![পদ্মা সেতু দিয়ে স্বস্তিতে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ](uploads/2024/04/15/1713160519.Padma-Bridge.jpg)
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলেছে সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষ হওয়ায় কর্মস্থলে যোগ দিতে ভোর থেকেই পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন।
সকালে শরীয়তপুর জাজিরা পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের তেমন কোন চাপ দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে মোটরসাইকেলের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
যাত্রী ও চালকরা জানান, ভোগান্তি আর ঝামেলা ছাড়াই এবার ঈদ শেষ করে ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন তারা। পদ্মা সেতু তাদের জীবনের যোগাযোগের আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে।
তবে, বাড়তি ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ঈদ বকশিশের কথা বলে বাসগুলো বাড়তি টাকা আদায় করেছে বলে জানান তারা।
রাজবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে আসা রুবেল জানান, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় আসতে অনেকটা পথ বেশি হলেও ফেরিপথ থেকে সময় কম লাগে। সহজে আসা যায়। তাই ঝামেলা ছাড়াই তিনি এবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার স্বস্তির কথা জানান।
বরিশাল থেকে আসা জুয়েল হোসেন জানান, আগে লঞ্চ দিয়ে ঈদ করতে বাড়িতে যেতেন। ঘন্টার পর ঘন্টা লঞ্চে বসে থাকতে হতো। এখন আর সেই ঝামেলা নেই। সহজেই অল্প সময় ঢাকা থেকে বাড়িতে ঈদ করতে আসতে পারছেন আবার চলেও যেতে পারছেন।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা কামরুজ্জামান বলেন, ‘আগে যখন ঈদের ছুটিতে আসতাম, তখন এই ঘাটে ফেরির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম। আর এখন পদ্মা সেতু খুব সহজেই বাড়িতে আসি, আবার ঢাকায় চলে যাই। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ম্যানেজার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ টাকা। মোট গাড়ি পারাপার হয়েছে ৩৪ হাজার ৯২৬টি।
রাজিব হোসেন/সাদিয়া নাহার/অমিয়/