ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুলের জন্মজয়ন্তী

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ২৫ মে ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুলের জন্মজয়ন্তী
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী

বাংলা ভাষার কবিতাপ্রেমীদের কাছে কাজী নজরুল ইসলাম প্রেমের কবি, চির যৌবনের দূত। সেই সঙ্গে তিনি বিদ্রোহী, গৃহত্যাগী বাউন্ডুলে। 

১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। শৈশব থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে ওঠেন ‘দুখু মিয়া’। পিতৃহীন কবি একে একে হারিয়েছেন কাছের স্বজনদের। আর্থিক অসচ্ছলতাও তার জীবনকে কঠিন করে তুলেছিল। 

নানা বাধা অতিক্রম করে একসময় তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হয়ে ওঠেন। সাম্য ও মানবতার চেতনায় শাণিত ও সমৃদ্ধ ছিল তার লেখনী। অন্যায় অসত্য পরাধীনতার বিরুদ্ধে সাহসী বক্তব্যের জন্য তিনি হয়ে ওঠেন ‘বিদ্রোহী কবি’। 

নজরুলের কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।

১৯৪২ সালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমশ বাকশক্তি হারান নজরুল। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানের বিএসএমএমইউ হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কবি নজরুল ইসলামের। 

জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবার জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ‘কুসংস্কার আর অন্যায়ের সকল আবরণ বিদীর্ণ করে নজরুল তৈরি করেছেন নতুন প্রেক্ষাপট, নতুন উপস্থাপন কৌশল ও ভিন্নতর ভঙ্গি। তিনি বিশ্বাস করতেন কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের, বিশেষ শ্রেণির কিংবা কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে তার পরিচয় নয়। তিনি সব মানুষের, সব সমাজের, সব কালের। তার চেতনা ও মানবতাবোধ বর্তমান সমাজব্যবস্থায় আমাদের সঠিক পথ দেখাবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিসংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক। কবি নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের নেতৃত্বে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও এদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। এ আসরে প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। 

এ ছাড়াও ময়মনসিংহ, জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ এএম
বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেছেন। এসব বিক্ষোভ কারা সংগঠিত করেছে, কারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে তা জানতে দেশগুলোয় বাংলাদেশের মিশনগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের নানা প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকরা সেখানকার সরকারের কাছ থেকে বিক্ষোভের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর ওই তথ্য ঢাকায় পাঠাবেন।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যে আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড হয়েছে।

কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন সামনে রেখে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের বিবৃতি’তে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নাগরিক সমাজের পক্ষে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিক এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

তাদের পক্ষে সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরীহ পথচারী, ছাত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ১৬ জুলাই থেকে এ নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডেটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। আমরা এ ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে, তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’

বিবৃতিতে নাগরিক সমাজ বলেছে, ‘ইতোমধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র, জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, দুই সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও হাসান মাহমুদ খন্দকার, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, চিত্রনায়ক আলমগীর, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ থেকে প্রকাশিত সংবাদ আউটলেট ইন্ডিয়া টুডে এনই ঢাকায় সহিংস সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানযোগে সরিয়ে নেওয়ার দাবি করে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করার পরে আউটলেটটির ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে: ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং এটি আমাদের প্রতিবেশী দেশে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা সৃষ্টি করে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘একটি মর্যাদাপূর্ণ সংবাদ প্রকাশনা হিসেবে আমরা তথ্যনির্ভর ও নৈতিক উভয় সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ খবর বাসসের। 

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ২১ জুলাই ইন্ডিয়া টুডে এনই থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের যথার্থতাকে নাকচ করে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘সহিংস সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা ছাড়ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ সংবাদটি ইন্ডিয়া টুডে এনইর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করা হয়।

এই সংবাদের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, যেকোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গুজবের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের ভুল তথ্য ও প্রতিবেদন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে, এমনকি সংকটে ইন্ধন জোগাতে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। এ ছাড়া সংবেদনশীলতা অনুধাবন না করে, এ ধরনের প্রতিবেদন কেবল জনগণ ও সমাজকে ব্যাপক নেতিবাচকভাবে প্রভাবিতই করে না, বরং যেকোনো সংবাদ আউটলেটের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসতে আহ্বান জানাবে মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ এএম
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসতে আহ্বান জানাবে মন্ত্রণালয়
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বন্ধ থাকা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার জন্য অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো ‘শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা’ শিরোনামে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ছাত্র সংগঠনসমূহের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ জুলাই রাতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কবির/এমএ/

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল, জুলাইয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল, জুলাইয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৩৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। মৃতদের মধ্যে ৩৩ জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। চলতি বছরের মধ্যে জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৪৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।