ঢাকা ২ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ১৬ জুন ২০২৪

খেলাপি ঋণ উদ্ধারে দরকার দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা : সিপিডি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
খেলাপি ঋণ উদ্ধারে দরকার দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা : সিপিডি
ছবি : সংগৃহীত

খেলাপি ঋণ উদ্ধারে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার বলে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘আগামী দিনে ব্যাংকিং খাতের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদরা এ পরামর্শ দেন। 

সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এম এ মান্নান ও  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া ব্যবসায়ী নেতারা ও সিনিয়র ব্যাংকাররা আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি বিষয় সবকিছুর ওপরে বিবেচনায় নিতে হবে যে, জনগণের টাকায় ব্যাংক চলে। এটি অনুধাবন না করতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে না। শুধু দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন করলেই চলবে না; মনে রাখতে হবে, যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটাই বড় ব্যর্থতা।’

সভায় মূল প্রবন্ধে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ, পর্ষদে নিয়োগ ও ঋণ দেওয়ার কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ঋণখেলাপি সংস্কৃতির কারণে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে শিল্প ও বিনিয়োগে অর্থায়ন পেতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হারিয়েছে। ফলে উদ্যোক্তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। কোনো কোনো খাত একেবারেই ঋণ পাচ্ছে না। ঋণখেলাপিরা অনৈতিক বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এতে ব্যাংকিং খাত আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে চলেছে। তাই ব্যাপক কাঠামোগত সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা।’

সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এএমসি) করে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কেনা হচ্ছে আইএমএফকে খুশি করতে। আইএমএফএর শর্ত মেনে অর্থনীতি ঠিক করতে গিয়ে জনগণের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে।’
 
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সাধারণ মানুষ তথা গ্রাহক ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে চিন্তিত। এটি তাদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি করেছে। ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। এখন এনপিএল আমাদের ক্ষতি করছে।’ 

সাবেক এ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করায় সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। তথ্য প্রবাহে স্বচ্ছতা সরকারের জন্যই ভালো। এতে নীতি-নির্ধারণী সহজ হয়।’ 

সাবেক কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে ব্যাংকের পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার সাংঘর্ষিক ইস্যুগুলো নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঠিক নীতিমালা থাকতে হবে। মূলত পর্ষদ যেন ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ না করে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক বরকত-ই-খোদা বলেছেন, ‘এনপিএল বা খেলাপি ঋণ বেড়েছে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই। ব্যাংকে করপোরেট গভর্ন্যান্স খুবই দুর্বল।’ সাবেক সংসদ সদস্য ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালকরা ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। ঋণ জালিয়াতির মতো অপরাধের বিচার না হলে ব্যাংকের জন্য ভালো কিছু হবে না।’ 

অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ফজলুল করিম বলেন, ‘অর্থঋণ আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ায় রিট সংবিধানের ১১ আর্টিকেল অনুযায়ী রিট করার সুযোগ পায় বিবাদী। এতে মামলার অগ্রগতি স্থবির ও দীর্ঘায়িত হয়। এতে করে খেলাপি ঋণ আদায়ে বন্ধকী সম্পদ নিলামে তোলা সম্ভব হয় না। এসব বিচারিক অসংগতি দূর করা জরুরি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে রিটকারীকে একটি বড় অঙ্কের অর্থ জমাদানপূর্বক রিট করার সুযোগ রাখা উচিত।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের কতিপয় প্রতিষ্ঠান এফডিআরের ব্যবসা করে। এটি ব্যাংকিং সেবায় এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করে। এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকার নিয়ে কাজে লাগাতে পারে।’ 

মুক্ত আলোচনা পর্বে একাধিক বক্তা বলেন, দেশের রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের দাপট তৈরি হয়েছে। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৬১ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৬৭ শতাংশে। এর ফলে জনকল্যাণমূলক আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয় না। ব্যবসায়ীরা সব আইন তাদের স্বার্থে প্রণয়ন করিয়ে নিচ্ছে। অথচ ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এ আইনি সংকট দূর করতে হবে, তা না হলে ব্যাংকের টাকা খেলাপিদের কাছ থেকে উদ্ধার হবে না।’

ঈদুল আজহা ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
ঈদুল আজহা ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদুল আজহা শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়।

সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল  আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক জানান।

বাণীতে তিনি বলেন, ‘পিতা-পুত্র হযরত ইব্রাহীম (আ.) এবং হযরত ইসমাইল (আ.) তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, বিশ্ববাসীর কাছে তা চিরঅনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতি বছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে সচ্ছল মুসলমানরা কোরবানির পশুর গোশত আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের সকল পর্যায়ে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক- এই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।

হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশাকরি, ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পবিত্র দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বাংলাদেশ এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।’

অমিয়/

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রবিবার (১৬ জুন) ‘পবিত্র ঈদুল আজহা’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ শুভেচ্ছা জানান।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন আবশ্যক। পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। নানাবিধ যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সংঘাত-সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে ও বিনা চিকিৎসায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্বজনহারা বেদনায় গভীর শোক আর নিদারুণ কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা ও সমর্থন যোগাতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে হবে। কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আমি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হোক- এটাই সকলের কাম্য।

অমিয়/

ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সারা বছরই কমবেশি যানজট লেগে থাকে। ঈদের আগ মুহুর্তে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে যানজটও বাড়ে কয়েকগুণ। এই যানজট পাটগুদাম মোড় ছাড়িয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পার হয়ে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। 

তবে এবার পুলিশের তৎপরতায় যানজট ভয়াবহ না হালেও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়টি গলার কাটা হয়েই রয়ে গেছে। দুই মিনিটে পার হওয়ার মতো এই মোড়টি পার হতে চালকদের সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা।

রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত যানবাহন ব্রিজ মোড়ে আটকে আছে। কিছুক্ষণ পর পর দু’চার গজ এগোচ্ছে। 

শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জগামী গাড়িগুলো ব্রিজ মোড় পার হতেই দ্রুত যেতে পারছে। কারণ যাওয়ার পথে সড়ক ফাঁকা। তবে একই সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো নড়ছেই না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গাড়ির চাকা না ঘুরায় তারা বসে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।

পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে একটি বাসের যাত্রী খায়রুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কাজ হচ্ছে না। কারণ বেশিরভাগ গাড়ির চালক মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। ফলে মোড়টি যানজটমুক্ত হচ্ছে না।

শেরপুরগামী একটি বাসের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, মোড়টি পার হতে পারলেই পুরো সড়ক ফাঁকা। তবে এক ঘন্টাতেও মোড়টি পার হতে পারিনি। এ কারণে গাড়ির তেল বেশি পুড়ছে, যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।

কিশোরগঞ্জগামী বাসের চালক স্বপন মন্ডল বলেন, যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে পুলিশের চেষ্টার কমতি নেই। এ কারণে ব্রিজ মোড়ে যানজট থাকলেও বাকী সড়ক ফাঁকা। কিন্তু মোড়ে যানজট নিরসনে পুলিশ ব্যর্থ। অনেক চালক পুলিশের সামনে মোড়ে যাত্রী তুললেও পুলিশ কিছুই বলছে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন বহু যানবাহন সড়কে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবুও ঈদের আগে বরাবরের মতো গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় অন্য সব সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও পাটগুদাম ব্রিজ পর্যন্ত এসে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, মোড়ে পুলিশের চোখের সামনে কোনো গাড়িতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে না। তবে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি
ছবি : খবরের কাগজ

সারাদেশে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহার জামাতে কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।

জাতীয় ঈদগায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। 

এই ঈদ জামাতে মোকাব্বির হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক মূল ক্বারী হিসেবে প্রধান ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিবৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি রয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান এবং ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বায়তুল মুকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাত
প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, সকাল ৭টায় অনুষ্ঠেয় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ওই ৫টি জামাতের কোনটিতে ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।

অমিয়/

মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুর পৌনে একটার  দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতের নাম আলম হোসেন (৫০)। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার বটগ্রামে। তিনি নন্দীপাড়া এলাকায় থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। সকালে মালিবাগে পান-সুপারি কিনতে এসেছিলেনে তিনি।

খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মো. কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মালিবাগ রেলগেট থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।

অমিয়/