ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

কিশোরদের জন্য নবিজিকে (সা.) জানার সহজ বই ‘ছোটোদের সীরাতুন নবী সা.’

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
কিশোরদের জন্য নবিজিকে (সা.) জানার সহজ বই ‘ছোটোদের সীরাতুন নবী সা.’
ছোটোদের সীরাতুন নবী সা. বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনী পাঠ করা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্তব্য নির্ধারণ এবং সেই কর্তব্য পালনের সঠিক নির্দেশনা পেতে পারি। তাঁর পবিত্র সিরাত পাঠের মাধ্যমে আমরা জ্ঞান-প্রজ্ঞা, দ্বীন-ইমান, আদব-আখলাক, আদর্শ জীবন গঠন ও আল্লাহর দিকে দাওয়াত ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে অতুলনীয় পাথেয় অর্জন করতে পারি। প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস সাক্ষী যে, পবিত্র সিরাত যুগে যুগে অসংখ্য মানুষকে ইমানের পথ দেখিয়েছে। 

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর নাজিল হওয়া কোরআন, সেই কোরআনের আলোয় উদ্ভাসিত তাঁর বাস্তব জীবন, তাঁর অনন্য চরিত্র-মাধুর্য, তাঁর মহত্ত্ব, মহানুভবতা যুগে যুগে অসংখ্য মানুষকে ইমান ও বিশ্বাসের স্নিগ্ধ ছায়াতলে নিয়ে এসেছে। তাঁর পবিত্র জীবন তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাতের এক দেদীপ্যমান প্রমাণ, যার প্রভাব কোনো ন্যায়নিষ্ঠ হৃদয় ও মস্তিষ্ক এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই তাঁর পবিত্র জীবন ও কর্ম ইমান লাভের মাধ্যম আর ইমানের আলোকপ্রাপ্ত সৌভাগ্যবান মানবের ইমান-বৃদ্ধির উপায়। তবে এর জন্য খোলা মন নিয়ে পবিত্র সিরাতের সান্নিধ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। বড়োদের জন্য নানাবিধ সিরাতের বই বাজারে থাকলেও ছোটদের জন্য তেমন নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো তেমন পাঠযোগ্য নয়। ছোটদের পাঠযোগ্য করে সহজ ভাষায় ছোটোদের সীরাতুন নবী সা. বই লিখেছেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদবি (রহ.)। 

ছোটোদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা এ বইয়ে খুব সংক্ষেপে সিরাতের সারনির্যাস সন্নিবেশিত হয়েছে। সিরাতের চমৎকার ঘটনাবলি, দাওয়াতের প্রাথমিক ইতিহাস, বিভিন্ন বিজয়াভিযান, নববি তরবিয়তের শিক্ষণীয় ঘটনাসমূহ ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনেক মুজেজার বর্ণনাও এতে চলে এসেছে।

মোট কথা, বইটি যেন একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠশালা। তাতে ছোটোরা ইমান-ইহসান ও আত্মিক পবিত্রতার সঙ্গে যেমন বেড়ে উঠবে। জীবন-পথের অমূল্য পাথেয় পাবে; অন্ধকারে পথচলার জন্য পাবে উজ্জ্বল আলো। সর্বোপরি, এটা হবে এমন অস্ত্র যার মাধ্যমে নিজের জান ও ইমান বাঁচাতে পারবে। এমন পয়গাম যা পৃথিবীর অপরাপর জাতির সামনে পেশ করতে পারবে অনায়াসে।

লেখক বইটি রচনা করতে গিয়ে সিরাত ইবনে হিশামের ওপর অনেকটা নির্ভর করেছেন। কিছু প্রাচীন গ্রন্থ ও সিহাহ সিত্তার সহযোগিতাও নিয়েছেন। বইটি নিতান্তই শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা। 

বইটিতে পনেরোটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে জাহেলি যুগ, দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাসুলের আবির্ভাবের আগে, তৃতীয় অধ্যায়ে নবুয়তের পর, চতুর্থ অধ্যায়ে মদিনায়, পঞ্চম অধ্যায়ে ওহুদ যুদ্ধ, ষষ্ঠ অধ্যায়ে বনু কুরাইজার যুদ্ধ, সপ্তম অধ্যায়ে হুদাইবিয়ার যুদ্ধ, অষ্টম অধ্যায়ে রাজা-বাদশাহ ও আমির-ওমারাদের ইসলামের দাওয়াত, নবম অধ্যায়ে খায়বার যুদ্ধ, দশম অধ্যায়ে মুতার যুদ্ধ, একাদশ অধ্যায়ে মক্কাবিজয়, দ্বাদশ অধ্যায়ে হুনাইনের যুদ্ধ, ত্রয়োদশ অধ্যায়ে তায়েফ যুদ্ধ, চতুর্দশ অধ্যায়ে প্রতিনিধি আসার বছর ও পঞ্চদশ অধ্যায়ে রাসুল (সা.)-এর মৃত্যুর আলাপ রয়েছে। 

বইটি লিখেছেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদবি। অনুবাদ করেছেন মাওলানা ইবরাহিম খলিল। বইটি প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল ইসলাম। ২৫৬ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪৯০ টাকা। দেশের অভিজাত সব লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যায়। সরাসরি মাকতাবাতুল ইসলাম থেকে বইটি কিনতে ভিজিট করুন ফেসবুক পেজে

বই: ছোটোদের সীরাতুন নবী সা.
লেখক: সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদবি
অনুবাদ: মাওলানা ইবরাহিম খলিল
প্রকাশক: মাকতাবাতুল ইসলাম 
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৫৬
মুদ্রিত মূল্য: ৪৯০ টাকা
মোবাইল: ০১৯১২-৩৯৫৩৫১

 

নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?
খেজুর দিয়ে সাজানো খাবারের থালার ছবি । সংগৃহীত

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। সঠিকভাবে রোজা আদায়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধিবিধান। তাই রোজা সঠিকভাবে আদায় করতে হলে অবশ্যই মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে।


নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে? এই ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো নিষেধ নেই। তবে কুলি করে, উভয় হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করা উত্তম। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সঠিক হয়ে যাবে এবং এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। 


তবে মনে রাখতে হবে, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময়মতো নামাজ আদায় করতে হবে। রোজা যেমন ফরজ বিধান, ঠিক তেমনই নামাজও ফরজ বিধান। সব সময়ই একটি বিষয় স্মরণে রাখা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া কবিরা গুনাহ। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।


কেননা একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন। (মুসলিম ২৫৯২; বাদায়েউস সানায়ে, ১/১৫১)
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন। এর পর তিনি গোসল করে নিতেন। ফজর নামাজ পড়তেন। এভাবে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৮২৯; মুসলিম ১১০৯) 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক 

যেভাবে রমজান কাটাতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)—১৯ রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন
আলোয় উজ্জ্বল চাঁদের ছবি । সংগৃহীত

রোজা শুধু আল্লাহর জন্য এবং তিনিই এর প্রতিদান দেবেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম—তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম, ১১৫১) 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা হলো ঢাল ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ। (মুসনাদে আহমদ, ৯২২৫)  
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। (মুসলিম, ১১৫৩)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদাররাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সে দিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি, ১৮৯৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন সেই সত্তার শপথ রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের ঘ্রাণ থেকেও প্রিয়। (বুখারি, ১১৫১)


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমদ, ৬৬২৬)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ যখন পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন নামাজ, রোজা, সদকা সে গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়। (মেশকাত, ১৭৩)  অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, পৃষ্ঠা: ৪০২)


আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করেন তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ দোয়া কবুল করা হয়। (জামেউল আহাদিস, ১৮৬৮৩)

 

লেখক : আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২০ মার্চ, ১৯ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৬ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।


২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪৬ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রী কি কি করতে পারবে?

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রী কি কি করতে পারবে?
স্বামী-স্ত্রীর প্রতীকী ছবি । সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলিমদের জন্য ফরজ। তবে অনেকেই রোজা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান থাকেন। রমজানের দিনে স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ইসলামের নির্দেশনা খুবই স্পষ্ট। রোজা রেখে স্ত্রীর সঙ্গে চুম্বন, আলিঙ্গন বা স্পর্শ করা জায়েজ, তবে শর্ত হলো এতে যেন সহবাস বা বীর্যপাতের আশঙ্কা না থাকে। নবিজি (সা.) নিজেও রোজা রেখে স্ত্রীদের চুম্বন করতেন এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন।


আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) রোজা অবস্থায় তাকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করতেন। তিনি বলেন, নবিজি (সা.) ছিলেন যৌনাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি। (বুখারি, ১৯২৭; মুসলিম, ১১০৬)


তবে, যারা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না, তাদের জন্য রোজার সময় এ ধরনের ঘনিষ্ঠতা এড়ানোই উত্তম। শাইখ উসাইমীন (রহ.) বলেছেন, যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাদের জন্য স্ত্রীকে চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করা জায়েজ। কিন্তু যাদের বীর্যপাতের আশঙ্কা বেশি, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত। (মাজমুউল ফাতাওয়া, ১৯/২৫৬)


রোজা অবস্থায় সহবাসের ক্ষেত্রে ইসলাম কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রোজা অবস্থায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায় এবং এর জন্য কাফফারা দিতে হয়। কাফফারা হলো একজন দাস মুক্ত করা, অথবা লাগাতার দুই মাস রোজা রাখা, অথবা ৬০ জন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো। (বুখারি, ১৯৩৬)


সহবাস বলতে পুরুষাঙ্গ ও স্ত্রী-অঙ্গের মিলন বোঝায়। এতে বীর্যপাত হওয়া শর্ত নয়। শুধু সংস্পর্শেই রোজা ভেঙে যাবে। তাই রোজার সময় সহবাস থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা আবশ্যক। রোজার সময় স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা জায়েজ, তবে তা যেন সহবাস বা বীর্যপাতের দিকে না যায়। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা যায়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ না থাকলে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

 

জেলে যাওয়ার কারণে মান্নতের রোজা ছুটে গেলে করণীয় কি?

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
জেলে যাওয়ার কারণে মান্নতের রোজা ছুটে গেলে করণীয় কি?
জেলে আবদ্ধ হওয়ার ছবি । সংগৃহীত

প্রশ্ন: গত বছর আমার ছেলে একটি মিথ্যা মামলায় আটক হয় এবং সাত বছরের জেল দেওয়া হয় পরে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করি আপিলের চূড়ান্ত রায়ের দিন ছিল ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আমি তখন মান্নত করি যে, যদি ওই দিন আমার ছেলের মুক্তির রায় হয়, তা হলে আমি ২৩ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা এক মাস রোজা রাখব

আলহামদুলিল্লাহ, ২২ নভেম্বর আমার ছেলের মুক্তির রায় হয় এবং আমি ২৩ নভেম্বর থেকে রোজা রাখা শুরু করি কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে মাঝে তিন দিন রোজা রাখতে পারিনি এখন জানতে চাই, আমাকে কি পুনরায় পুরো এক মাস রোজা রাখতে হবে, নাকি শুধু ছুটে যাওয়া তিন দিনের রোজা কাজা করলেই চলবে?

 

উত্তর: কেউ যদি আল্লাহর নামে রোজা রাখার মান্নত করে, তা হলে সে রোজা রাখা ওয়াজিব হয়ে যায় তবে কোনো শর্তের ভিত্তিতে মান্নত মানলে সেই শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ওয়াজিব হয় না, শর্ত পূরণ হলেই ওয়াজিব হয়

প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে শুধু ছুটে যাওয়া তিন দিনের রোজা কাজা করতে হবে পুনরায় পুরো এক মাস রোজা রাখার প্রয়োজন নেই কারণ, মান্নতের রোজা রাখার সময় যদি কোনো কারণে কিছু রোজা ছুটে যায়, তা হলে শুধু ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করাই যথেষ্ট

অতএব, আপনি শুধু ছুটে যাওয়া তিন দিনের রোজা কাজা করবেন এতেই আপনার মান্নত পূর্ণ হয়ে যাবে (বাদায়েউস সানায়ে /২৬৫; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া /২৩৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া / ২১০; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর /৩৪০)

 

লেখক : সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ