![ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: ট্রাফিক ওয়ারী](uploads/2024/04/23/1713878103.buskk.jpg)
ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টায় ফিটনেসবিহীন এক হাজার ১৫৪ গাড়ি জরিমানা করে ৮৫ গাড়ি আটক করে গাড়িগুলো শ্যামপুর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে রাখা হয়। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভ্যন্তরে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। এছাড়া ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে।
সূত্র জানায়, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের এলাকার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলা, চট্টগ্রাম সিলেট এবং ঢাকা জেলার ১৭টি জেলাসহ মোট ৩৮টি জেলার যানবাহন এই বিভাগের মধ্য দিয়ে চলাচল করে।
মহানগরীর মধ্য দিয়ে ফিটনেসবিহীন বা ত্রুটিপূর্ণ যান চলাচলের কারণে সৃষ্ট যানজট এবং দুর্ঘটনা মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
গত তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ১৬৪টি বাস, ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজি ও হোন্ডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ (জরিমানা ব্যতীত) করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮১টি যানবাহন আটক করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন বা ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনগুলো চলাচলবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকলে মালিকের আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই মালিকরা রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট এবং অন্যান্য খাতে বিশাল অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নিচ্ছেন।
উল্লেখিত পাঁচটি খাতে মোট পাঁচটি বাস, একটি ট্রাক ও একটি সিএনজি সরকারি কোষাগারে (রাজস্ব খাতে) সর্বমোট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৩১ টাকা জমা দিয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ কাগজ ঠিক করতে যানবাহনের মালিকরা সরকারি কোষাগারে বা রাজস্ব খাতে টাকা জমা দেওয়াতে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
তুলি/এমএ/