টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা
ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত নারী দল। ফলে আগে বোলিং করবে স্বাগতিক মেয়েরা।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে দিবা-রাত্রির এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচ দিয়ে ভারতের হয়ে এই ফরম্যাটে অভিষেক হচ্ছে সাজানা সাজিভান।

এখন পর্যন্ত দুই দলই মোট ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে যেখানে ভারতের ১৪টি জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টিতে।

বাংলাদেশ একাদশ

নিগার ‍সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, দিলারা আক্তার দোলা, সোবহানা মোস্তারি, মুরশিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, সুলতানা খাতুন ও ফারিহা ইসলাম।

ভারত একাদশ

স্মৃতি মান্ধানা, হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), শেফালি ভার্মা, স্বস্তিকা ভাটিয়া, দীপ্তি শর্মা, সাজানা সাজিভান, রিচা ঘোষ, পূজা ভাস্তকার, রেনুকা সিং, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল ও রাধা যাদব।

 

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা আগামীকাল

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা আগামীকাল
ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ঘোষণা হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। এমন গুঞ্জন ছিল বহুদিন ধরে। গতকাল সিরিজ শেষ হলেও ঘোষণা হয়নি দল। সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে আগামীকাল। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘোষণা করা হবে বিশ্বকাপের দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

সোমবার (১৩ মে) এক বিবৃতিতে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় সূচি জানিয়ে দেয় বিসিবি।

এর আগে গত ১ মে ছিল আইসিসিতে বিশ্বকাপের দল জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্ধারিত সময়ে আইসিসির কাছে দল জমা দিয়েছিল বিসিবি। তবে সেই স্কোয়াডে কারা কারা আছেন সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। আগামীকাল চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বিসিবি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ তিন বছরের পরিকল্পনায় বিশ্বকাপে উগান্ডা

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
তিন বছরের পরিকল্পনায় বিশ্বকাপে উগান্ডা
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১ জুন (বাংলাদেশ সময় ২ জুন ভোর সাড়ে ৬টা) পর্দা উঠবে ২০২৪ মেন্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টের নবম সংস্করণের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে সর্বোচ্চ ২০ দল। সরাসরি খেলবে ১২ দল। এ ছাড়া বাছাইয়ের বাধা টপকে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফ্রিকার নামিবিয়া, উগান্ডা, এশিয়ার নেপাল, ওমান, ইউরোপের আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আমেরিকার কানাডা এবং পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনি। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর বিশ্লেষণ নিয়ে খবরের কাগজের বিশ্বকাপের বিশেষ আয়োজন। আজ থাকছে উগান্ডা দল।

মানুষ উগান্ডাকে নিয়ে কেন বেশি ট্রল করে? এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই। অল্প শব্দে বলতে হলে বলা যায়- সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশটির মাধ্যমে খাটো করা হয় অন্যদের। কৃষ্ণাঙ্গ জাতিটি তাদের মাথা উঁচু করেছে ক্রিকেটকে পুঁজি করে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে ২২ নম্বরে থেকে খেলবে ২০ দলের বিশ্বকাপে। আইসিসির যেকোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এটাই তাদের প্রথম অংশগ্রহণ।

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দেশগুলোর একটি উগান্ডা। যেখানে ক্রিকেট তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তার একটি বিশেষ স্থান তৈরি করতে পারেনি। সেই অর্থে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় তাদের জন্য বেশ বড় কীর্তি। ফুটবল, রাগবি সেভেনস এবং নেটবল জনপ্রিয়তা আধিপত্য বিস্তার করলেও ব্রায়ান মাসাবার দল বৈশ্বিক ইভেন্ট নিশ্চিত করে ইতিহাস রচনা করেছে।  উগান্ডায় ক্রিকেট তার শিকড় খুঁজে পায় ১৯ শতকের শেষের দিকে, ১৮৯০ সালে মিশনারিদের দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল। অতীব ধীরগতিতে খেলাটি সেখানে বেড়ে উঠতে সময় লেগেছে ১০০ বছরের বেশি। এখনো ওয়ানডে স্ট্যাটাস নেই তাদের। টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরু ২০১৯ সালে। এরই মাঝে ম্যাচ খেলে ফেলেছে ৯১টি।  আবার অল্প সময়েই খুলেছে বিশ্বকাপের দুয়ার। উগান্ডা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউসিএ) চেয়ারম্যান মাইক নুওয়াগাবার মতে, মাত্র তিন বছরের পরিকল্পনায় এই উচ্চতায় তারা।

এখন বিশ্বমঞ্চে ছাপ ফেলার প্রত্যাশায় ৩২ বছর বয়সী অধিনায়ক মাসাবা, যিনি বোলিং অলরাউন্ডার। তার দলে আছে ফ্রাঙ্কো সুবুগা। টি-টোয়েন্টিতে যারা অন্তত ১০০ ওভার বল করেছেন তাদের মধ্যে তার ইকোনমি রেট সেরা (৪.৭৮)। উগান্ডা স্কোয়াডে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রনক প্যাটেল এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বিলাল হাসান। স্পিন ভাগের চালকাশক্তি আলপেশ রামজানি এবং হেনরি সেনিওন্ডো।

প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ক্রিকেটার নিয়ে আফ্রিকা অঞ্চলের উগান্ডা বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে জিম্বাবুয়ের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারিয়ে। বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপে তাদের লড়তে হবে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান এবং পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। এর মধ্যে শুধু মাত্র পাপুয়ার নিউগিনির বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে তাদের। সেটাতেও জুটেছে হার। অর্থাৎ স্বপ্নপূরণের পর এবার অগ্নিপরীক্ষার সামনে উগান্ডা। আগামী ৪ জুন আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে তারা।

আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত সুবুগা

বয়স ৪৩ বছর। ২৭ বছর ক্রিকেটে উৎসর্গ। ফ্রাঙ্কো সুবুগার আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। খেলবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছেন এই অফস্পিন অলরাউন্ডার। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হতে চলেছেন তিনি। যদিও এটা তার আত্মত্যাগের তুলনায় সামান্য বটে!
১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিতে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আইসিসি ইভেন্টে প্রথমবার উগান্ডার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সুবুগা। এটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপের বাছাই টুর্নামেন্ট ছিল। যে আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে নিয়েছিল। ২৭ বছর পর ফের আন্তর্জাতিক ইভেন্টে তিনি। এখন  তার ঝুলিতে ৫৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা। আগামী আগস্টে ৪৪-এ পা ফেলতে যাওয়া সুবুগার নামের পাশে রয়েছে ৫৫ উইকেট এবং ১৫৮ রান।

স্পিন পাওয়ারহাউস

অভিজ্ঞ সুবুগার দলে রয়েছে তরুণ প্রতিভাও। তারা হলেন- স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার আলপেশ রামজানি এবং বাঁহাতি স্পিনার হেনরি সেনিওন্ডো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপুঞ্জিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তারা দুজনে। ইতিহাস গড়েছেন গত বছর। ৩০ ম্যাচে ৫৫ উইকেট শিকার করে ‘২০২৩ আইসিসি মেন্স টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার অব ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিলেন রামজানি। তার সতীর্থ সেনিওন্ডো সমান ম্যাচে পেয়েছিলেন ৪৯ উইকেট। তাদের উপস্থিতিতে উগান্ডা যেন ‘স্পিন পাওয়ারহাউস’। স্পিন শক্তিতে বলবৎ দলটির ব্যাটিং লাইনআপে ভরসার কেন্দ্রে রিয়াজত আলী শাহ এবং দিনেশ নাকরানি।

টি-টোয়েন্টিতে উগান্ডার অভিষেক ২০ মে ২০১৯

ম্যাচ: ৯১

জয়: ৬৯

হার: ১৯

পরিত্যক্ত: ৩ 

অভয় শর্মা, প্রধান কোচ

বিগত ১২ মাসে ক্রিকেটে উগান্ডা দল ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যদিও কিছু জায়গা রয়েছে, বিশেষ করে ফিল্ডিং, সেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা মাঠে কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। সেই সুযোগগুলো হাতছাড়া করার পরও আমরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। ভাবুন, আমরা যদি এই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি তাহলে আমরা কতটা ভালো পারফর্ম করতে পারি। মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা যেকোনো দিনে বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।

উগান্ডা দল: ব্রায়ান মাসাবা (অধিনায়ক), রিয়াজত আলি শাহ, কেনেথ ওয়াইসওয়া, দিনেশ নাকরানি, ফ্রাঙ্কো সুবুগা, রোনাক প্যাটেল, রজার মুসাকা, কোমমাস কিয়েউতা, বিলাল হাসুন, ফ্রেড আচেলাম, রবিনসন ওবুয়া, সাইমন সেসাজি, হেনরি সেনিওন্ডো, আলপেশ রামজানি এবং জুমা মিয়াজি। রিজার্ভ প্লেয়ার্স- রোনাল্ড লুটায়া এবং ইনোসেন্ট এমওয়েবাজ।

ফখর-রিজওয়ানের ব্যাটে সিরিজে সমতায় ফিরল পাকিস্তান

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
ফখর-রিজওয়ানের ব্যাটে সিরিজে সমতায় ফিরল পাকিস্তান
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে পইছিয়ে পড়া পাকিস্তান দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে ফিরেছে সমতায়। আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য তারা টপকে গেছে ৮ উইকেটয় হাতে রেখে।

১৯৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। ফখরের ব্যাটে আসে  ৪০ বলে ৭৮ আর রিজওয়ান করেন ৪৬ বলে ৭৫ রান। ফখর আউট হলেও অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। ফখরের পর ব্যাটিংয়ে নামা আজম খান ১০ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৩০ রান করে। 

রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকানো সাইম, মার্ক অ্যাডাইরের পরের বলেই শর্ট মিডউইকেটের ফিল্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ দেন। দলীয় ১৩ ও ব্যক্তিগত শূণ্য রানে সাজঘরের পথ ধরেন বাবরও। হিউমের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেন তিনি।

দ্রুত ২ উইকেট হারালেও বড় এই রান তাড়া করে জয় আদায় করে নিতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে ফখর-রিজওয়ানের জুটিতে। তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রান যোগ করেন দুজন। ফখর ৩১ ও রিজওয়ান ৫০ করেন ৩৪ বল খেলে। ৪০ বলে ৭৮ রান করা ফখর বেন হোয়াইটের বলে গ্যারেথ ডেলানিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৫তম ওভারে। দলের রান তখন ১৫৩। পাকিস্তান তখন জয় থেকে ৪১ রান দূরে আর হাতে ছিল ৩৩ বল। 

সেই সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে ফেলেন মঠে আসা নতুন ব্যাটার আজম খান। ১৭তম ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিন ছয় হাঁকিয়ে নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের জয়।

এর আগে, টস হেরে আয়ারল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে করে ৭ উইকেটে ১৯৩ রান। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন লোরকান টাকার ৩৪ বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে হ্যারি টেক্টরের ব্যাটে ২৮ বলে ৩২। শেষ দিকে গ্যারেথ ডেলানি ১০ বলে ২৮ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ১৩ বলে ২২ রান করেন। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ৪৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

পিএসজির মাঠে শেষ ম্যাচে হারের স্বাদ এমবাপ্পের

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১১:০৪ এএম
পিএসজির মাঠে শেষ ম্যাচে হারের স্বাদ এমবাপ্পের
ছবি : সংগৃহীত

গেল সপ্তাহেই লিগ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি। দুদিন আগে কিলিয়াম এমবাপ্পেও ঘোষণা দিয়েছেন, মৌসুম শেষেই তিনি ছেড়ে যাচ্ছেন প্যারিসের ক্লাবটিকে। সেই হিসেবে তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচটি এমবাপ্পের পিএসজির জার্সিতে প্যারিসের মাঠে শেষ হওয়ার কথা। সেই ম্যাচেই কিনা পিএসজিকে হারতে হলো ৩-১ গোলের ব্যবধানে।

রবিবার (১২ মে) ঘরের মাঠে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছেই হেরেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের দল পিএসজি।

যদিও পার্ক দে প্রিন্সেসে দাপুটে শুরুই করেছিল পিএসজি। ৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ফ্রাঞ্চের বিশ্বকাপজয়ী তারকা এমবাপ্পে। এক গোল হজম করলেও ৫ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ১৩ মিনিটেই সমতায় ফেরে তুলুজ। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশকিছু আক্রমণ চালালেও কেউই পাচ্ছিল না গোলের দেখা। গোল শোধ করার প্রচেষ্টায় সফল না হয়ে উলটো ম্যাচের ৬৮ মিনিটে হজম করে বসে আরেকটি গোল। তুলুজের হয়ে গোল করেন ইয়ান গবোহো। আর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফ্রাঙ্ক মাগ্রি তুলুজের জয় নিশ্চিত করেন।

যদিও এই হারে কোন ক্ষতি হয়নি পিএসজির। ৩২ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে তারা। ৩৩ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মোনাকো। আর ৩৩ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশে তুলুজ।

এই জিম্বাবুয়ের কাছেও বাংলাদেশের হার!

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
এই জিম্বাবুয়ের কাছেও বাংলাদেশের হার!
ছবি : সংগৃহীত

আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই। যেখানে বাংলাদেশ জিতলেও দুর্বল জিম্বাবুয়ে কঠিন লেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। চতুর্থ ম্যাচে তো একপর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসে বাংলাদেশকে আর ছেড়ে কথা বলেনি। হারের নোনা স্বাদ দিয়েছে ৮ উইকেটে  ম্যাচ জিতে। জিম্বাবুয়ের জন্য এই জয় সান্ত্বনার এবং ধবলধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করলেও ব্যাপক অর্থে এই জয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ টেস্ট খেলুড়ে দেশ হওয়ার পর  একমাত্র তারাই ১ জুন শুরু  হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি। যেখানে আবার এবার খেলবে সর্বোচ্চ ২০ দল। তাই এমন জয় তাদের জন্য শুধু সান্ত্বনারই নয়, অনুপ্রেরণারও। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ছিল অশনি সংকেত।  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই জিম্বাবুয়েকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে  প্রথম চার ম্যাচ টানা জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে ছিল না তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলার মতো কোনো কিছু। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতবে- এটাই স্বাভাবিক। দেখার বিষয় ছিল সেই জয়ের পথে ব্যাটিং-বোলিং  কেমন হয়। বোলাররা লেটার মার্কস পেয়ে  পাস করলেও ব্যাটাররা ছিলেন ছন্ন ছাড়া। শেষ ম্যাচে ব্যাটাররা  ছিলেন যথারীতি ছন্নাছাড়া। সঙ্গে যোগ হয়েছিল বোলারদের নিরামিষ বোলিং। ফলে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। হারকে মেনে নিয়ে সমালোচনাকারীদের জন্য উত্তপ্ত উনুনে  নিজেদের নিক্ষেপ করেন।

সিরিজে ব্যাটাররা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরেছেন,  শেষ  ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে রান করেছিলেন ৬ উইকেটে ১৫৭। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে যথাক্রমে ১৪৩ ও ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করার পরও বোলারদের  বদান্যতায় ম্যাচ জিততে পেরেছিল দল। কিন্তু এবার বোলাররা ব্যাটারদের অনুসরণ করলে আর সম্ভব হয়নি ম্যাচ জেতা। বলা যায়, বিলম্বে হলেও জিম্বাবুয়ের ব্যাপাররা নিজেদের ফিরে পেয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বোলারদের সাধারণ মানে নামিয়ে আনেন। যে কারণে ম্যাচ জিততে তারা উইকেট হারান মাত্র ২টি। ওভার অব্যবহৃত ছিল ১.৩টি। জিম্বাবুয়ের এমন সহজ জয়ের রূপকার ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বেনেট  ৪৯ বলে ৫টি করে চার ও ছয় মেরে ৭০ রান করে আউট হলেও রাজা  ৪৫ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চরে ৭২ রানে অপরাজিত থেকে  দলকে জিতিয়েই  রাজকীয়ভাবে মাঠ ছাড়েন।

যদিও বাংলাদেশের রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার মারুমানিকে ১ রান করার পরই ফিরিয়ে দিয়েছিল। সে সময় দলের রান ছিল ৩৮। এ সময় মনে হয়েছিল বোলাররা আগের চার ম্যাচের মতোই জ্বলে উঠবেন। জিম্বাবুয়ে খুব বেশি হলে লড়াই করতে পারবে। কিন্তু এ ধারণা  এবার সত্য  হয়নি। ওপেনার  বেনেটের সঙ্গে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা জুটি গড়ে পুরো দৃশ্যপটই বদলে  দিতে থাকেন। সেটিই এমনভাবেই তারা বদলে দিতে থাকেন যে, একপর্যায়ে মনে হয়েছে  তারাই  দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়বেন। জুটিতে ১১ ওভারে ৭৩ রান আসার পর ম্যাচ সেরা বেনেট ৭০ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে রিশাদের হাতে ধরা পড়ে বিদায়  নেন।  ৩৬ বলে করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তার বিদায়ের পরও নড়বড়ে  হয়নি জিম্বাবুয়ে। জয়ের প্রবল আকাঙ্ক্ষা থেকে তারা পরে আর কোনো উইকেটই পড়তে দেননি। বাকি কাজটি সারেন আসলে সিকান্দার ‘রাজার মতোই ব্যাট করে। জুটিতে যে ৪৫ রান আসে, সেখানে সঙ্গী জনাথন ক্যাম্পেবেলের রান ছিল মাত্র ৮।

বোলাররা হতাশায় ডুবানোর আগে আসল ডুবানোর কাজটি করেন ব্যাটাররাই। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচ প্রথমবারের মতো  খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে জিম্বাবুয়েও। যে কারণে টস জিতে আর ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেননি সিকান্দর রাজা। ব্যাটিং  করতে  নেমে বাংলাদেশ পড়ে ব্যর্থতার মুখে। চতুর্থ ম্যাচে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান করা তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার এবার  দুজনেই ব্যর্থ  হন দলীয় ৯ রানেই ফিরে গিয়ে। এই ব্যর্থতা আরও সংক্রমিত হয় সিরিজে মোটামুটি ধারাবাহিক ভালো খেলা তাওহীদ হৃদয় ১ রান করে ফিরে গেলে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭.৩ ওভারে ৬৯ রান যোগ করে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। ২৮ বলে ৩৬ রান করে নাজমুল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে রায়ান বার্লের হাতে ধরা পড়ে ফিরে যাওয়ার পর বাকি ৫০ বলে আসে মাত্র ৭৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে ক্যারিয়ারে নিজের অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি।  ৪৪ বলে  ৫৪ রান করে মুজারাবিনের বলে সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়েন। দুজনেরই স্ট্রাইকরেট ছিল ১৩০-এর নিচে। সাকিবও স্ট্রাইকরেট বাড়াতে পারেননি ১৭ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে। তবে স্ট্রাইকরেট বাড়ানোর কাজটি করেন জাকের আলী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুজনে শেষ ২ ওভারে ২৯ রান যোগ  করেন।  ২১৮.১৮ স্ট্রাইকরেটে জাকের ১১ বলে ২ ছক্কা ও চারে ২৪ ও সাইফউদ্দিন  ১৫০.০০ স্ট্রাইকরেটে  ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।