ঢাকা ২ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ১৬ জুন ২০২৪

আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, বন্ধু হতে চাই : ১২-দলীয় জোট

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, বন্ধু হতে চাই : ১২-দলীয় জোট
ছবি : খবরের কাগজ

১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুরের গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে ভারতীয় পণ্য বর্জনের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেছেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়। 

জোটের নেতারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০ ওয়াগন রেলগাড়ি ভর্তি করে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত, ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য ধান, চাল, গম লুট করে, ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণসামগ্রী পাচার করে, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরির পাশাপাশি ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের পাট নিয়ে গিয়ে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্প-কারখানা তৈরি করে ভারত; এভাবে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই শোষণ করে আসছে।

দেশপ্রেমিক মানুষের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় পণ্য বর্জন- এমন মন্তব্য করে ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সীমান্তে ১ হাজার ২০০-এর বেশি নিরীহ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে, তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে। যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।’

মায়ানমার ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
মায়ানমার ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল
ছবি: খবরের কাগজ

মায়ানমার ইস্যুতে সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা একটা নতজানু সরকার। বিদেশের উপর নির্ভর করে সে টিকে আছে। এজন্য কথা বলতে পর্যন্ত সাহস পায় না। সেন্ট মার্টিনে যেভাবে গোলাগুলি করা হচ্ছে, মায়ানমারের যুদ্ধ জাহাজও সেখানে দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পরে একটা প্রচন্ড রকমের হুমকি। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে বর্তমানে যে একটা অনির্বাচিত সরকার আছে এদের কাছে সার্বভৌমত্ব ব্যাপারটার কোন গুরুত্ব নেই, কোন প্রভাব বিস্তার করছে না।’

ঈদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঈদ খুবই খারাপ যাবে। সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের বাইরে চলে গেছে। পশুর বাজারে কোন লোক নেই কেউ কিনতে পারছে না। তার কারণ হলো মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হয়েছে। এ সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। অর্থনীতিকে চরম খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে।’

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নবীন হাসান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

মায়ানমার সীমান্ত সরকারের কঠোর নজরদারিতে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
মায়ানমার সীমান্ত সরকারের কঠোর নজরদারিতে: ওবায়দুল কাদের
ফাইল ফটো

মায়ানমার সীমান্ত সরকারের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করেনি। মায়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বাংলাদেশ, আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। সেন্টমার্টিনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা করেছে আরাকান আর্মি। মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী সেটা করেনি।’

সেন্টমার্টিনে খাদ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত যাতায়াত করছে জানিয়ে ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। গায়ে পড়ে মায়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধানোর কোনো প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের।’

সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে। মায়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা যারা অনুপ্রবশ করেছিলো, তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিএনপি পারে শুধু অর্বাচীনের মতো হাস্যকর মন্তব্য করতে। এখনও সেটাই করছে। সেনাবাহিনীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা সতর্ক অবস্থায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতেই হবে। সেই কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমরা কারও সঙ্গে কখনও নতজানু আচরণ করিনি, করবো না। কয়েক দিন আগে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সেন্টমার্টিনে গুলি মায়ানমারের মতো দেশকেও কিছু বলা যাচ্ছে না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
মায়ানমারের মতো দেশকেও কিছু বলা যাচ্ছে না: মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমারে সীমান্ত থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মায়ানমারের মতো একটা দেশকেও আজ কিছু বলা যাচ্ছে না? এটা যে কতটা নতজানু, দাসসুলভ মনোভাব হতে পারে। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র পাঠ করেন বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের সভাপতি রহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, সীমান্তে মানুষ মারছে, পানি দিচ্ছে না, অথচ সরকার একটা কথা বলে না। বাংলাদশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার। চীন বিশ্বে একনায়কতন্ত্র চলছে-এমন দেশের দিকে ঝুঁকছে। সারা বিশ্বেই একনায়কতন্ত্র বাড়ছে।

তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই পুরো জাতির জন্যই কালো দিবস। বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে এসেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ শুরু করেছে। সাংবাদিক যারা সাহস করে কাজ করছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বেনজীর, আজিজ, আনারের ঘটনা সাংবাদিকেরাই তুলে এনেছেন। 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেনাপ্রধান জালিয়াতি করবেন, পুলিশপ্রধান ডাকাতি করে দেশে সাম্রাজ্য গড়ে তুলবেন, কল্পনা করা যায়? বর্তমান সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বেনজীর-আজিজ ও আনারের ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসতে শুরু করেছে। ভাইদের পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিচারের দাবি করেন তিনি। 

সংবাদের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু বাণী প্রচার করা হয়, তিনি তা শুনছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনি বলছিলেন, যারা আজকে সম্পদ লুণ্ঠন করে পাচার করে নিয়ে যায়, তাদের এ দেশের মাটিতে জায়গা নেই।’ তিনি বলেন, ‘যারা এখন ক্ষমতায় আছে, তারা কি একবারও এ কথা শুনছে?’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিপ্লব করেছেন।  আমাদেরও এটা সম্ভব। বলছি না যে এখান থেকেই করতে হবে। বাইরে যারা থাকেন, তারা করুক। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ অমুক–তমুক আইন, গুম করে দেওয়ার বিষয় আছে।’

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে বাম–ডান সবাইকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি। সাংবাদিকরাও যদি এক প্ল্যাটফর্মে আসেন, তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে।’

শফিক/এমএ/

সিলেট বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্বে তরুণ মুখ মিফতাহ্

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
সিলেট বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্বে তরুণ মুখ মিফতাহ্
মিফতাহ সিদ্দিকী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) পদে মনোনীত হয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকী।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির এ তথ্য জানানো হয়।

যোগাযোগ করা হলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি থেকে বলা হয়, সাংগঠনিক এ দায়িত্বের বিষয়টি যথারীতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। 

মিফতা সিদ্দিকী সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক নেতৃত্বে একটি আলোচিত নাম। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতার কেন্দ্রীয় পদে আসীন হওয়ায় সিলেট বিভাগে নেতৃত্বে তারুণ্যের ছোঁয়া লেগেছে বলে স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা জানিয়েছেন।
 
মিফতাহ সিদ্দিকী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ যথাক্রমে সহ-প্রচার সম্পাদক ও সদস্য ছিলেন। তিনি সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও এমসি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ৯০ পরবর্তী সিলেট ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন। স্থানীয় অঙ্গনে তার অনুসারী একটি পক্ষ বিএনপির চলমান আন্দোলনে বেশ সক্রিয় বলে জানা গেছে। 

তার অনুসারীরা বলেছেন, বিগত সিলেট মহানগর বিএনপির সম্মেলনের পূর্বে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালনকালীন ওয়ার্ড বিএনপিগুলোকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালীন সময়ে তিনি রাজপথে নেতা কর্মীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেন। তার বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে একাধিক গায়েবি মামলায়ও তিনি আসামি ছিলেন। এসব মামলা সত্ত্বেও তিনি সাংগঠনিক তৎপরতা থেকে কখনো নিস্ক্রিয় হননি।
   
কেন্দ্রীয় বিএনপির নতুন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসীন হওয়ায় মিফতাহ সিদ্দিকী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আমাকে এই পদে মনোনীত করায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’ 

মিফতাহ আরও বলেন, ‘নেতৃত্বের এ অর্জন আমার নয়, এ অর্জন সমগ্র সিলেট বিভাগ বিএনপি পরিবারের। সাংগঠনিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সিলেট বিভাগের বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাই।’

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে এর আগে সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন ও প্রয়াত সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম। এর আগে বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলী ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। তৃণমূল থেকে এ পদে সরাসরি আসীন হওয়া নেতা হচ্ছেন মিফতাহ সিদ্দিকী।

এসবি/অমিয়/

বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ২৯ সদস্যের এ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয় শনিবার। দুই ভাগে এর নাম দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ‘বিএনপির চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি এবং স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি’। 

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি:

চেয়ার অব দ্য কমিটি তারেক রহমান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিএনপি), আবদুল মঈন খান (সদস্য, স্থায়ী কমিটি), নজরুল ইসলাম খান (সদস্য, স্থায়ী কমিটি), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি), আলতাফ হোসেন চৌধুরী (ভাইস চেয়ারম্যান), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ভাইস চেয়ারম্যান), নিতাই রায় চৌধুরী (ভাইস চেয়ারম্যান), ইসমাইল জবিউল্লাহ (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য), হুমায়ুন কবির (আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক), সিরাজুল ইসলাম (সাবেক রাষ্ট্রদূত) ও তাজভিরুল ইসলাম (সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি)।

স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি:

শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম, নাসির উদ্দিন অসীম, নওশাদ জমির, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান, আফরোজা খান, ফাহিমা নাসরিন, জিবা খান, নিপুণ রায় চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, মীর হেলাল উদ্দিন, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ফারজানা শারমীন, ইসরাফিল খসরু, আবু সালেহ মো. সায়েম (ইউকে) ও ইকবাল হোসেন (বেলজিয়াম)।

সবুজ/এমএ/