বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধুরা আমাদের আনন্দ, দুঃখ, ভালোবাসা- সবকিছু ভাগ করে নেয়। তাদের সঙ্গে থাকলে আমরা একা অনুভব করি না। বন্ধু তৈরি করার কোনো মূলমন্ত্র নেই। তবে কিছু জিনিস মনে রাখলে ক্যাম্পাসে বন্ধু তৈরি করা সহজ হয়। যেমন-
আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজের মূল্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অন্যের কাছে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করুন। নিজের ভালো গুণাবলি সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলোকে কাজে লাগান।
বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখুন। নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাবেন না। হাসি-খুশি মুখে সবার সঙ্গে আড্ডা দিন। অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন।
সাধারণ আগ্রহ খুঁজে বের করুন। যেসব বিষয় আপনার পছন্দ, সেসব নিয়ে আলোচনা করুন। একই আগ্রহের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। নতুন নতুন ক্লাবে যোগ দিন বা নতুন নতুন কাজ শিখুন।
ধৈর্য ধরুন। বন্ধুত্ব তৈরি হতে সময় লাগে। তাড়াহুড়ো করবেন না। ধৈর্য ধরে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখুন। সব মানুষই ভুল করে। ভুল স্বীকার করতে ভয় পাবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিন এবং নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করুন।
সৎ এবং বিশ্বস্ত হোন। বন্ধুদের সঙ্গে সৎ থাকুন। তাদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। তাদের গোপন কথা কাউকে বলবেন না।
সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের জন্য আপনার সময় বের করুন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিন, ঘুরতে যান বা অন্য কোনো মজার কাজ করুন।
ক্ষমাশীল হোন। সব মানুষই ভুল করে। বন্ধুদের ভুল ক্ষমা করতে শিখুন। রাগ বা বিরক্তি মনে রেখে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না।
বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। তাদের খোঁজ-খবর নিন। তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন, মেসেজ করুন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন।
বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। তাদের মতামতকে সম্মান করুন। তাদের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। তাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ালেও শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখুন।
বন্ধুত্ব করার উপকারিতা:
বন্ধুত্ব করার উপকারিতা অনেক। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো যায়। হাসি-ঠাট্টা, আড্ডা, এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মানসিক চাপ কমানো যায়। বন্ধু সুখ ও আনন্দ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বন্ধুদের দ্বারা গ্রহণযোগ্যতা ও প্রশংসা পাওয়া আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সঙ্গ একোকীত্বের অনুভূতি দূর করে।
উপযুক্ত বন্ধুর কাছে নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা যায়। বন্ধুদের কাছ থেকে নতুন জিনিস শেখা, তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া ব্যক্তিগত বিকাশে সাহায্য করে। বন্ধুদের সমর্থন ও উৎসাহ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। বন্ধুদের সাথে মতামত ভাগ করে নেওয়া, তাদের পরামর্শ ও সহায়তা জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। বন্ধুদের মাধ্যমে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় ও সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়। তাদের সাথে মিলে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।
জাহ্নবী