ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

শাবিপ্রবিতে হাতের ছাপে জাতীয় পতাকা

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩ এএম
শাবিপ্রবিতে হাতের ছাপে জাতীয় পতাকা
ছবি : খবরের কাগজ

জাতীয় পতাকা দিবস উপলক্ষে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতের ছাপে তৈরি করা হয়েছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। নিজেদের অর্থায়নে কাপড় ও রং কিনে তারা এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করেন।

শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে হাতে লাল ও সবুজ রং মিশিয়ে সাদা কাপড়ে ছাপ দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের চূড়ায় পতাকাটি উত্তোলন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন। 

শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পতাকাকে যেন কোনোভাবেই অবমাননা করা না হয় সেদিকে তোমরা খেয়াল রাখবে।

প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক নিজের হাতের ছাপ দিয়ে এই সুন্দর কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন। 

আয়োজক দলের সদস্য শিমুল ও নাবিল জানান, অনেক দিন ধরেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস উপলক্ষে কিছু একটা করার। সহপাঠীরা মিলে অবশেষে এ দিনেই আয়োজন করতে পারায় আনন্দ লাগছে। মূলত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পতাকা অর্জনের পেছনের ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই এ পতাকা। পরবর্তী সময়ে পতাকাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনে উত্তোলন করি আমরা। লাল-সবুজের পতাকা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই আমরা। 

১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছিলেন ছাত্র নেতা আ স ম আব্দুর রব। এরপর থেকে এই দিনটি জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

ইসফাক আলী/জোবাইদা/অমিয়/

বেরোবিতে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পুড়িয়ে বয়কটের ডাক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
বেরোবিতে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পুড়িয়ে বয়কটের ডাক
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের ডাক দিচ্ছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে এই দুই দৈনিক বয়কটের ডাক দিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই দুটি পত্রিকা পুড়িয়ে দেন তারা। এ সময় পত্রিকা দুটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফাহিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো জুলাই-আগস্টের যে বিপ্লব হয়েছে তা মেনে নিতে পারেনি। এমনকি এখনো পত্রিকাগুলো বিভিন্ন সময় নেতিবাচক খবর প্রচার করে আবারও ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। এ ছাড়া ওয়ান ইলেভেনের মূল কারিগর ডেইলি স্টার-প্রথম আলো। গণহত্যাকারী সংগঠন ছাত্রলীগকে তারা এখনো নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে মনে করে না।’

এ ছাড়া অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী আলভির বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকা দুটি এ দেশে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার হীনউদ্দেশ্যকে অত্যন্ত নগ্নভাবে সমর্থন করে চলেছে।’

গাজী আজম/নাইমুর/অমিয়/

বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরের টং দোকান গোসলের পানি খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
গোসলের পানি খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘদিন ধরে গোসলের পানি খাওয়াচ্ছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অভ্যন্তরীণ শান্তিনিকেতন এলাকার টং দোকানিরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কিছুই জানে না। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে টং দোকানিরা যে ট্যাপ থেকে পানি সরবারাহ করেন, সেই পানি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের গোসলের জন্য ব্যবহার করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ট্যাপ থেকে আনা পানি কোনো ধরনের ফিল্টার বা বিশুদ্ধকরণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া এই পানি দিয়েই ধোয়ামোছা করা ও চা বানানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় গোসলের পানি খাওয়াচ্ছেন টং দোকানিরা। প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ পানি খাওয়ার পরেই শিক্ষার্থীরা ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কবে প্রশাসন সচেতন হবে?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের টং দোকানি জামাল মিয়া বলেন, ‘পানির লাইন থেকেই পানি আনি আমরা। কিন্তু এ পানি কোথা থেকে আসে, সেটা জানি না। আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম, এটা গোসলের পানি। এখন থেকে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি একটু সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি খাওয়ানো সহজ হবে।’

মারুফ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকেই দেখছি, টং দোকানিরা ট্যাপের পানি বোতলে ভরে আমাদের খাওয়াচ্ছেন। পানির সোর্স সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলত, বিশুদ্ধ পানি খাওয়াচ্ছেন। আজ জানতে পারলাম, এটা গোসলের পানি।’

অপরিশোধিত পানি পানে স্বাস্থ্যঝুঁকির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত আরা পারভীন বলেন, ‘এ পানি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, টাইফয়েডসহ নানা রোগ হতে পারে। মেডিকেল সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্বর, ঠাণ্ডার পর আমরা পানিবাহিত রোগের রোগী বেশি পাচ্ছি। এরপরেও দোকানিরা এই পানি শিক্ষার্থীদের খাওয়াচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত টং দোকানগুলোতে তদারকি করছি। বিষয়গুলো নিয়ে এদের জরিমানাও করা হয়েছে। এরপরেও তারা এমন অস্বাস্থ্যকর কাজ করেই যাচ্ছেন। তারা যদি আমাদের কথা না শোনেন, তাহলে সেখান থেকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করব।’

চবির ক্লাব ও সংগঠন সম্ভাবনা অনেক, চ্যালেঞ্জও কম নয়

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
সম্ভাবনা অনেক, চ্যালেঞ্জও কম নয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে মুক্তমঞ্চ হিসেবে। একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি সেগুলো বিকাশ করে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা। বিতর্ক, গবেষণা, সাংস্কৃতিক, আবৃত্তি, ক্যারিয়ার, সামাজিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব গুণাবলি, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। তবে অপার সম্ভাবনা থাকলেও অর্থের অভাব, প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানা কারণে কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যাও পোহাতে হচ্ছে সংগঠনকর্মীদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক ক্লাব ও সংগঠন রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিতর্ক সংগঠন, আবৃত্তি সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ইতিহাস ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, বিভাগভিত্তিক ক্লাবসহ আরও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংগঠন হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটার্স অব চিটাগং ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা সোসাইটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গন শিল্পীগোষ্ঠী ইত্যাদি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিমত, বিতর্ক সংগঠন যেমন শিক্ষার্থীদের যুক্তি ও বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা বাড়াতে সহায়তা করে, তেমনি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষাকেন্দ্রিক সংগঠনগুলো গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। ক্যারিয়ার ক্লাবগুলো পেশাগত দিক থেকে প্রস্তুত করতে নানা কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করে, যা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারের উন্নয়নে সহায়ক হয়। এদিকে আবৃত্তি সংগঠন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে ভূমিকা রাখে এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে আসছে। এ ছাড়া ইতিহাস ক্লাব, পরিবেশ সংসদ এবং চলচ্চিত্র সংসদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ে তথ্য ও জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। এসব সংগঠন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি, যোগাযোগ দক্ষতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের জন্য একটি পরিপূর্ণ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। তবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কখনো প্রশাসনের, কখনো রাজনৈতিক দলগুলোর দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়। পড়াশোনার পাশাপশি অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা। সেই তুলনায় অনেকে মিডিয়া থেকে সেভাবে আর্থিক সহায়তা পাই না।’ 

বিতর্ক সংগঠন ডিবেটার্স অব চিটাগং ইউনিভার্সিটির (ডিসিইউ) প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল মাছুম বলেন, ‘মুক্তবুদ্ধি এবং মুক্তচিন্তা চর্চায় বিশ্বাস করে ডিসিইউ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অঙ্গনে বিতর্কচর্চা এবং প্রচার-প্রসার করে আসছে। তবে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে ডিসিইউ আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌক্তিক ও মুক্তচিন্তার বিকাশে অবদান রাখতে পারবে।’

চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের (সিইউসিসি) সভাপতি সাফায়েত জামিল নওশান জানান, সিইউসিসি চবির শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে আসছে। তবে কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা দেয় তা হলো প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান পাওয়া যায় না।

চবির অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন। কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ সব সময়ই থাকে। এর মধ্যে একটি হলো সংগঠনের নিজস্ব কক্ষ নেই। এ প্রতিবন্ধকতা কাটাতে পারলে আরও বেশি সাংগঠনিক কাজ বাড়বে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি দরকার যোগ্য ও দক্ষ হওয়া, যা কো-কারিকুলার এক্টিভিটির (পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ) মাধ্যমে অর্জন সম্ভব। এসব কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য বিভাগভিত্তিক বিতর্ক, সাহিত্য সংসদ ক্লাব, ক্রীড়া ক্লাব, মানবাধিকার সংগঠন ইত্যাদি থাকে এবং স্ব-স্ব বিভাগ যদি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করে, তা হলে শিক্ষার্থীরা এসব কার্যক্রমে আরও উৎসাহিত হবে।

 এভাবে তারা দক্ষতা অর্জন করে দেশ এবং দেশের বাইরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যেসব সংগঠন রয়েছে তারা অনুমতি সাপেক্ষে চাকসু ভবনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পাসেই তারা এসব কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটি পরিচালনা করুক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন-রাতের পার্থক্য দেখতে চাই না। শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম, এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি দিন-রাতে সমানভাবে পরিচালনা করতে পারে এ রকম শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস চাই। সবার সহযোগিতায় যেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।’

৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
সাত কলেজের অধিভুক্তির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: খবরের কাগজ

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের  মধ্যে কোনো যৌক্তিক সমাধান না পেলে ২০১৯ সালের মতো ‘লাগাও তালা, বাঁচাও ঢাবি’ কর্মসূচি করার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  

শুক্রবার (১ নভেম্বর) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস।

এ সময়ের মধ্যে অধিভুক্তি বাতিল করা না হলে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে তালা ঝুলানোর মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের বোঝা বহন করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। সাত কলেজের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বোঝা বহনের সক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। এই বোঝা কাঁধে নেওয়ার ফলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে একটা নির্দিষ্ট জায়গা করা হবে, যেখান থেকে তাদের জন্য কার্যক্রম চালানো হবে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল ইসলামের এমন মন্তব্য প্রত্যাখান করে রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ‘এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাবি, কেননা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এখানে কী হবে আর কী হবে না তার সিদ্ধান্ত একান্তই ঢাবির। আমরা এমন মন্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি।’

৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে পরবর্তী কর্মসূচি প্রসঙ্গে আরেক শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে যদি অধিভুক্তি বাতিল না করা হয় তাহলে ৭৩ ঘণ্টায় গিয়ে মঙ্গলবারে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে ২০১৯ সালের মতো সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলানো হবে।’

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।

সাত কলেজ ইস্যুতে বৈঠক করবে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তররের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘ সরকারের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোপূর্বে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলে আলাপ করেছে। সরকারও বিষয়টির জনগুরুত্ব বিবেচনা করে আন্তরিকতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে (সম্ভাব্য আগামী রবিবার) এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, সরকারি সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এব্যাপারে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।’

/আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

বেরোবিতে দীপাবলি উদযাপন

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
বেরোবিতে দীপাবলি উদযাপন
বেরোবিতে প্রদীপ প্রজ্বালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় (অস্থায়ী) মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি উদযাপিত হয়েছে। এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় (অস্থায়ী) মন্দির থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মন্দিরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।  

এই আয়োজনে প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় সংগীত, আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

একই সঙ্গে মিডিয়া চত্বরের সামনে প্রদীপ জ্বেলে, আতশবাজি ও ফানুশ উড়িয়ে দীপাবলি উদযাপন করেন শিক্ষার্থীরা।

উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা খবরের কাগজকে বলেন, দীপাবলির মূল মন্ত্রণা হলো- প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে জগতের সব অন্ধকার কাটানো। প্রদীপের আলো সবাইকে আলোকিত করে সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি সবার জীবনে সার্বিক সুপ্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। 

এ সময় এ উৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান  শিক্ষার্থীরা। 

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী পঙ্কজ রায় খবরের কাগজকে বলেন,  ‘আজকে আমরা যে প্রদীপ প্রজ্বালন করলাম, সেটির মাধ্যমে যেন জগতের যত আঁধার আছে তা কেটে যায় এবং সবার মধ্যে যেন শান্তি বিরাজ করে এই আশা রইল। প্রদীপ প্রজ্বালন মূলত এই শান্তির বার্তা নিয়েই আসে। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা চার দিন থেকে এই প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই আমরা সেটি সুষ্ঠুভাবে পালন করছি।’

গাজী আজম/নাইমুর/পপি/