কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নামে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৯০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মোতাছিম বিল্লাহ রিফাত, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুবেল চন্দ্র দাস, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মীর মো. ইকবাল হোসেন এই স্মারকলিপি জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় ও সৌন্দর্যে ঘেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অভিমুখের রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও তীব্র রোদ থেকে বাঁচার জন্য কৃষ্ণচূড়া, জারুল এবং সোনালুগাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, কিছুদিন পরপর বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়। এর ফলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও ছায়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ব্যক্তি বঞ্চিত হচ্ছেন এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আবারও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অজুহাত দেখিয়ে গাছের ডালপালা বেপরোয়াভাবে কাটা হয়।’
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা কিছুদিন পরপর গাছের ডালপালা না কেটে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে দুটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে, বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব। নতুন উপাচার্য আসার পরই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনে তারগুলো মাটির নিচে দিয়ে নেব।’ চলমান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছি।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের একটি গাছের ডালসহ ক্যাফেটেরিয়ার অপর পাশে থাকা কয়েকটি গাছের ডাল কেটে দেওয়া হয়েছিল।