ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

৫ বছর ধরে নষ্ট ইবি গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ এএম
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ এএম
৫ বছর ধরে নষ্ট ইবি গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পাঁচ বছর ধরে নষ্ট হয়ে আছে গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন। এটি ভালো করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও গ্রন্থাগারে অভিজ্ঞ লোকবল না থাকায় চালু রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গুরুত্বপূর্ণ নথি ফটোকপি করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। অফিসের বাইরে থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি ফটোকপি করছেন তারা। এতে তৈরি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা।
 
এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা এই ফটোকপি মেশিন দিয়ে গ্রন্থাগারে থাকা প্রয়োজনীয় বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফটোকপি করতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, গ্রন্থাগারে পড়াশোনা করতে এসে কোনো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফটোকপি করার প্রয়োজন হলে এখানে থাকা ফটোকপি মেশিন থেকে তা করতে পারছি না। বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের দোকান থেকে ফটোকপি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। দ্রুত ফটোকপি মেশিন চালু করে আগের মতো সুবিধা চালুর দাবি জানান তারা। 

গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, কোনো বইয়ের নির্দিষ্ট অংশ শিক্ষার্থীরা ফটোকপি করতে পাতাপ্রতি ১ টাকা নেওয়া হতো। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে ফটোকপি মেশিন নষ্ট। ফলে সেই সুযোগ শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না। তবে কোনোমতে কাজ চালানোর মতো একটি ফটোকপি মেশিন রয়েছে বলে জানা যায়। যেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ নথি ফটোকপি করেন তারা। এ ছাড়া অন্য নথি বাইরের দোকান থেকে ফটোকপি করা হয়। এদিকে কয়েক দফায় ফটোকপি মেশিনটি মেরামত করা হলেও অভিজ্ঞ লোকবল না থাকায় চালু রাখা সম্ভব হয়নি বলে দাবি গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ রয়েছে, গ্রন্থাগারে যেসব অভিজ্ঞ লোক ছিল তাদের অন্য দপ্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপগ্রন্থাগারিক গোলাম কবির বলেন, ‘মেশিন চালানোর মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিও নেই। মেশিনটা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নষ্ট। এজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের অল্প খরচে ফটোকপির সুযোগ দিতে পারছি না।’ 

ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক শাহনাজ বেগম বলেন, ‘ফটোকপি মেশিনটি কয়েকবার ঠিক করার পরও একই অবস্থা। এটি পরিবর্তন করে নতুন একটি মেশিন নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। লাইব্রেরি কমিটির মিটিং হলে আমরা বিষয়টি উপস্থাপন করব।’ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু ডকুমেন্টস বাইরে থেকে ফটোকপি করা হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ফটোকপি করার মতো আমাদের ছোটখাটো একটি ফটোকপি মেশিন রয়েছে।’

বেরোবিতে আবু সাঈদের শাহাদৎবার্ষিকীতে যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৩১ এএম
বেরোবিতে আবু সাঈদের শাহাদৎবার্ষিকীতে যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা
শহিদ আবু সাঈদ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আগামী ১৬ জুলাই পালিত হতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের শাহাদৎবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’।

দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক)।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।

এদিনে কর্মসূচি
সকাল সাড়ে ৬টায় পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা, সকাল সাড়ে ৭টায় শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারণ ও শোকর‍্যালি, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনাসভা, বিকেল সাড়ে ৩টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বাদ আসর (বিকাল সাড়ে ৫টা ৩০ মিনিট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, অনুষ্ঠানে আবু সাঈদের বাবা থাকবেন প্রধান অতিথি।

এ ছাড়াও আরও ২১ জন শহিদ পরিবারের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। তারা সবাই স্টেজে থাকবেন। উপদেষ্টাসহ অন্যান্য অতিথিরা নিচে থাকবেন।

গাজী আজম/অমিয়/

নোবিপ্রবির ৪৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাচ্ছেন গবেষণা প্রণোদনা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
নোবিপ্রবির ৪৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাচ্ছেন গবেষণা প্রণোদনা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ৪৭৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী পাচ্ছেন গবেষণা প্রণোদনা। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা তিনটি ক্যাটাগরিতে গবেষণা প্রণোদনা দিচ্ছি- পিএইচডি ফেলোশিপ, প্রকাশনা প্রণোদনা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী যৌথ গবেষণা (মাস্টার্স)।’

তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৯ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যৌথ গবেষণায় (মাস্টার্স) প্রণোদনা পাচ্ছেন। এ ছাড়া, ২০২২ সালের জন্য ২৮ জন শিক্ষক, ২০২৩ সালের জন্য ৩৩ জন এবং ২০২৪ সালের জন্য ৫১ জন শিক্ষক প্রকাশনা প্রণোদনার জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া পিএইচডি ফেলোশিপ পাচ্ছেন ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ জুলাই সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মো. রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে গবেষণা প্রণোদনার চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্রকৌশল খাতে বর্তমানে চরম বৈষম্য চলছে। যার মধ্যে রয়েছে বিএসসি প্রকৌশলের এন্ট্রি লেভেলের পদসংখ্যা সংকোচিত করা, নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে অভ্যন্তরীণ কোটার মাধ্যমে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা নিয়মের বাইরে পদোন্নতি পেলেও সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় বিএসসি প্রকৌশলীদের পদ সংকোচিত হচ্ছে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।’

বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তারা বলেন, ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুধুমাত্র ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন। সেখানে বিএসসি ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারছে না। শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরাই প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করতে পারেন, সেখানে এই পদবিরও অপব্যবহার করা হচ্ছে।’

এ সময় তারা সংবিধানের সমতা নিশ্চিতে অবিলম্বে এই বৈষ্যম নিরসনের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো- ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে; বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না, এই মর্মে আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

তিন দফা দাবি ঘোষণা করে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পলাশী মোড় প্রদক্ষিণ করে বুয়েট শহিদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ে গেল হাজার প্রাণ, করতে কোটার পুনর্বাসন?’ ‘কোটার নামে অবিচার বন্ধ করো, বন্ধ করো’ ‘প্রকৌশলীদের সব পদ, শুধুই প্রকৌশলীদের অধিকার’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এ ছাড়া বৈষম্য নিরসনে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন।

জাওয়াদ/সালমান/

ঢাবি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
ঢাবি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে ক্লাস বন্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান খান

স্ট্রোকের একদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান খান। তার অকাল মৃত্যুতে শোকার্ত পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। প্রয়াত এ শিক্ষার্থীর স্মরণে শোক পালন করতে বন্ধ ছিল বিভাগের সব ক্লাস।

রবিবার (৬ জুলাই) রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ব্রেন স্ট্রোক করে শরীরের বাম অংশ অবশ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহসান। পরে সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আহসানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান হলের জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবনের ৯০০৩নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাদ জোহর নিজ জেলা নরসিংদীর পলাশে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে আহসান খানের রুহের মাগফেরাত কামনায় বাদ এশা শেখ মুজিবুর রহমান হল মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বুধবার (৯ জুলাই) বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

আহসানের অকাল মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শোক জানিয়েছে ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। এ ছাড়া দুদিনব্যাপী বৃক্ষ ও ফল উৎসব কর্মসূচি স্থগিত করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

আরিফ/রিফাত/মেহেদী/

ডুজার মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
ডুজার মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত
ডুজার মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) আয়োজনে মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমিতির সাবেক, বর্তমান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্মিলিত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর ছিল এবারের উৎসব।

সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। 

প্রধান অতিথি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সবসময়ই এমন আয়োজন করে থাকে। যার ফলে আমরা সবাই একত্রিত হতে পারি। দেশীয় ফল নিয়ে এমন আনন্দঘন উৎসব আয়োজন করায় সাংবাদিক সমিতির সবাইকে ধন্যবাদ। সাংবাদিক সমিতি তার অতীতের গৌরবময় ইতিহাস ধরে আগামীতেও এমন কাজ করবে, এটাই কামনা করছি।’

ডুজা সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসানের সঞ্চালনায় উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদসহ ডুজার সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। 

আরিফ/রিফাত/