ফিলিস্তিনে গণহত্যা / যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংহতি । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনে গণহত্যা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংহতি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংহতি
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্কচ্যুতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের চলমান বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক যুক্ত বিবৃতিতে এ সংহতি জানান।

তারা বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক-শান্তিকামী মানুষের দাবি। যুক্তরাষ্ট্রের মদদেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভ সংগঠিত হচ্ছে। সেই বিক্ষোভ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব বিক্ষোভে অসংখ্য ইহুদি শিক্ষার্থী এবং তাদের সংগঠনও সাহসের সঙ্গে অংশ নিয়েছে। আমরা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সংগ্রামী অভিবাদন জানাচ্ছি এবং চলমান আন্দোলনের সঙ্গে গভীর একাত্মতা ও সংহতি জানাচ্ছি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক ওয়াক-আউট করেছেন।’

এ গ্রেপ্তার ও হামলার নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মরণাস্ত্র তৈরি এবং গণহত্যার কাজে ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এসব কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান-গবেষণা এবং কোনো সম্পদকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’

তারা বলেন, ‘আজ বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ তার অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে নৃশংস গণহত্যা-আগ্রাসন পরিচালনা করছে। সভ্যতাকে রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর জন্য সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যবদ্ধ লড়াই জোরদার করা একান্ত জরুরি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে বিশ্বের সব শান্তিকামী-গণতন্ত্রমনা মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

জয়ন্ত/সালমান/

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন ডোনাল্ড লু: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন ডোনাল্ড লু: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন। বিএনপি মনে করেছে আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে।

রবিবার (১২ মে) আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন।

ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসা স্বাভাবিক হলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কথা বলে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে চাইনি। আমরা বিএনপির হাসিখুশি ভাব দেখলাম, হঠাৎ চাঙা হয়ে গেছে। সামনে তো কিছু নেই। এখন ডোনাল্ড লু এসে সামনে কিছু করার অভিসন্ধি আছে কি না সেটা বিএনপিই ভালো জানে। আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হবে।’ 

তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া বিএনপি অংশ নিতে চায় না। ফখরুল সাহেব জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের সময় দেশের মানুষকে অর্ধাহারে, অনাহারে থাকতে হতো। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শুধু খাদ্য নিরাপত্তায় নিশ্চিত করেনি বরং খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ সরকার যথেষ্ট উন্নত করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই কমিউনিটি সেবা জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সংবাদ মানেই হলো অসত্যকে সত্য বলে চালানোর সুনিপুণ কৌশল। সত্যকে পাশ কাটিয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা, নিজের অতীত অপকর্ম ভুলে গিয়ে বিএনপি দায় অপরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। বিএনপির নেতারা নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে অবিরাম মিথ্যাচার, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন অদৃশ্য শক্তি বাংলাদেশ চালাচ্ছে পরিষ্কার করে ফখরুল সাহেব বলবেন কী?’

রাজু/এমএ/

আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি। এ কথা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার (১২ মে) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। গত ৮ মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে বিসর্জন দেওয়া হয়, জনগণের কাছে সেটি উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচিত হয় না। মনে রাখা প্রয়োজন, জীবন এবং জীবিকার দ্বন্দে জীবিকার কাছে যেন জীবন হেরে না যায়। তেমন একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই চলমান আন্দোলন এবং জনগণের এই  আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু'র ঢাকা সফর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কে আসলো না আসলো এটা নিয়ে বিএনপি আগ্রহী না। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের ভরসা। আমাদের পুরো আস্থা (জনগণ)। সেই আস্থার ওপরেই আমরা দাঁড়িয়ে থাকি।

মির্জা ফখরুল বলেন,সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট  উতরে যায়নি, সংকট আরও গভীর হয়েছে। নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফা সাজা দিয়েছে আদালত। বিনা শুনানিতেও সাজা দিয়েছে সরকার। এখনও গুরুত্বপূর্ণ নেতা কারাগারে রয়েছে। সরকারের সাজানো চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসার স্থল হচ্ছে কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।

দেশে প্রবেশের সময় আমদানি পণ্যের মান যাচাই করা উচিত দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন,  জনগণের ম্যান্ডেটহীন সরকার তা করবে কী না আমরা যথেষ্ট সন্দিহান।

"এ সরকারের কোন জবাদিহিতা নেই, কোন ম্যান্ডেট নেই। তাদের মধ্যে দাম্ভিকতা কাজ করছে। কারণ তাদের জনগণের কোন দরকার নেই"।

৫২৭টি ভারতীয় পণ্যে বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিটি দেশেরই উচিত, নিজ নিজ দেশে আমদানি পণ্য পৌঁছার পর পণ্যের নিরাপত্তা মান পরীক্ষা করা। আমদানি করা পণ্য সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছা মাত্রই জনগণের ক্রয়ের জন্যে বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এর আগেও ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ১২১টি ভারতীয় পণ্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল কিন্তু তারপরেও পণ্যের উৎস দেশটি এই পণ্যগুলো ত্রুটিমুক্ত করার জন্য জন্য কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মির্জা ফখরুল, হংকং এবং সিঙ্গাপুর তাদের দেশে ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেরে গুঁড়া মসলা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সিঙ্গাপুরও দেশটির বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মশলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। হংকং ভারতীয় দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইড শনাক্ত হওয়ার পর দেশ দুইটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সভা মনে করে, জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশেরও উচিত দেশে আমদানি করা প্রতিটি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা পণ্যের মান যাচাই করে নেওয়া।

আমদানি করা পণ্য যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া গেলে প্রতিটি নাগরিককে নিজের এবং নিজেদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য রক্ষায় নিজ উদ্যোগেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি।  একটি রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সরকারের এমপি মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে অথচ দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য  প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন,বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এটি বললে আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। কিন্তু এটি ট্রু (সত্য)। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। সার্বক্ষণিক মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

সবুজ/এমএ/

আ.লীগ সরকার জনগণকে উন্মুক্ত কারাগারে বন্দি করে রেখেছে: রিজভী

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আ.লীগ সরকার জনগণকে উন্মুক্ত কারাগারে বন্দি করে রেখেছে: রিজভী
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ সরকার লজ্জাহীনভাবে রাষ্ট্র্রক্ষমতা ধরে রেখে জনগণকে উন্মুক্ত কারাগারে বন্দি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করছেন সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। আমরা আর মামুদের নির্বাচন। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করছে। উপজেলা নির্বাচন হয়ে গেল। এখানে আরও কম ভোট পড়েছে। তাদের লজ্জা নাই।’ 
 
বরিবার (১২ মে) সকালে শেরেবাংলা নগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও  জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, বাহিরে কেউ থাকুক না থাকুক পাশ্ববর্তী দেশ আপনাদের ক্ষতায় বসিয়েছে। আপনাদের এ দেশের জনগণ লাগে না। আপনাদের ঘাড়ে আরব্য রজনীর দৈত্য বসে আছে যাদের নির্দেশে আপনারা চলছেন। আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ যে চারদিক থেকে ধ্বসে যাচ্ছে তা হতো না।’

তিনি বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় এসেছে প্রয়োজনীয়  রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। মানুষ প্রয়োজনীয় খাবার আমদানি করতে পারছে না। পাশাপাশি যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তাতে সুদ দিতে হবে এক লক্ষ কোটি ডলার। ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন নাকি জনগণের উন্নয়নে কাজ করবেন। কারণ আপনাদের ঘাড়ে যে আরব্য রজনীর দৈত্য বসে আছে তাদের নির্দেশে জনগণকে ত্যাজ্য করেছেন। জনগণকে তালাক দিয়ে আপনারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছেন।’ 

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলছে তাদেরকে ও তারা বন্দি করে রেখেছে। সাজা দিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। আজকে মা দিবস। সারাদেশের মানুষ আজকে অনুভব করছে তাদের মা আজকে বন্দি। যে মা আজকে বাহিরে থাকলে জনগণের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য, যারা দু:খ কষ্ট্রের মধ্যে জীবন যাপন করছেন, অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন তাদের জন্য তিনি স্বোচ্ছার হতেন, সংগ্রাম করতেন।’ 

রিজভী আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এরশাদের বিরুদ্ধে নয় বছর আন্দোলন করেছেন। আর এখন ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করইে যাচ্ছেন। এ জন্য তার উপর নির্মম নির্যাতন চলছে। বিশ্ব মা দিবসে তার আশু সুস্থতা ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের সভাপতি রুমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাহিনুর নার্গিস, সিনিয়র সহ-সভাপতি দক্ষিণ সুরাইয়া বেগম, সহ-সভাপতি রেহানা ইয়াসমিন ডলি, হাসিনা আলম হাসি, খালেদা আলমসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/  

লিভ টু আপিল খারিজ: জিএম কাদেরই জাপার চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০১:০০ পিএম
লিভ টু আপিল খারিজ: জিএম কাদেরই জাপার চেয়ারম্যান
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রবিবার (১২ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

শুনানিতে জিএম কাদেরের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ ও  অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।

প্রতিপক্ষ জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর মামলা করেন। 

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

এ মামলায় ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন জিএম কাদের।

এ আবেদনের শুনানি নিয়ে একই বছর ২৯ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি একই সঙ্গে রুল জারি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করেন জিয়াউল। 

শুনানি শেষে আজ লিভ টু আপিল খারিজ করলেন আপিল বিভাগ।

মতলু মল্লিক/অমিয়/

মৌলভীবাজারের নিরুত্তাপ ভোটের মাঠে পাল্টে গেল হিসাব

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
মৌলভীবাজারের নিরুত্তাপ ভোটের মাঠে পাল্টে গেল হিসাব
কামাল হোসেন ও তাজুল ইসলাম তাজ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে সদরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা যাচাইয়ে কামাল হোসেন একক বৈধ প্রার্থী থাকায় ভোটের মাঠ ছিল অনেকটাই নীরব। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে আরেক প্রার্থী তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতেই পাল্টে গেছে ভোটের মাঠের চিত্র। শুরু হয়েছে জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। চলছে জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ।

গত শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন প্রথম নির্বাচনি মতবিনিময় সভা করেন। পরে রাতে তার নির্বাচনি অফিস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে দ্রুত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সদরে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলে তাজুল ইসলামের প্রার্থিতা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করেন। এতে অপর প্রার্থী কামাল হোসেন হন একক বৈধ প্রার্থী। ফলে তার বিজয় ছিল নিশ্চিত! অন্যদিকে তাজুল ইসলামের সমর্থকরা প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় ছিলেন। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সমর্থকরা ভোটের মাঠে ছিলেন নীরব। যদিও গত ২৬ এপ্রিল তাজের নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন হলেও প্রচার-প্রচারণা ছিল বন্ধ।

এদিকে বৃহস্পতিবার তাজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পাশাপাশি কামালও শুরু করেন জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচার।

জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম। এরপর তাজের মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাজের রিট আবেদন গ্ৰহণ করে বৃহস্পতিবার রুল জারি করেন। এই আদেশের পর তাজের নির্বাচনে অংশ নিতে এখন আর কোনো বাধা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

প্রার্থী তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, ‘আমি আমার অধিকার ফিরে পেয়েছি। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। এখন ন্যায়বিচার ফিরে পেয়েছি। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের রায় দেবেন।’ আরেক প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে জনগণ আমাকে আবারও নির্বাচিত করবেন।’

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও মোস্তাফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজ লড়ছেন। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাহীনা রহমানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।