১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুরের গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে ভারতীয় পণ্য বর্জনের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেছেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।
জোটের নেতারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০ ওয়াগন রেলগাড়ি ভর্তি করে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত, ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য ধান, চাল, গম লুট করে, ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণসামগ্রী পাচার করে, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরির পাশাপাশি ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের পাট নিয়ে গিয়ে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্প-কারখানা তৈরি করে ভারত; এভাবে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই শোষণ করে আসছে।
দেশপ্রেমিক মানুষের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় পণ্য বর্জন- এমন মন্তব্য করে ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সীমান্তে ১ হাজার ২০০-এর বেশি নিরীহ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে, তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে। যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।’