নেকাব পরার কারণে ভাইভা না নেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সেই ছাত্রীর ভাইভা নেওয়া হয়েছে। ইবি উপাচার্যের নির্দেশে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নেকাব পরা অবস্থায় ওই ছাত্রীর ভাইভা নেওয়া হয়।
ইবির হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিমুল রায় ভাইভা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই ছাত্রী ইবির হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভাইভা নেওয়ার আগে নারী শিক্ষক দ্বারা নেকাব পরা ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এ সময় ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিমুল রায়, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালাম লুনা ও সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমি নেকাব পরা অবস্থায় ভালোভাবেই ভাইভা দিয়েছি। শিক্ষকরা আন্তরিক ছিলেন। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার শিকার যাতে অন্য কেউ না হয়, এমনটি প্রত্যাশা করি।’
বিভাগটির সভাপতি বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশে আমরা ওই ছাত্রীর ভাইভা নিয়েছি। ভাইভা নেওয়ার আগে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা লুনা ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী নেকাব পরে প্রথম সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভায় অংশ নেন। ওই সময় তাকে নেকাব খুলে ভাইভা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি নেকাব খুলতে রাজি হননি। ফলে তার ভাইভা নেননি ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত শিক্ষকরা। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর ফলে গত ২১ ও ২২ জানুয়ারি দুই দফায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি ও কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
এমএ/