ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রবিবার নাকি রোববার!

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
রবিবার নাকি রোববার!

আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি ও পড়ে আসছি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনটি হচ্ছে রবিবার। কিন্তু ইদানীং বেশ কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচার ও গণমাধ্যম, পাঠ্যপুস্তকে রবিবারের স্থলে লেখা হচ্ছে ও বলা হচ্ছে রোববার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোনটি সঠিক, রবিবার নাকি রোববার? নাকি দুটিই সঠিক! আমার জানামতে, এটি বাংলা সাধু বা চলিত ভাষারীতির কোনো বিষয় নয়। তাহলে বানানে বা উচ্চারণে কেন দ্বৈতনীতি?

আমাদের পাশের দেশ ভারতে কিন্তু এখনো রবিবার বলা হয় বা লেখা হয়। তাহলে আমাদের দেশে কেন বানানে ভিন্ন রীতি। এমন কোনো মহৎ ব্যক্তি আছেন কি, এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারবেন! এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেলে আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবেন এবং সঠিক বিষয়টি জানতে পারবেন। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোমলমতি শিশুরা সঠিক বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পারবে। আশা করি, বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং এর সঠিক উত্তর পাব।

মো. মোশতাক মেহেদী 
সহকারী প্রধান শিক্ষক, বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমারখালী, কুষ্টিয়া
[email protected]

মোবাইল নেটওয়ার্ক দেওয়াটা জরুরি

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ এএম
মোবাইল নেটওয়ার্ক দেওয়াটা জরুরি

কোটা সংস্কারের রায় হয়েছে। দেশে কারফিউ শিথিল হয়েছে। পেটের দায়ে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক কেন দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ সেই আদিম যুগে নেই। নেট ছাড়া মানুষ এখন আর চলতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মতো মোবাইল নেটও এখন বিশেষ দরকার। 

দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন, যারা বিদেশ থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে থাকেন। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের অর্ডারের কাজ জমা দিতে হয়। আবার বায়ারদের কাছ থেকে কাজ নিতে হয়। দেশে গত এক সপ্তাহ নেট না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ফ্রিল্যান্সাররা। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা কোনো কাজের অর্ডার নিতে পারছেন না। তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

তা ছাড়া যারা উবারের মাধ্যমে গাড়ি চালান বা বিভিন্ন আপসের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন, তাদের আয় একদম বন্ধ। যারা অনলাইন ব্যবসা করেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় দেশের বহু মানুষের আয়ের পথ বন্ধ রয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছেড়ে দিতে পারে। মানুষ আর ভোগান্তি চায় না। তাই সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, মোবাইল নেটওয়ার্ক অতি দ্রুত চালু করুন। 

অনুপম সারজিল
ধানমন্ডি, ঢাকা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারকপত্রটি বাতিল করা হোক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ এএম
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারকপত্রটি বাতিল করা হোক

অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর-০৭.০০.০০০০.১৬৫.০৭.০০২.১২-৬০, তারিখ: ০৯ আগস্ট, ২০২১-এ বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, একই পদে কোন কর্মচারীর উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ায় কোন উচ্চতর বেতন গ্রেড পেয়ে থাকলে উন্নীতকরণের তারিখ হতে ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর ৭(১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য।’ 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত এই বিধিটি বিএসআর কিংবা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতার কোন বিধি থেকে উদ্ভব হয়েছে, স্মারকপত্রে স্পষ্টভাবে তার উল্লেখ নেই। এই স্মারকপত্রটির কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরে প্রাপ্য উচ্চতর গ্রেড নিয়ে নানা বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। 

সহকারী সচিব মো. সামীম আহসান স্বাক্ষরিত ২১-০৯-২০২৬ তারিখের স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০২.১৬ (অংশ-১)-২৩২ জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ পরিপত্রেও যা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে তার প্রাসঙ্গিক বক্তব্য হলো: ‘(গ) উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা: (৩) একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী কোন প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ (দশ) বৎসর চাকরিপূর্তিতে ১১তম বৎসরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছর পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবে না।’ 

এখানে উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড) ব্রাকেটবন্দি করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো কর্মচারী টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড না পেয়ে থাকলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে ১০ বছর চাকরিপূর্তিতে ১১তম বছরে তিনি পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড পাবেন। স্মারকপত্রটি ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে বিধায় বাতিল করা হোক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
[email protected]

শান্তি ফিরে আসুক দেশে

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
শান্তি ফিরে আসুক দেশে

গত এক সপ্তাহ দেশজুড়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অবস্থা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সফলতা এসেছে। দেশের চাকরিতে এখন ৯৩ শতাংশ মেধা কোটায় চাকরি হবে। কোটা সংস্কারের রায়ের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। 

দেশ এখন কিছুটা শান্ত। এখন ব্যাংকসহ সব সরকারি অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষ রাস্তায় বের হতে শুরু করেছে। ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশে আর কোনো সহিংসতা না হলে সব সামাজিক মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে। দেশ কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে একটু বেঁচে থাকতে চায়। দেশে কারফিউ জারি থাকায় সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরার উপক্রম। 

মানুষ সহিংসতা চায় না। শান্তি চায়। সবাই রাজনীতি বুঝতে চায় না। দুবেলা মুখে দুমুঠো ভাত চায়। দেশ স্বাভাবিক হলে সব শ্রেণির মানুষ একটু খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারবে। গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি মানুষকে করেছে মর্মাহত। তার পরও মানুষ শান্তি চায়। সব শোক ভুলে গিয়ে নতুনভাবে কর্মস্থলে ফিরে যেতে যায়। সরকারের উচিত জনগণের স্বার্থে শান্তির দুয়ার খুলে দেওয়া। 

মেহেদী হাসান 
আমলাপাড়া, কুষ্টিয়া

মেধাবীরা বিদেশে যাওয়ার টাকা পাবে কোথায়?

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
মেধাবীরা বিদেশে যাওয়ার টাকা পাবে কোথায়?

কেউ কেউ বলেন, মেধাবীরা দেশ ত্যাগ করবে। আমার প্রশ্ন, মেধাবীরা দেশত্যাগ করার জন্য লাখ লাখ টাকা পাবে কোথায়? তবে সবাই নয়, কতিপয় মেধাবী তার বাবার অসৎ উপার্জিত টাকা দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। যেতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার মেধাবী ছেলেরা বিদেশে যে যাবে, সেই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা যে আমার নেই। আমার একটাই দাবি, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল চাই। 

প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়া পরীক্ষা চাই। মেধার ভিত্তিতে সর্বস্তরে চাকরি দেওয়া হোক। আমার ছেলেদের কর্মসংস্থান বাংলাদেশেই চাই। কারণ, আমি ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে স্লোগান দিয়ে শপথ নিয়েছিলাম, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলা মাকে মুক্ত করো’। 

আমার হৃদয়ে জননী জন্মভূমি বাংলাদেশ। এ দেশ ছেড়ে আমি যাব না, আমার ছেলেরাও যাবে না। একজন ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে হলে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। সে টাকা কোথায় পাব আমি? আমার তো অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা নেই। যারা বা যে ছেলেরা বিদেশে যায় তাদের বাবারা হয় ঘুষখোর, নয়তো দুর্নীতিবাজ বা তাদের উপার্জিত টাকা অসৎ পথে অর্জন করা।

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

সুন্দরবনের গহিনে প্রাণবৈচিত্র্যের ঘুরে দাঁড়ানো

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৪, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪, ১০:১৫ এএম
সুন্দরবনের গহিনে প্রাণবৈচিত্র্যের ঘুরে দাঁড়ানো

প্রাণবৈচিত্র্যে অনন্যা সুন্দরবনের গহিনে চলছে এখন ভয়াবহ নৈরাজ্য। বর্ষার প্রবল বৃষ্টিধারায় বন তার রূপ-ছন্দ ফিরে পেলেও সেখানে অপতৎপরতা রোধ করা সম্ভব হয়নি। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বনের ভেতর সব কার্যক্রম সরকার বন্ধ রাখে। তাতে করে রিমালের ভয়াবহ তাণ্ডব থেকে বন ঘুরে দাঁড়ানোর একটা বড় ধরনের সুযোগ পায়। অনেক দিন মানুষের পদচারণ বন্ধ থাকায় বন তার আপন খাদ্যচক্রে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু সরকার জেলে, বাওয়ালি ও কাঁকড়া শিকারিদের বনে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে। তাতে বনের ওপর নির্ভরশীল যারা তারা চরম খাদ্যসংকটের মুখে পড়ে। সেখানে বিকল্প কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় বনের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তারা মানতে পারছে না। তাই বনের গহিনে খালের ভেতর তারা বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার করছে। সরকার বনে মানুষের কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও জেলে, বাওয়ালি ও কাঁকড়া শিকারিদের কোনো প্রকার ভাতা ও চাল দেওয়ার কার্যক্রম নেয়নি। তাতেই বনে সংকট তৈরি হয়েছে। 

অপরদিকে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ মৎস্যজীবীদের সহায়তা তালিকা প্রস্তুতে অনিয়মের অভিযোগে সেখানে ৩৭৫ জন জেলে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অনেক জেলে দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে সহায়তার চাল আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু খালি হাতে ফেরায় তাদের উভয় দিকেই ক্ষতি হয়েছে। এখানে প্রকৃত জেলেদের নাম মৎস্য দপ্তরে থাকলেও অনেকেরই নাম তাতে বাদ পড়ার অভিযোগে চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে। তাই বন রক্ষায় সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না হলে ক্ষতবিক্ষত বন আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। তাতে বনের পশুকুল বিপন্ন হবে।

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]