহ-সভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে ষোষণাপত্র পাঠ করেন টিইউসির দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টিইউসির অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইদ্রীস আলী, ঢাকা মহানগর নেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, হাদিউল ইসলাম, সেকেন্দার হায়াত, মেহেদি হাসান নোবেল, হুমায়রা বেগম ৷

সমাবেশে নেতারা বলেন, দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ এখনো পরিবার পরিজনসহ জীবন-ধারণ উপযোগী মজুরি ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ অন্যান্য সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। কর্মস্থলে তাদের চাকরির নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি এখনো।

টিইউসি নেতাদের অভিযোগ, গত কয়েকবছর ধরে মুক্তবাজার অর্থনীতির দাপট এবং মুনাফাখোর ফরিয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কারসাজিতে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে৷ এখন অবস্থা এমন যে শ্রমিক কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

পাশাপাশি শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিক হত্যার বিচারও দাবি করেন ৷

জয়ন্ত/এমএ/

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গ্রেনেড পাওয়া গেছে

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গ্রেনেড পাওয়া গেছে
মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে গ্রেনেড পাওয়া স্থান। ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে একটি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। গ্রেনেডটি অনেক পুরোনো বলে জানাগেছে।

বুধবার (১ মে) বিকালে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে এ গ্রেনেড পাওয়া যায়।

 গ্রেনেডটি কে বা কারা রেখেছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায় নি।