ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

প্রকাশনা উৎসবে কবি কামাল চৌধুরীর কবিতার বই

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩ এএম
প্রকাশনা উৎসবে কবি কামাল চৌধুরীর কবিতার বই
ছবি : খবরের কাগজ

কবিতার কোনো পাঠশালা নেই, মানবজীবনই কবিতার পাঠশালা। কবিতা লেখা শেখানো যায় না, কিন্তু যা শেখানো যায় না, তাকে শিখে নিতে হয়। কবিতা লেখাও শিখে নিতে হয় কবিকে। এই বোধ ও উপলব্ধি থেকেই পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত কবি কামাল চৌধুরীর লেখা ‘কবিতার অন্বেষণ, কবিতার কৌশল’। 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে কামাল চৌধুরীর বই নিয়ে প্রকাশনা উৎসব ও বই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নেন কবি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামিম রেজা। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাসুদুজ্জামান, নাসির আহমেদ, খালেদ হোসাইন, মোহিত কামাল, দিলারা হাফিজ, সাইমন জাকারিয়া, ফরিদ কবির, তারিক সুজাত, সরকার আমিন, জাকির জাফরান, জাহিদ সোহাগ, স্নিগ্ধা বাউল প্রমুখ।

বইটির লেখক কামাল চৌধুরী কবিতার জন্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘একুশে পদক’ ও ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’সহ দেশ-বিদেশে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কামাল চৌধুরী। 

এমএ/

জাতীয় কবিতা উৎসব ১ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২ পিএম
জাতীয় কবিতা উৎসব ১ ফেব্রুয়ারি
ছবি : সংগৃহীত

অনলাইন, অফলাইনে সাতটি দেশের কবিদের অংশগ্রহণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব। দুই দিনের এই উৎসবে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, নেপাল ও ফিলিপাইনের আমন্ত্রিত কবিরা সরাসরি অংশ নেবেন। এর বাইরে অনলাইনে যুক্ত হবেন মিসর, ইরাক ও আর্জেন্টিনার কবিরা।  

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলন কেন্দ্রে (টিএসসি) জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, দিলারা হাফিজ, আসাদ মান্নান, রবীন্দ্র গোপ। উৎসবসংক্রান্ত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত।

তারিক সুজাত জানান, এ বছর কবিতা উৎসবের মর্মবাণী ‘যুদ্ধ, গণহত্যা সহে না কবিতা’। দুই দিনব্যাপী উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে এই স্লোগানকে মূর্ত করে তোলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার ও মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাংলাদেশের কবি-লেখক-শিল্পী-প্রকাশক এবং মুক্তবুদ্ধির মানুষ সোচ্চার ছিলেন। আজ যখন পৃথিবীর দেশে দেশে অশুভ শক্তির দাপটে নিরপরাধ মানুষ বিপন্ন। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের লাশের স্তূপের ওপর ক্ষমতার অহমিকা দেখাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। তখন আমরা বাংলাদেশের কবিরা এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা একত্রিত হয়ে এই উৎসবে যুদ্ধ ও গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।’ তিনি জানান, উৎসবে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করা হবে।

কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘জাতীয় কবিতা উৎসবে যুদ্ধ ও গণহত্যাবিরোধী বারতা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’

জাতীয় কবিতা উৎসব উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কার্যালয়ে চলছে নিবন্ধন কার্যক্রম। উৎসবে অংশ নিতে ইচ্ছুক কবিরা আগামী ৩১ জানুয়ারি নিজেদের নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।

এবারের কবিতা উৎসবে অংশ নেবেন কলকাতার সুবোধ সরকার, বিথী চট্টোপাধ্যায় ও বিভাস রায় চৌধুরী। আসবেন আগরতলার কবি রাতুল দেব বর্মণ, দীলিপ দাস ও আকবর আহমেদ এবং আসামের কবি অনুভব তুলসি ও অনুভব দত্ত। এ ছাড়াও উৎসবে অংশ নেবেন ফিলিপাইনের কবি লিও টিটো এল আসান জুনিয়র এবং নেপালের কবি চাবিলাল কপিলা।