উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। ভোটাররা ভোট দিতে যাননি, কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের আকাল।’

বুধবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর হাফিজ বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র নির্বাসনে। ভোটব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। আজ দেশে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। টেলিভিশনে দেখাচ্ছে- কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। কোনো ভোটার সেখানে যাননি। কেন এই অবস্থা হলো, কেন আজকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না, কেন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত হলো, কেন দেশে আইনের শাসন নেই, মৌলিক অধিকার নেই?’

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজ দেশে সমস্ত প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুম, খুন, দুর্নীতির কারণে আমরা একটা নিচু জাতিতে পরিণত হয়েছি। আজকে সবাই আছে হালুয়া-রুটির চিন্তায় আর রাজনৈতিক দলগুলো আছে ক্ষমতার চিন্তায়। কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে আর কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। ৭১ এ যুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। আমাদের সেই যুদ্ধ কী ব্যর্থ হয়ে গেল?’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবন স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের স্মরণীয়-বরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি কোনো দল করতেন না। তার মতো স্পষ্টভাষী মানুষ আমার চোখে তেমন একটা পড়েনি। যেটিকে তিনি ন্যায্য মনে করতেন নিঃসংকোচে উচ্চারণ করতেন। তার কথা যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেত তখন আমরা বিএনপির সবাই হাততালি দিতাম। আবার যখন তার কথা বিএনপির বিরুদ্ধে যেত তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খুব উল্লসিত হতো। যখন যা বলার প্রয়োজন সেটা নির্ভয়ে, নিঃসংকোচে বলেছেন। তার সামনে ছিল দেশ। তিনি দেশের স্বার্থে কথা বলেছেন। জনগণকে লক্ষ্য করেই তিনি বক্তব্য রাখতেন।’

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘দেশের সমাজ আজ একটি বন্ধ্যা সমাজ, নষ্ট হয়ে গেছে। রাজনৈতিক অঙ্গন তো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। রাজনীতিবিদরা কখনো ডা. জাফরুল্লাহকে পছন্দ করতেন না। তারা স্পষ্টবাদী লোক কখনো পছন্দ করতেন না। তারা সবাই নিবেদিত ক্রীতদাস পছন্দ করেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন গণতন্ত্রমনা মানুষ। গণতন্ত্রের স্বার্থে তিনি দল মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে সব সময় ন্যায্য কথা বলেছেন। যে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তিনি সবকিছু ফেলে লন্ডন থেকে দেশে ছুটে এসেছিলেন, সেই গণতন্ত্র আজ দেশ থেকে নির্বাসিত।’

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অনেকে বলেন, তিনি বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। কিন্তু না, তিনি কোনো পন্থার বুদ্ধিজীবী ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী। তিনি দেশের পক্ষে ছিলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন, মানুষের মতপ্রকাশের পক্ষে ছিলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবার মধ্যে বেঁচে থাকবেন। যতদিন আমি কাজ করব, আমার মতো অন্যরা কাজ করবেন, ততদিন তিনি তীব্রভাবে বেঁচে থাকবেন।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

সবুজ/সালমান/

দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট অশনিসংকেত: ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:০৭ এএম
দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট অশনিসংকেত: ১২ দলীয় জোট
ছবি : সংগৃহীত

দেশের চলমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভসংকট জাতির জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, দেশের আর্থিক খাতে তাণ্ডব চালাচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার। বাংলাদেশের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নিশ্চুপ ভূমিকা জনগণের কাছে রহস্যজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদকর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও জোটপ্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের চলমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা করণীয় নির্ধারণে ১২-দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। 

সভায় নেতারা বলেন, অনির্বাচিত ও তাঁবেদার সরকার দেশকে লুটতরাজের আখড়া বানিয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। জনগণকে অবিলম্বে এই অবৈধ সরকারের অপশাসন ও লুটতরাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। 

তারা আরও বলেন, আগামীতে বিএনপির সঙ্গে যেকোনো কর্মসূচি তারা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জোটের নেতারা। 

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ। 

শফিক/এমএ/

বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী সরকারের প্রধান কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) পল্টন থানার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নানা নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করেছে। আর এ ধরনের অপকর্মের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের বিরোধী দলগুলো যেন সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে না পারে। ইশরাক হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো সরকারের ওই কর্মসূচির অংশ।

এ ধরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
 

 

 

বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে কারাগারে ইশরাক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে কারাগারে ইশরাক
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় রবিবার (১৯ মে) এই নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘এ মামলায় ইশরাক হোসেন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে তিনি স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদও জানিয়েছেন, এ মামলাসহ মোট ১২ মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন ইশরাক। এর মধ্যে ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে করা মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের আগে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের পরদিন ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীসহ চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এতে পুলিশের এক সদস্য নিহত ও ৪১ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী (মিয়া আরেফী), চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতা-কর্মী কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। এ সময় ১ নম্বর আসামি মিয়া আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি।

সেখানে মিয়া আরেফী দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এই আসামি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, মিয়া আরেফীকে হাসান সারওয়ার্দী ও ইশরাক হোসেন মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। ১ নম্বর আসামি অন্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে সারা দেশে নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

ট্রমায় ভুগছেন বিএনপি নেতারা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
ট্রমায় ভুগছেন বিএনপি নেতারা: ওবায়দুল কাদের

ট্রমায় ভোগার কারণে বিএনপি নেতারা আবোল তাবল বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকজনই ভোট দিতে যায়নি’ বিএনপি নেতাদের এ দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এ দাবি সত্য নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ৩০থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশেরও বেশি। তারা কি এদেশের মানুষ নয়?
 
তিনি বলেন, ৪২ শতাংশ যদি ভোট প্রদান করে তাহলে ভোটাররা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলো কেমন করে? আসলে বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যা খুশি তাই বলেন ফ্রিস্টাইলে। এর বাস্তবতা নেই। তারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

বিএনপি আবারও আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলন করার অধিকার আছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করব। আর যদি আন্দোলন রূপ নেয় আগুনসন্ত্রাসে, যে চেহারা তারা অতীতে দেখিয়েছে, তাহলে সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেবে। রাজনৈতিকভাবেও আমরা মোকাবেলা করব। সূত্র: বাসস

অমিয়/

ফরিদপুরে নিহত ২ ভাইয়ের পরিবারকে বিএনপির আর্থিক সহযোগিতা

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
ফরিদপুরে নিহত ২ ভাইয়ের পরিবারকে বিএনপির আর্থিক সহযোগিতা
মধুখালীতে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে বিএনপি। 

রবিবার (১৯ মে) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে সহায়তা তুলে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী এলাকায় একটি কালীমন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থানরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় গণপিটুনিতে দুই শ্রমিক নিহত হন।

রিজভী বলেন, ‘এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশ তার দিন অতিক্রম করছে। অতিক্রম হওয়া দিন কোনটিই সুখকর নয়। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালবাসেন। গোটা জাতিকে একটি গোরস্থান বানানোর প্রক্রিয়ায় তারা লিপ্ত থাকে। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে ঘটেছে। এগুলো পরিকল্পিত নাশকতার একেকটা নাটক। প্রহসন সরকারের পক্ষ থেকে এগুলো তৈরি করা হচ্ছে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর এক এগুলো করে যাচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তো জনগণের আমানত রক্ষার প্রতিষ্ঠান। এখানে সাংবাদিকরা তো যেতে পারে। ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কি মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে? আপনাদের কাছের লোক যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে ধন বৃত্তের মালিক হয়েছেন, দেশের বাহিরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ 

শফিকুল/পপি/অমিয়/