![ইবিতে এমফিল-পিএইচডিতে ভর্তি নিয়ে বিড়ম্বনায় ইচ্ছুকরা](uploads/2024/05/25/1700285908.islami-university-1716608874.jpg)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এমফিল ও পিএইচডি গবেষণায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সনাতনী আবেদন পদ্ধতির কারণে এমনটি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে সশরীরে ক্যাম্পাসে আসতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভর্তিচ্ছুদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ব্যাংক থেকে ভর্তির আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এরপর তা পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১৪ মে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং গত ২০ মে থেকে আবেদন শুরু হয়। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত।
এদিকে এমফিল ও পিএইচডির জন্য আলাদাভাবে মোট ২০০টি আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম পাঁচ দিনে আবেদন ফরম বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬টি। এখনো অবশিষ্ট রয়েছে ১৯৪টি ফরম।
বিশ্ববিদ্যালয় সাপ্তাহিক বন্ধ থাকা এবং দূরদূরান্ত থেকে সশরীরে আসার অনাগ্রহই আবেদন কম হওয়ার জন্য দায়ী। এ কারণে খুব কমসংখ্যক আবেদন জমা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বুদ্ধপূর্ণিমা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ব্যাংক বন্ধ থাকছে ৪ দিন। ফলে সাত দিনের মধ্যে আবেদনের সুযোগ থাকছে মাত্র ৩ দিন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘বিগত সময়ে সনাতন পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবারও গতবারের অর্ডিন্যান্সের আলোকে সনাতন পদ্ধতিতেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আগ্রহীরা যদি অনলাইনকেন্দ্রিক আবেদনের আগ্রহ প্রকাশ করে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ চাইলে অনলাইনে আবেদন নিতে পারে।’
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমরা ভেবে দেখব। যদি সবার সুবিধা হয়, তবে অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করব।’
বিষয়টি নিয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার বলেন, ‘এসব আবেদন অনলাইনে সহজেই করা যায়। কর্তৃপক্ষ আইসিটি সেলকে অবগত করলে সহজেই করে দেওয়া যেত।’