ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

বৃত্তিসহ ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে ২০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
বৃত্তিসহ ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে ২০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী
ছবি : খবরের কাগজ

প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। এতে নারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপাচার্য কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানকে এ নিয়ে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বৃত্তি প্রদানের জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।’ এ সময় তিনি ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজার অধিবাসীদের ওপর ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বর্বর ও নির্মম হামলা, গণহত্যা ও অমানবিক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এমএ/

ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে জাবিতে গাছ কাটার মহোৎসব, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে জাবিতে গাছ কাটার মহোৎসব, প্রতিবাদে মানববন্ধন
ছবি : খবরের কাগজ

গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৩০ মে থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। তবে বন্ধ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগে ভবন নির্মাণের জন্য চলছে গাছ কাটার মহোৎসব। কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনসংলগ্ন গাছ কাটার স্থানে এ মানববন্ধন করা হয়।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এক্সটেনশন ও নতুন প্রশাসনিক ভবনের পাশে কাটা হয় দুই শতাধিক গাছ। এই দুই ভবন নির্মাণে আরও চার শতাধিক গাছ কাটা হবে বলে জানা গেছে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার কথা উল্লেখ করে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ছাড়াই গাছ কাটার প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘ছুটি হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটার সংস্কৃতি বহু পুরোনো। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শিক্ষার্থীরা হলে নেই এই সুযোগে গাছ কাটার উৎসবে মেতেছে তারা। আজকে গাছ কাটার সময় চারুকলা বিভাগ নিজেদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাটা যায়। ভবন নির্মাণে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের একটাই দাবি, মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করা হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবন প্রয়োজন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ চাই না। আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই, কিন্তু আমরা চাই উন্নয়ন হোক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে।’

এদিকে সরেজমিন দেখা যায়, চারুকলা অনুষদের ভবন নির্মাণের জন্য সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের এক্সটেনশন অংশে দাঁড়িয়ে ছিলেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তাদের সহায়তায় ও প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে আন্দোলনের মুখে বন্ধ থাকা চারুকলা অনুষদের ভবন নির্মাণের জন্য শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক লুৎফল এলাহী বলেন, ‘এভাবে ছুটির মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগে ভবন নির্মাণ করা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কলা ও মানবিক অনুষদে আমাদের চাওয়া ছিল ভবনটি বর্তমান ভবনসংলগ্ন স্থানে করার। এতে ভবন কিছুটা ছোট হলেও পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির তেমন ক্ষতি হতো না। কিন্তু তারা সেদিকে কর্ণপাত না করে লেকের পাশে যে স্থান নির্ধারণ করেছে তাতে তৃতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পথকে উন্মোচন করল।’

এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদ ভবনের প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক এম এম ময়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নির্ধারিত জায়গাতেই ভবন নির্মাণ করছি। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কিছুই আমরা করছি না। এ ছাড়া যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, সেই গাছগুলো আমরা নিজেরাই রোপণ করে পরিচর্যা করব। সব অংশীজনের সুপারিশ গ্রহণ করে এবং তাদের নিয়ে আমরা একটি টিম তৈরি করব, যাতে তারা আমাদের অগ্রগতি লক্ষ রাখতে পারেন।’

অন্যদিকে শিক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে কলা অনুষদের পাশেই ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের পাশে ভবন নির্মাণের জন্য দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছগুলোর ঠিক পাশেই অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় লেক।

অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সরকারি-বেসরকারি নানা বৃত্তি দেয় অস্ট্রেলিয়া। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি আছে। তেমনই একটি স্কলারশিপ ‘গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ’। এটি দেশটির মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় দেয়। এ স্কলারশিপের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়টি। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নে অবস্থিত এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস পার্কভিলে।

সুযোগ-সুবিধা 
সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে।

প্রতি বছর আবাসন ভাতা হিসেবে মিলবে ৩৭ হাজার ডলার (১ ডলার সমান ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা ধরে বাংলাদেশি টাকায় ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা) প্রদান করবে (এ হিসাব ২০ মে বিকেলের);

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর অনুদান হিসেবে ৩০০০ (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ১৩৬ টাকা) ডলার প্রদান করবে;

স্বাস্থ্যবিমা প্রদান করবে।

আবেদনের যোগ্যতা
স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে;

একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে;

ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে;

বৃত্তির সংখ্যা 
ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপের আওতায় ৬০০টি বৃত্তি দেওয়া হবে। বৃত্তিগুলো অস্ট্রেলিয়ার ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য।
শেষ তারিখ: আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর। 
জেনে রাখুন: আবেদনকারী মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কোর্সের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর স্নাতক অথবা পিএইচডির জন্য গবেষণা ডিগ্রিতে আবেদন করেন, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপের জন্য বিবেচনা করা হবে।
https://scholarships.unimelb.edu.au/awards/graduate-research-scholarships

জাহ্নবী

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি

বর্তমান সময়ে যেকোনো পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। তা চাকরির পরীক্ষায়ই হোক কিংবা ভার্সিটি ভর্তির পরীক্ষা। বদলে গেছে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধরন। তাই এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বদলাতে হবে নিজেকেও। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাহলেই আসবে সাফল্য। বর্তমানে শুধু সরকারি চাকরিরই এক বিশাল পরিসর রয়েছে আমাদের দেশে। একজন চাকরিপ্রার্থী বিসিএস, সরকারি ব্যাংক, প্রাইমারি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ভিত্তিক চাকরিসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রায় বছরজুড়েই হতে থাকে এসব সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এসব চাকরি পরীক্ষার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো পরীক্ষার ধরন এবং নম্বর বণ্টনে। এ বিষয়ে অবশ্যই পরীক্ষার্থীর বিশদ ধারণা নিয়ে নিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীসহ দেশের অনেক ছাত্রছাত্রীও সঠিক উপায়ে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার গাইডলাইনের অভাবে ভুগে থাকেন। এমনকি অনেকেই সঠিক উপায়ে প্রস্তুতি না দেওয়ার দরুন একের পর এক পরীক্ষা দিয়েও সাফল্যের ছোঁয়া পাননি। শুধু কঠোর পরিশ্রমই নয়, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং গোছানো প্রস্তুতি– এই তিনটির সংমিশ্রণেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। 

পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি বেইজড প্রশ্নও পড়তে হবে। তার আগে তৈরি করতে হবে পাঠ কৌশল। এ জন্য প্রথমেই পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে হবে। কোন ধরনের প্রশ্ন আসবে অর্থাৎ এমসিকিউ, ব্যাখ্যা, এমসিকিউ+ব্যাখ্যা ইত্যাদি। কত বিষয় থাকবে, প্রতি বিষয়ের জন্য কত নম্বর, পরীক্ষার সময়কাল কত, নেতিবাচক মার্কিং আছে কি তাও জানা জরুরি।

দ্বিতীয় বিষয় সিলেবাস বিশ্লেষণ করা। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিত করুন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য কত সময় দেবেন তা নির্ধারণ করুন। একটি সময়সূচি তৈরি করুন। সেখানে নির্ধারণ করুন প্রতিদিন কত ঘণ্টা পড়বেন। পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করুন এবং তা মেনে চলুন। অধ্যয়ন উপকরণ সংগ্রহ করুন। ভালো মানের পাঠ্যপুস্তক, নোট, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করুন। অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করুন।

অধ্যয়ন পদ্ধতি কেমন হবে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। মৌলিক ধারণাগুলো শক্তিশালী করুন। প্রথমে প্রতিটি বিষয়ের মৌলিক ধারণাগুলো ভালোভাবে বুঝুন। তারপর বিস্তারিত বিষয়গুলোয় যান। সক্রিয়ভাবে পড়ুন। কেবল বই পড়বেন না, বরং নোট নিন, মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করুন, প্রশ্ন তৈরি করুন এবং উত্তর দিন। নিয়মিত অনুশীলন করুন। পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। অনলাইন মক টেস্ট দিন। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে গ্রুপ স্টাডি করুন।

এত পড়াশোনার ভেতরে বিশ্রাম নিতে ভুলে যাবেন না। একটানা দীর্ঘ সময় ধরে পড়া ক্ষতিকর। নিয়মিত বিরতি নিন এবং শরীর ও মনকে রিল্যাক্স করুন। পাঠ প্রস্তুতির পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য দরকার মানসিক প্রস্তুতি। সেজন্য আত্মবিশ্বাসী থাকুন। বিশ্বাস করুন যে আপনি ভালো করতে পারবেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করুন। আগ্রহ বজায় রাখুন। আপনার লক্ষ্য স্পষ্টভাবে মনে রাখুন। সাফল্যের জন্য নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন।
নানা ধরনের চাপ আসবে এ সময়ে। চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। পরীক্ষার চাপে হতাশ হবেন না। ধ্যান, যোগব্যায়াম, গান শোনা ইত্যাদির মাধ্যমে চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। পরীক্ষার আগের দিন ভালো করে ঘুমান। পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে রাখুন। পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র আগের দিন রাতেই তৈরি করে রাখুন। চিন্তামুক্ত থাকুন। পরীক্ষার আগে আগে নতুন কিছু পড়ার চেষ্টা করবেন না। বরং শিথিল থাকুন এবং মনকে শান্ত করুন।

জাহ্নবী

 

বৃত্তি পেলেন ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
বৃত্তি পেলেন ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৮ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের বিএস (সম্মান) পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের জন্য ৮ মেধাবী শিক্ষার্থী ‘একিউএম মহিউদ্দিন মেমোরিয়াল বৃত্তি’ লাভ করেছেন। 

গত ২৬ মে উপাচার্য অফিস-সংলগ্ন লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চেক হস্তান্তর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মনোজিৎ সাহা, মালিহা হক, মো. মিনহাজুল ইসলাম, মুনিরা নুসরাত, খাদিজা আহসান, মো. শুভ তামিম, রিহানা পারভীন নিপা এবং আবির মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ট্রাস্ট ফান্ডের দাতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রয়াত এ কিউ এম মহিউদ্দিন ছিলেন শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে একজন অসাধারণ মেধাবী ছাত্র এবং পরবর্তী সময়ে দক্ষ ও জনপ্রিয় আমলা। তার জীবন ও কর্ম শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয়। উপাচার্য আরও বলেন, বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যেমনি আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয় এবং একই সঙ্গে এই বার্তাটিও দেওয়া হয় যে, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসংক্রান্ত সব সংকটে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাশে রয়েছে। উপাচার্য বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কর্ম জীবনে সফলতা কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে সক্ষমতা অনুযায়ী একজন অ্যালামনাই হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

জাহ্নবী

ক্যাম্পাসে বন্ধুত্ব করার আগে মনে রাখুন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
ক্যাম্পাসে বন্ধুত্ব করার আগে মনে রাখুন

বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধুরা আমাদের আনন্দ, দুঃখ, ভালোবাসা- সবকিছু ভাগ করে নেয়। তাদের সঙ্গে থাকলে আমরা একা অনুভব করি না। বন্ধু তৈরি করার কোনো মূলমন্ত্র নেই। তবে কিছু জিনিস মনে রাখলে ক্যাম্পাসে বন্ধু তৈরি করা সহজ হয়। যেমন- 

আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজের মূল্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অন্যের কাছে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করুন। নিজের ভালো গুণাবলি সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলোকে কাজে লাগান।

বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখুন। নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাবেন না। হাসি-খুশি মুখে সবার সঙ্গে আড্ডা দিন। অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন।

সাধারণ আগ্রহ খুঁজে বের করুন। যেসব বিষয় আপনার পছন্দ, সেসব নিয়ে আলোচনা করুন। একই আগ্রহের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। নতুন নতুন ক্লাবে যোগ দিন বা নতুন নতুন কাজ শিখুন।

ধৈর্য ধরুন। বন্ধুত্ব তৈরি হতে সময় লাগে। তাড়াহুড়ো করবেন না। ধৈর্য ধরে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখুন। সব মানুষই ভুল করে। ভুল স্বীকার করতে ভয় পাবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিন এবং নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করুন।

সৎ এবং বিশ্বস্ত হোন। বন্ধুদের সঙ্গে সৎ থাকুন। তাদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। তাদের গোপন কথা কাউকে বলবেন না।

সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের জন্য আপনার সময় বের করুন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিন, ঘুরতে যান বা অন্য কোনো মজার কাজ করুন।

ক্ষমাশীল হোন। সব মানুষই ভুল করে। বন্ধুদের ভুল ক্ষমা করতে শিখুন। রাগ বা বিরক্তি মনে রেখে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না। 

বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। তাদের খোঁজ-খবর নিন। তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন, মেসেজ করুন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন।

বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। তাদের মতামতকে সম্মান করুন। তাদের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। তাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ালেও শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখুন।

বন্ধুত্ব করার উপকারিতা:
বন্ধুত্ব করার উপকারিতা অনেক। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো যায়। হাসি-ঠাট্টা, আড্ডা, এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মানসিক চাপ কমানো যায়। বন্ধু সুখ ও আনন্দ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বন্ধুদের দ্বারা গ্রহণযোগ্যতা ও প্রশংসা পাওয়া আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সঙ্গ একোকীত্বের অনুভূতি দূর করে।

উপযুক্ত বন্ধুর কাছে নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা যায়। বন্ধুদের কাছ থেকে নতুন জিনিস শেখা, তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া ব্যক্তিগত বিকাশে সাহায্য করে। বন্ধুদের সমর্থন ও উৎসাহ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। বন্ধুদের সাথে মতামত ভাগ করে নেওয়া, তাদের পরামর্শ ও সহায়তা জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। বন্ধুদের মাধ্যমে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় ও সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়। তাদের সাথে মিলে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।

জাহ্নবী