ঢাকা ২ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ১৬ জুন ২০২৪

পানি ও স্যানিটেশন খাতে বৈষম্য, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
পানি ও স্যানিটেশন খাতে বৈষম্য, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। চর, হাওর, পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং নগরগুলোর মধ্যকার বরাদ্দ-বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাজেট-পূর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বৃদ্ধির হার ও উন্নয়ন বাজেটের সঙ্গে ওয়াশ খাতের বরাদ্দকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। শুধু ওয়াশ খাতের বরাদ্দ বাড়ালে হবে না, বরং আরও গুরুত্বসহকারে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রয়োজন, বিশেষ করে ওয়াশ খাতের বরাদ্দ এডিপি বৃদ্ধির আকারের সমানুপাতিক বা উচ্চতর হতে হবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য, পাবলিক প্লেসসহ সব প্রতিষ্ঠানে নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ওয়াটারএইড, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং সংস্থাগুলোর প্ল্যাটফর্ম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও নানা ধরনের বৈষম্য রয়ে গেছে। সামগ্রিকভাবে এ খাতে তিন ধরনের বৈষম্য লক্ষ করা যায়, যা সমাধান করা উচিত। গ্রাম-শহরের বৈষম্য, আন্তনগর বৈষম্য এবং বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে পৌঁছানো কঠিন এমন কিছু এলাকায় কম মনোযোগ দেওয়া। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সব ধরনের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। 

আরও জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ওয়াশ খাতের বরাদ্দের জন্য ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ খুবই কম। এভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ওয়াশের জন্য এডিপি বরাদ্দের ওঠানামাও পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আকারে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি (২.৬৩ ট্রিলিয়ন টাকা) থাকা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিম্নগামী ওঠানামা ছিল বরাদ্দের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এই ধরনের বাজেট কাটছাঁট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি শতভাগ নিরাপদ পানি এবং শতভাগ নিরাপদ স্যানিটেশন প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে বাধার সৃষ্টি করে।

ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সারা বছরই কমবেশি যানজট লেগে থাকে। ঈদের আগ মুহুর্তে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে যানজটও বাড়ে কয়েকগুণ। এই যানজট পাটগুদাম মোড় ছাড়িয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পার হয়ে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। 

তবে এবার পুলিশের তৎপরতায় যানজট ভয়াবহ না হালেও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়টি গলার কাটা হয়েই রয়ে গেছে। দুই মিনিটে পার হওয়ার মতো এই মোড়টি পার হতে চালকদের সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা।

রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত যানবাহন ব্রিজ মোড়ে আটকে আছে। কিছুক্ষণ পর পর দু’চার গজ এগোচ্ছে। 

শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জগামী গাড়িগুলো ব্রিজ মোড় পার হতেই দ্রুত যেতে পারছে। কারণ যাওয়ার পথে সড়ক ফাঁকা। তবে একই সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো নড়ছেই না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গাড়ির চাকা না ঘুরায় তারা বসে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।

পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে একটি বাসের যাত্রী খায়রুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কাজ হচ্ছে না। কারণ বেশিরভাগ গাড়ির চালক মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। ফলে মোড়টি যানজটমুক্ত হচ্ছে না।

শেরপুরগামী একটি বাসের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, মোড়টি পার হতে পারলেই পুরো সড়ক ফাঁকা। তবে এক ঘন্টাতেও মোড়টি পার হতে পারিনি। এ কারণে গাড়ির তেল বেশি পুড়ছে, যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।

কিশোরগঞ্জগামী বাসের চালক স্বপন মন্ডল বলেন, যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে পুলিশের চেষ্টার কমতি নেই। এ কারণে ব্রিজ মোড়ে যানজট থাকলেও বাকী সড়ক ফাঁকা। কিন্তু মোড়ে যানজট নিরসনে পুলিশ ব্যর্থ। অনেক চালক পুলিশের সামনে মোড়ে যাত্রী তুললেও পুলিশ কিছুই বলছে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন বহু যানবাহন সড়কে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবুও ঈদের আগে বরাবরের মতো গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় অন্য সব সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও পাটগুদাম ব্রিজ পর্যন্ত এসে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, মোড়ে পুলিশের চোখের সামনে কোনো গাড়িতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে না। তবে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি
ছবি : খবরের কাগজ

সারাদেশে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহার জামাতে কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।

জাতীয় ঈদগায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। 

এই ঈদ জামাতে মোকাব্বির হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক মূল ক্বারী হিসেবে প্রধান ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিবৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি রয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান এবং ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বায়তুল মুকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাত
প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, সকাল ৭টায় অনুষ্ঠেয় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ওই ৫টি জামাতের কোনটিতে ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।

অমিয়/

মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুর পৌনে একটার  দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতের নাম আলম হোসেন (৫০)। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার বটগ্রামে। তিনি নন্দীপাড়া এলাকায় থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। সকালে মালিবাগে পান-সুপারি কিনতে এসেছিলেনে তিনি।

খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মো. কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মালিবাগ রেলগেট থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।

অমিয়/

মায়ানমার পরিস্থিতিতে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
মায়ানমার পরিস্থিতিতে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের
ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার (১৫ জুন) সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মায়ানমার সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

রবিবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

এছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক রামু সেক্টর সদর দপ্তর, রামু ব্যাটালিয়নের (৩০ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের আট বিভাগের সব জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তাছাড়া ঈদের পরের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। 

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত এবং সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। 

এ ছাড়া পরবর্তী পাঁচদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

অমিয়/