ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

বশেফমুমেবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
বশেফমুমেবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন
আহ্বায়ক শমসের রাসেল (বাঁয়ে) ও সদস্যসচিব হুমায়ুন কবির জুয়েল

প্রতিষ্ঠার প্রায় ছয় বছরের মাথায় সিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুমেবি) অফিসার্স অ‍্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে নগরীর জিন্দাবাজারের একটি হোটেলের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব, ভারপ্রাপ্ত) শমসের রাসেলকে আহ্বায়ক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জুয়েলকে সদস্যসচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

আহ্বায়ক কমিটির চারজন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন অঞ্জন দেবনাথ (সহকারী রেজিস্ট্রার), মাইদুল ইসলাম চৌধুরী (সহকারী কলেজ পরিদর্শক), মো. গোলাম সরওয়ার (সহকারী পরিচালক, প.উ.), খালেদা চৌধুরী (সেকশন অফিসার)। 

সদস্যরা হলেন আতিক শাহরিয়ার ধ্রুব (সেকশন অফিসার), মো. আশরাফুল ইসলাম হিমেল (সেকশন অফিসার), সাজু ইবনে হান্নান খান (সেকশন অফিসার), আব্দুল মুনিম (প্রকিউরমেন্ট অফিসার), মো. মোশাররফ হোসেন (উপ-সহকারী প্রকৌশলী), রুহেল আলম (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মো. রাশেদুল ইসলাম (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), নাফিস ইমতিয়াজ (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), গৌতম চন্দ্র দে (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মো. শফিকুল ইসলাম (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মো. তৌফিকুল ইসলাম (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), কাজী মাসুদ (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মবরুর মিয়া (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), বুলবুল এ কাওছার (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মো. রহমত আলী (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মো. আবু মুসা (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মুমিনুর রহমান (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), তামান্না ফিরোজী (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), দেবশ্রী রানী দাস (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), আলী ফজল মো. কাওছার (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), হালিমা বেগম (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), এনি সরকার (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), আসিফ আদনান আল হাদী প্রশাসনিক কর্মকর্তা)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আহ্বায়ক কমিটি বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করবে। আহ্বায়ক কমিটি নবগঠিত অফিসার্স অ‍্যাসোসিয়শনের পরিধি বৃদ্ধি করে স্থায়ী সাংগঠনিক কাঠামোয় পরিচালিত হওয়ার পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

২০১৮ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠাকালে নাম ছিল ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’। এটি দেশের চতুর্থ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসের মাধ্যমে কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। সিলেট বিভাগের তিনটি সরকারি মেডিকেল কলেজসহ বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।

শাকিলা ববি/সালমান/

ঈদের বন্ধে ঢাবিতে বুধবার থেকে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
ঈদের বন্ধে ঢাবিতে বুধবার থেকে নিরাপত্তা জোরদার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার (৪ জুন) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে থাকবে অস্ত্রধারী পুলিশ। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত এই নিরাপত্তাব্যবস্থা চলমান থাকবে।

মঙ্গলবার (৩ ‍জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদের এক যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে (শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, দোয়েল চত্বর, উদয়ন এবং অফিসার টাওয়ার) প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সঙ্গে প্রত্যেকটি স্থানে দুজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্যাম্পাস এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সেনা সদর দপ্তরের সামরিক অপারেশন অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার রাত ১০টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবন’ সংলগ্ন পকেট গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

 

চবিতে ছাত্রী মেসে চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
চবিতে ছাত্রী মেসে চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে ছাত্রীদের একটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন ছাত্রীর প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ ওঠেছে। মূলত বাড়িওয়ালীর উদাসীনতা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রীদের।

সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, গত ১ জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে খায়ের মেনশনে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন ছাত্রীর নগদ টাকা, সাটিফিকেট, পোশাক, প্রসাধনীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। এর আগেও গত বছর জুলাইয়ের ২৪ তারিখ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি বাড়িওয়ালী।  

ছাত্রীরা আরও বলেন, এছাড়াও প্রায়ই বাসার বাইরে থেকে তাদের অন্তর্বাসসহ, ফোনের চার্জার, জুতা ইত্যাদি চুরি করা হলেও বাড়িওয়ালা নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। এটা ছাত্রীদের মেস হলেও নেই সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তার কথা বলা হলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ওই বাড়িওয়ালী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতলা বাড়িতে মোট ৪টা রুম এবং চিলেকোঠায় একটি রুম রয়েছে। তবে, দুইটি রুম ও চিলেকোঠার একটি রুমের মোট ৪ জন ছাত্রীর মালামালা চুরি হলেও বাকি রুমগুলোর কোনো মালামালই চুরি হয়নি। 

ভুক্তভোগী একজন ছাত্রী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রাইসা জহির বলেন, আমি এবং আমার রুমমেট ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ১ তারিখ রাতে আমাদের রুমে চুরি হয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে এসে দেখি আমার সার্টিফিকেট, মোবাইল ফোন, কাপড়, প্রসাধনী জিনিসপত্র, নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় ছাত্রীরা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য কোনো গার্ড বা সিসি ক্যামেরাও নেই। প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাড়িওয়ালী। তাকে এ বিষয়ে বলা হলে উনি বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। যেহেতু বাড়িওয়ালার উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। 

এর আগে বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা স্বীকার করে বাড়িওয়ালী মাহমুদা বেগম রিনা বলেন, চুরি কমানোর জন্য জানালার অতিরিক্ত গ্রিল লাগানো হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উদাসীনতারও দায় দেন তিনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, চবি কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে মেয়েদের মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি বাড়িওয়ালী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত বাড়িটিতে আসা যাওয়া করেন। আপাতত অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে চোর পরিচিত কেউ-যার এ বাসার সবকিছু জানা আছে। আমরা দেখেছি শুধুমাত্র ছাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে, যদিও সেখানে বাড়িওয়ালার আলমিরাসহ দামী জিনিসপত্র অক্ষুণ্ণ আছে এবং চোর যাওয়ার সময় বাড়িতে তালাও লাগিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা আশা করি বাড়িওয়ালা কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করে বিষয়টির সমাধান সহজ করবেন।


মাহফুজ শুভ্র/মাহফুজ

 

ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য কোরবানীর পশু ক্রয় ও গোস্ত বিতরণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী সব শিক্ষার্থী ও কর্মচারীকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলো।

মেহেদী/

খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন লাইট লাগানো এবং পুরাতন লাইট মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আগে ক্যাম্পাসের যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো ছিল না বা একদম অন্ধকার ছিল, সেসব জায়গা এখন আলোকিত। এর আগে খবরের কাগজে গত ২৮ মে ‘শাবিপ্রবিতে বহিরাগতদের আনাগোনায় নিরাপত্তাহীন শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় কিভাবে নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

তখন প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল, এ বিষয়ে খুব শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিতে কাজ শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের এ রকম উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি, নিরাপত্তাহীনতার জন্য দায়ী অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিত করার কাজ শুরু করেছি। বৃষ্টির জন্য কাজটা যদিও দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাসে লাইটিং-সহ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করার।

ইসফাক আলী/অমিয়/

শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল
খননকৃত খাল। ছবি:খবরের কাগজ

বিগত বছরগুলোতে বর্ষাকাল আসতে না আসতেই অল্প বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এবার বর্ষা আসার আগেই ক্যাম্পাসের প্রতিটি খাল পুনরায় খনন করায় সে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশংসায় ভাসছে প্রশাসনের খাল খননের এ উদ্যোগ। 

সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটে বিগত কয়েকদিনের মৌসুমি বৃষ্টিতে আগের মতো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে। পুনঃখননকৃত খাল দিয়ে সহজেই ক্যাম্পাসের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত ঠিক উল্টো চিত্র। একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হতো, রাস্তা ডুবে যেতো এবং এতে করে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো শিক্ষার্থীদের। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন ও নতুন খাল খনন করা হয়। খালটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা টিলারগাও এলাকা দিয়ে চেঙ্গের খালে গিয়ে পতিত হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তুফা আহাম্মেদ বলেন, অতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দিত, যা শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাত। তবে সম্প্রতি খাল খনন ও জলাধার উন্নয়নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন বৃষ্টির পরও ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় না, যা শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তির বিষয়। এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সবাইকে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তাই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই প্রথম এই কাজটার দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমাদের কাজ এখনো চলমান আছে। আশা করি এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, প্রত্যেক বছর বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাস প্লাবিত হয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। পাশাপাশি ক্লাসরুম বা ল্যাবের ভিতরে পানি ঢুকে অনেক ক্ষতি করতো। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সময় মতো খাল খনন করা হয়েছে। খালের পানি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাহিরে যাতে পানি সহজে নিষ্কাশন হয় সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রশাসককে বলা হয়েছে। তারাও বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার খানাখন্দ ঈদের বন্ধের মধ্যে মেরামতের জন্যও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। আশা করি এই বন্ধের মধ্যে তারা এটা করে ফেলবে।


মো: ইসফাক আলী/মাহফুজ