ঢাকা ২ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ১৬ জুন ২০২৪

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি বলতে পারব না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ)’-এর ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

মোড়ক উন্মোচন শেষে বিএসআরএফ সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী। খবর বাসসের।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ও বিএসআরএফ-এর সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), বিএসআরএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিমসহ সংগঠনের অন্যরা।

ডিএফপির তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি ইতোমধ্যে কাজ করছি। বিষয়টি একটু জটিল। জটিল এই কারণে যে, সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফলটা আছে, তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে। সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়।

আরাফাত আরও বলেন, যারা সার্কুলেশনের কাজ করে তাদের নিয়ে আমি বসব। ফর্মুলাকে ফাইনটিউন করে একটি ফর্মুলা আনার যে সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রীত নাম্বারটা আমরা পাওয়ার ফর্মুলা বের করব। যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না। আমার কাছে আসল লিস্টটা যাতে থাকে। সব জায়গায় আমি এক ধরনের স্বচ্ছতা ও অবজেকটিভিটি আনার চেষ্টা করছি। আপনারা সবার সামনে যে বিষয়টি বলবেন, আমাকে একা পেলেও সেই কথাটিই বলবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দিই, তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। আমি কিন্তু একটি লিস্ট বানিয়েছি, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে। যেটি আমাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি এখন সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি।

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি বলতে পারব না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ, এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।

তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে, সেগুলোকে রেখে বাকি বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান আরাফাত।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রবিবার (১৬ জুন) ‘পবিত্র ঈদুল আজহা’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ শুভেচ্ছা জানান।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন আবশ্যক। পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। নানাবিধ যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সংঘাত-সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে ও বিনা চিকিৎসায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্বজনহারা বেদনায় গভীর শোক আর নিদারুণ কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা ও সমর্থন যোগাতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে হবে। কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আমি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হোক- এটাই সকলের কাম্য।

অমিয়/

ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সারা বছরই কমবেশি যানজট লেগে থাকে। ঈদের আগ মুহুর্তে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে যানজটও বাড়ে কয়েকগুণ। এই যানজট পাটগুদাম মোড় ছাড়িয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পার হয়ে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। 

তবে এবার পুলিশের তৎপরতায় যানজট ভয়াবহ না হালেও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়টি গলার কাটা হয়েই রয়ে গেছে। দুই মিনিটে পার হওয়ার মতো এই মোড়টি পার হতে চালকদের সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা।

রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত যানবাহন ব্রিজ মোড়ে আটকে আছে। কিছুক্ষণ পর পর দু’চার গজ এগোচ্ছে। 

শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জগামী গাড়িগুলো ব্রিজ মোড় পার হতেই দ্রুত যেতে পারছে। কারণ যাওয়ার পথে সড়ক ফাঁকা। তবে একই সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো নড়ছেই না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গাড়ির চাকা না ঘুরায় তারা বসে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।

পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে একটি বাসের যাত্রী খায়রুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কাজ হচ্ছে না। কারণ বেশিরভাগ গাড়ির চালক মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। ফলে মোড়টি যানজটমুক্ত হচ্ছে না।

শেরপুরগামী একটি বাসের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, মোড়টি পার হতে পারলেই পুরো সড়ক ফাঁকা। তবে এক ঘন্টাতেও মোড়টি পার হতে পারিনি। এ কারণে গাড়ির তেল বেশি পুড়ছে, যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।

কিশোরগঞ্জগামী বাসের চালক স্বপন মন্ডল বলেন, যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে পুলিশের চেষ্টার কমতি নেই। এ কারণে ব্রিজ মোড়ে যানজট থাকলেও বাকী সড়ক ফাঁকা। কিন্তু মোড়ে যানজট নিরসনে পুলিশ ব্যর্থ। অনেক চালক পুলিশের সামনে মোড়ে যাত্রী তুললেও পুলিশ কিছুই বলছে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন বহু যানবাহন সড়কে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবুও ঈদের আগে বরাবরের মতো গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় অন্য সব সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও পাটগুদাম ব্রিজ পর্যন্ত এসে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, মোড়ে পুলিশের চোখের সামনে কোনো গাড়িতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে না। তবে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি
ছবি : খবরের কাগজ

সারাদেশে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহার জামাতে কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।

জাতীয় ঈদগায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। 

এই ঈদ জামাতে মোকাব্বির হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক মূল ক্বারী হিসেবে প্রধান ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিবৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি রয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান এবং ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বায়তুল মুকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাত
প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, সকাল ৭টায় অনুষ্ঠেয় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ওই ৫টি জামাতের কোনটিতে ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।

অমিয়/

মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুর পৌনে একটার  দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতের নাম আলম হোসেন (৫০)। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার বটগ্রামে। তিনি নন্দীপাড়া এলাকায় থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। সকালে মালিবাগে পান-সুপারি কিনতে এসেছিলেনে তিনি।

খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মো. কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মালিবাগ রেলগেট থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।

অমিয়/

মায়ানমার পরিস্থিতিতে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
মায়ানমার পরিস্থিতিতে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের
ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার (১৫ জুন) সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মায়ানমার সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

রবিবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

এছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক রামু সেক্টর সদর দপ্তর, রামু ব্যাটালিয়নের (৩০ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/