শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেইনি, জনগণ এই সরকারকে ঘৃণা করে। উপজেলা নির্বাচনও জনগণ বয়কট করেছে। দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই সরকার পতনের আন্দোলন করতে হলে দমে গেলে হবে না।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ‘দিল্লির নির্বাচন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংকট উত্তরণে’ গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্র আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্য কেউ আমাদের গণতন্ত্র এনে দেবে না। ভারতের নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশে তাদের আগ্রাসনের কোনো তারতম্য হবে না। তবে ভারতের নির্বাচনে মোদি ম্যাজিক সে দেশের জনগণ বয়কট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ডাকে দেশের জনগণ আন্দোলন করেছে, নির্বাচন বয়কট করেছে। কিন্তু স্বৈরশাসক তো ক্ষমতা থেকে গেল না। তাহলে আমরা কি ব্যর্থ হয়েছি? দেশে যে জুলুমবাজ, স্বৈরাশাসক সরকার আছে পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে এমন সরকার দেশ পরিচালনা করেনি। এরা দেশের প্রতিটি খাত চুরি করে খেয়ে ফেলেছে। সরকার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে, বিদেশি ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছে। দেশ গোল্লায় গেলেও এদের কিছু যায় আসে না। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে অটল। এই সরকারের সঙ্গে আপস করার মতো কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকে জাতিকে বিভক্ত করে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন ছাড়া কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কখনো দেশের মানুষ নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টর দখল করেছে, দলীয়করণ করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। আর সেই সুযোগে তারা ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকতে চায়।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রেও যায় না। সেই দিক থেকে পাকিস্তান আমাদের থেকে ভালো আছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জায়গা আজ ভারতের দালালে ভরে গেছে। শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত, মাফিয়াদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশের ব্যাংকগুলো আজ শেষ করে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তটুকু হয়নি।’
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অহিদুজ্জামান দিপু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুর রহমান ফুয়াদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
শফিকুল/সালমান/