![আগামীতে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না: শিক্ষামন্ত্রী](uploads/2024/05/25/Noufel-1716610190.jpg)
শিখন ঘাটতি পূরণে শনিবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি আগামীতে থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এখন অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখন পদ্ধতি। যদি বেশি সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকে, তা শিক্ষার্থীদের জন্যও অনেক কঠিন হয়ে যায়। অবশ্যই শনিবার খোলা থাকা প্রত্যাশিত নয়। যেহেতু কিছুদিন নষ্ট হয়েছে তবে আমরা আশা করি আগামীতে এটি আর থাকবে না।’
শনিবার ক্লাসের বিষয়ে চূড়ান্ত করা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিখনফল অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মদিবস থাকে। তাছাড়া শিক্ষায় আমাদের যে কর্মদিবস হোক সেটি বছরব্যাপী নির্দিষ্ট করতে হয়। যেহেতু আমরা অনেকগুলো কর্মদিবসে পড়াতে পারেনি, সেজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে খোলা আছে। তবে এটি সাময়িক একটি প্রক্রিয়া। ঈদুল আজহা পরবর্তী দিবসের ব্যাপারে যদি পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়, তখন সেটি থাকবে না।’
২০২৬ সাল থেকে কারিকুলাম পুরোপুরি সব শ্রেণির জন্য বাস্তবায়ন হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুরুতে প্রথম যে পরীক্ষাটি হবে সেটি দশম শ্রেণির। মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হলে তখন সেটি আমরা প্রকাশ করব। এখন একটা সমস্যা হলো এ নিয়ে স্পেকুলেশন বেশি হলে, শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষক বিভ্রান্ত হবেন। তাই এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে চাই না। তবে সামষ্টিক ও কার্যক্রম মূল্যায়নের যে বিষয়টি আছে সেই দুটোর মধ্যে সমন্বয় করে একটি ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগে বিভাগ অনুযায়ী অনেকগুলো বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা রয়েছে, সেটির সঙ্গেও সমন্বয় করতে হবে। তাই এই বিষয়ে বলা এখন সমীচীন হবে না।’
এর আগে টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত যোগাযোগ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র অল্প কিছু সংখ্যক সরকারি চাকরির যে হাতছানি, সেটার প্রতি ধাবিত হওয়ার মানসিকতা শিক্ষার্থীদের সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ট্রোলিং হচ্ছে।’
এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ, আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ারুল-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) এবং মহাসচিব মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।
আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/