ঢাকা ২ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ১৬ জুন ২০২৪

১৪ দলের বৈঠকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর বে অব বেঙ্গলে বেইস বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়?

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১২:৪৪ এএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ১২:৫০ এএম
বে অব বেঙ্গলে বেইস বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়?
গণভবনে ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে এয়ারবেইস বানাতে দিলে কোনো নির্বাচনে জিততে সমস্যা নেই- এমন প্রস্তাব তাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাড়ে চার মাস পর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘বে অব বেঙ্গলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঘাঁটি বানাবে। ভারত মহাসাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর। এখানে বেইস বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? আমি এটা করতে দিচ্ছি না বলেই খারাপ।’ তিনি বলেন, ‘তবে জনগণ সঙ্গে রয়েছে, তারাই সামনে চলার মূল শক্তি।’

বাংলাদেশের গ্যাস না বিক্রির সিদ্ধান্তের বিষয়ে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রকে ঈঙ্গিত করে বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মতো দৈন্যে ছিলাম না কখনো। শক্তিশালী (যুক্তরাষ্ট্র) দেশটি সেই সিদ্ধান্তকে (বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত) ভালোভাবে নেয়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব না। পরে কিন্তু ক্ষমতায় আসতে পারিনি।’ তিনি বলেন, “চক্রান্ত এখনো চলমান রয়েছে। ফিলিস্তিনের মতো মায়ানমার ও বাংলাদেশের একটি অংশ চট্টগ্রাম নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান স্টেট বানাবে। তারা বে অব বেঙ্গলে (বঙ্গোপসাগরে) ঘাঁটি করতে চায়, কারণ বে অব বেঙ্গল ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। আর এ জায়গাটাতেই কোনো ‘কন্ট্রোভার্সি’ নেই। কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই।” 

সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, তা গেল ১৫ বছরে প্রমাণিত হয়েছে। এরপরও শুনতে হয় কথা বলার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সরকার কারও গলা টিপে ধরেনি। সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও টেলিভিশন করে দেওয়ার পরও বলছে, কথা বলতে পারি না। সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকেও সমালোচনা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আমরাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সচেতন যে কীভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।’ 

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা আপৎকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এত বেশি আলোচনার (রিজার্ভসংকট নিয়ে সমালোচনা) কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয় ও স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করতেই ২৫ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়। তার পর থেকেই দেশটা শুধু পেছাতে থাকে। সরকার জনগণের জন্য কাজ করে, কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মানুষ এটা বুঝতে পারে।

সমবায়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধান-মাছ চাষ হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘সেখানে ছয় বিঘা জমি দিয়েছি আমি। সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে এখন শরীয়তপুরের সবজি। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।’

সব সময় সাধারণ-নির্যাতিতদের পাশে আছেন বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কবে ফেরত যাবে জানি না। প্রতিদিন সেখানে নতুন নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে। অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। আলোচনা চালানো হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমারের পরিস্থিতি ভালো নয়। তাদের (রোহিঙ্গা) তো আর ঠেলে দিতে পারি না। আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি। যুদ্ধ করতে যাইনি, ঝগড়াও করতে যাইনি। কখন যে তাদের ফেরাতে পারব, জানি না। আমরা তো রিফিউজি ছিলাম, তাদের কষ্ট বুঝি। তাদের ভাসানচরে নিচ্ছি। কিছু গেছে, আরও যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যেখানেই যাই, এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। ইরানের প্রেসিডেন্ট মারা যাওয়ার ঘটনায় আমরা শোক জানিয়েছি। শোক দিবসও পালন করেছি। যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে কাজ করছি।’ 

উৎপাদনে কোনো সংকট নেই দেশে, তবে মুদ্রাস্ফীতি কমানো চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।  ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করতে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৪-দলীয় জোটের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা এসেছেন, ভালো হয়েছে। আমি খুশি হয়েছি। সবার কথা শুনব... কীভাবে কী করা যায়।’ তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আরও সুসংগঠিত হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি; ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে রোজই আন্দোলন, সরকার উৎখাতসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দেয়। যতক্ষণ জনগণ আছে সঙ্গে, ওটা আমি কেয়ার করি না। তারপরও দেশে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, এগুলো যেন না করতে পারে। এগুলো যারা করবে, তাদের কোনো ছাড় নেই... যতই মুরব্বি ধরুক, আর যা-ই ধরুক। এদের আমরা ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।’

বৈঠকে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির (একাংশ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির (আরেক অংশের) সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে জোটের সমন্বয়কের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
ময়মনসিংহে সড়ক ফাঁকা, ব্রিজ মোড়ে ভোগান্তি
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সারা বছরই কমবেশি যানজট লেগে থাকে। ঈদের আগ মুহুর্তে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে যানজটও বাড়ে কয়েকগুণ। এই যানজট পাটগুদাম মোড় ছাড়িয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পার হয়ে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। 

তবে এবার পুলিশের তৎপরতায় যানজট ভয়াবহ না হালেও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়টি গলার কাটা হয়েই রয়ে গেছে। দুই মিনিটে পার হওয়ার মতো এই মোড়টি পার হতে চালকদের সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা।

রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত যানবাহন ব্রিজ মোড়ে আটকে আছে। কিছুক্ষণ পর পর দু’চার গজ এগোচ্ছে। 

শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জগামী গাড়িগুলো ব্রিজ মোড় পার হতেই দ্রুত যেতে পারছে। কারণ যাওয়ার পথে সড়ক ফাঁকা। তবে একই সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো নড়ছেই না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গাড়ির চাকা না ঘুরায় তারা বসে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।

পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে একটি বাসের যাত্রী খায়রুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কাজ হচ্ছে না। কারণ বেশিরভাগ গাড়ির চালক মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। ফলে মোড়টি যানজটমুক্ত হচ্ছে না।

শেরপুরগামী একটি বাসের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, মোড়টি পার হতে পারলেই পুরো সড়ক ফাঁকা। তবে এক ঘন্টাতেও মোড়টি পার হতে পারিনি। এ কারণে গাড়ির তেল বেশি পুড়ছে, যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।

কিশোরগঞ্জগামী বাসের চালক স্বপন মন্ডল বলেন, যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে পুলিশের চেষ্টার কমতি নেই। এ কারণে ব্রিজ মোড়ে যানজট থাকলেও বাকী সড়ক ফাঁকা। কিন্তু মোড়ে যানজট নিরসনে পুলিশ ব্যর্থ। অনেক চালক পুলিশের সামনে মোড়ে যাত্রী তুললেও পুলিশ কিছুই বলছে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন বহু যানবাহন সড়কে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবুও ঈদের আগে বরাবরের মতো গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় অন্য সব সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও পাটগুদাম ব্রিজ পর্যন্ত এসে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, মোড়ে পুলিশের চোখের সামনে কোনো গাড়িতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে না। তবে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মুকাররমে জামাতের সময়সূচি
ছবি : খবরের কাগজ

সারাদেশে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহার জামাতে কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।

জাতীয় ঈদগায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। 

এই ঈদ জামাতে মোকাব্বির হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক মূল ক্বারী হিসেবে প্রধান ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিবৃষ্টি হলেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি রয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান এবং ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বায়তুল মুকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাত
প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, সকাল ৭টায় অনুষ্ঠেয় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ওই ৫টি জামাতের কোনটিতে ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।

অমিয়/

মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
মালিবাগে ট্রেনে কাটাপড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুর পৌনে একটার  দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতের নাম আলম হোসেন (৫০)। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার বটগ্রামে। তিনি নন্দীপাড়া এলাকায় থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। সকালে মালিবাগে পান-সুপারি কিনতে এসেছিলেনে তিনি।

খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মো. কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মালিবাগ রেলগেট থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।

অমিয়/

মায়ানমার পরিস্থিতিতে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
মায়ানমার পরিস্থিতিতে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের
ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার (১৫ জুন) সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মায়ানমার সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

রবিবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

এছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক রামু সেক্টর সদর দপ্তর, রামু ব্যাটালিয়নের (৩০ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের আট বিভাগের সব জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তাছাড়া ঈদের পরের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। 

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত এবং সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। 

এ ছাড়া পরবর্তী পাঁচদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

অমিয়/