ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিকৃবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ৫০ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১২ পিএম
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
সিকৃবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ৫০ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী অবরুদ্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রক্টর, রেজিস্টারের পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভিসিসহ প্রায় ৫০ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

এরপর সোমবারও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার দুপুর ১২টায় দিকে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রশাসনিক ভবনে সভা করেন। বিকেল ৪টার সভা শেষ করে শিক্ষার্থীরা জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। আন্দোলন চলবে। এরপর আজ সকাল থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও একটি ছাত্র সংগঠনের ব্যানার ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। যার প্রেক্ষিতে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ২৪ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এছাড়া প্রশাসন বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক ও রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যা অপমানজনক। প্রক্টর ও রেজিস্টার অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা সব একাডেমি কার্যক্রম বর্জন করেছি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমাম ইসলাম জানান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ আট দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমি কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত থাকবে। সোমবার এ বিষয়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ সদস্যের শিক্ষার্থী দলের সঙ্গে আলোচনা করা হলেও ফলপ্রসূ হয়নি।

শিক্ষার্থীদের আট দফা হলো-
(১) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্টার ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা কর্মকর্তাকে সবার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
(২) ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আরও জোরালো করতে হবে।
(৩) ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও ভিসির রাজনৈতিক ব্যানারে সম্ভাষণকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।
(৪) ২৪ অক্টোবর ২০২৪ রাতের সংঘর্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সম্পূর্ণ বিষয় যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে।
(৫) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে সত্য ও সঠিক বিবৃতি প্রদান করতে হবে।
(৬) শিক্ষার্থীদের অ্যানোনিমাস মার্কিং ও পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে ফেলকৃত বিষয়ের ইমপ্রুভ পরীক্ষা নিতে হবে। শুধু রিক্যারির (একটি বিষয়ে দুবার ফেল) মাধ্যমে ইয়ার ড্রপ ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
(৭) অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরে পাস নিশ্চিত করতে হবে।
(৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সার্বক্ষণিক (২৪/৭) খোলা রাখতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টানানো দুটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় কিছু বহিরাগত এতে যোগ দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে প্রক্টোরসহ মোট ১০ জন আহত হন। এর পর থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীর।

শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/

জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক
ড. মো. শিবলুর রহমান

বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য জাপানের জিচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দ্য মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শিবলুর রহমান।

কেমোস্ফিয়ার জার্নালে প্রকাশিত তার গবেষণাপত্রটির জন্য এ অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। 

গবেষণাপত্রটি ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৪ সালে এসে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে মনোনীত হয়।

গবেষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু ছিল- কিভাবে স্বল্প ঘনমাত্রার আর্সেনিক এক্সপোজার উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্তর্নিহিত আণবিক প্রক্রিয়াগুলোকে প্ররোচিত করে এবং সেল লাইন ও অ্যানিমেল মডেল উভয় ব্যবহার করে আণবিক প্রক্রিয়াকে চিহ্নিতকরণ।

ড. শিবলুরকে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য একটি সার্টিফিকেট এবং পাঁচ লাখ জাপানি ইয়েন সম্মানী দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে।

এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার পর ড. শিবলুর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং আমার পোস্টডক্টরাল সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ইছিহারার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই অ্যাওয়ার্ডটি আমাকে আগামীতে আরও ভালো গবেষণা করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছি।’

অধ্যাপক শিবলুর বলেন, ‘আমি বর্তমানে আমেরিকার স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে গবেষণা করছি। এখানে আমার গবেষণার বিষয় হচ্ছে- কিভাবে আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিষাক্ত ধাতুর মিশ্রণগুলো বাংলাদেশি গ্রামীণ শিশুদের শৈশব শুরুর দিকে এবং শেষের দিকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’


তিনি আশা ব্যক্ত করেন, তাদের এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশে পরিববেশগত নিউরোটক্সিসিটি সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ড. শিবলু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) অর্থায়িত একটি গবেষণা প্রকল্পের গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত (বর্তমানে ছুটিতে আমেরিকায় অবস্থান করছেন)।

তিনি জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ এমইএক্সটির অধীনে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি থেকে ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জাপানের মর্যাদাপূর্ণ জেএসপিএস পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক্টরাল গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

ড. রহমান আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিভিন্ন জার্নালে ৩০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং আর্থ সিস্টেম অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল জিওকেমিস্ট্রি অ্যান্ড হেলথ জার্নালের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি বেশ কয়েকটি একাডেমিক সোসাইটির সদস্য এবং বিএমসি পাবলিক হেলথ, ডিসকভার অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসসহ বেশকিছু স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

কাউসার/তাওফিক/পপি/ 

ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত
ছবি: খবরের কাগজ

বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ঢাবি ক্যাম্পাসে সীমিত হয়েছে বাইরের যানবাহন চলাচল।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি মোড়ে তল্লাসী চৌকি বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাত প্রবেশমুখে বাইরের যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার ক্যাম্পাসের স্টিারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জরুরি সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ভেতরে প্রবেশ করা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমরা এই কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে অনেকের কষ্ট হবে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। জরুরি কাজে আসলে যাচাই-বাছাই শেষে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পলাশী মোড়ে নিরাপত্তা ও নজরদারি বক্স উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। উদ্বোধনের পর শুক্রবার থেকে শুধু বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে পলাশী দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা খোলা রেখে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্যাম্পাসে স্টিকারবিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড
বেরোবিতে গণিত অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রংপুর অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ে ১৫তম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত।  

তিনি বলেন, গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বেরোবিসহ রংপুর অঞ্চলের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেরোবি গণিত বিভাগ আয়োজিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) এর শিক্ষার্থী আদিত্য বনিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবি শিক্ষার্থী সঞ্জীব চন্দ্র দেব এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাউস্ট এর শিক্ষার্থী মো. নূর এ আলম।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর রংপুর অঞ্চলে আহ্বায়ক ও বেরোবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আরিফুল কবির ও প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনে রংপুর কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল আলমসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজম/নাবিল/এমএ/

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ওই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরত নিয়ে মানহানিকর এবং ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের নিয়ে উপহাসের অভিযোগে ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য এবং গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ সব ফ্যাসিবাদীর দোসর শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান তারা।

এতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যখন ধর্ম অবমাননা করে, তখন তাকে আমরা শিক্ষক না বলে কুলাঙ্গার বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। শিশির ভট্টাচার্য্য এমনটি করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ এবং বিচার দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নীল দলের শিক্ষকরা নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন এবং ক্লাসেও অংশ নিচ্ছেন। যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, সেখানে এই দালাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এই শিক্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কোনো বিরূপ মন্তব্য করা উচিত নয়। তাকে চাকরিচ্যুত বা শাস্তির আওতায় আনতে হলে সেটা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেতে হবে। তা ছাড়া, অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’

এদিকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘শিগগিরই তিন দফা দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিন এই দাবির পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে জনমত গঠন করা হবে।’

তিন দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্বনবীকে অপমান ও ’২৪-এর শহিদদের অবমাননার জন্য শিশির ভট্টাচার্য্যকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; যেসব শিক্ষক গণহত্যায় মদদ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডিকে দ্রুত ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিন্ডিকেট গঠন; অতিদ্রুত ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শিশির ভট্টাচার্যে্যর শিক্ষক পদ বাতিল ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি তুলে মানববন্ধন কর্মসূচি করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

ঢাবিতে পলিসি ডায়ালগ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কারের পক্ষে মত

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কারের পক্ষে মত
ডায়ালোগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছাত্রনেতারা। তবে দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের প্রশ্নে একমত হয়েছেন তারা, প্রয়োজনে ছাত্ররাজনীতি সংস্কার করার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে ডায়ালোগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতাদের বক্তব্যে তা ওঠে আসে।

ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোর পারস্পরিক সহাবস্থান ও ট্যাগিং কালচার বন্ধের প্রসঙ্গে টেনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গণঅভূত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্ররাজনীতি থাকা না থাকার প্রশ্নটাই লজ্জার। শিক্ষাঙ্গণে রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা থাকলে আজ এই আলোচনা সভা করা লাগত না। সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য সর্বপ্রথম ট্যাগিং কালচার বন্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, বিশ্বজিৎকে হিন্দু শাখার কর্মী বলে কীভাবে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। আবরারকে কীভাবে ট্যাগিং দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আবার প্রশ্ন ওঠবে। তবে সেক্ষেত্রে ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোর উদারতা, পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার প্রসঙ্গ টেনে ডাকসুর সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে ভয়টা রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের ভেবে দেখা উচিত। বিগত সময়ে ছাত্রলীগ যে র‍্যাগিং কালচার চালু রেখেছিল তার ট্রমা এখনো কাটেনি। গত দেড় দকেক ফোন চেক করে করে মারধর করার রাজনীতি থেকে আমরা বেড়ে ওঠেছি। আমিই নিজের তার ভুক্তভোগী। দমননীতি, গেস্টরুম কালচার, মাদার সংগঠনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়ার যে প্রবণতা সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘আমরা পূর্বের ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখেছি এবং এর ভয়াবহতার শিকার আমরা নিজেও। শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির বদলে সেটা শিক্ষার্থীদের দমনপীড়নের প্লাটফর্ম হয়ে ওঠেছিল। আমরা চাই গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির চর্চা হোক। সেই সঙ্গে আবাসিক হল ও একাডেমিক এরিয়ায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বলতে এর সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না করে বরং এটিকে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে। সেই জন্য সবার আগে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টায় আসতে হবে। ক্যাম্পাসে সিআর ইলেকশনের গঠনগত কাঠামো নির্ধারন ও সিআর'স কাউন্সিল গঠন করার মাধ্যমে ডাকসু করার আগে যদি আমরা এটা করতে পারি তাহলে একটা ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব এবং এই প্লাটফর্মকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে কেউ প্রশ্ন না তুলতে পারে যে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এমন ছাত্ররাজনীতি আমরা চাইনা যে ছাত্র রাজনীতিতে মাদার পার্টি তার ছাত্র সংগঠনের প্রেসক্রিপশন লিখে দিবে। এই পলিসিতে কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব হতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের সেই পলিসি থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হওয়া উচিত।’

ডায়ালগ ফর ডেমোক্রিসির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ আরমান সভাপতিত্বে ও মোস্তফা মুশফিকে সঞ্চলনায় এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এ এস ওয়াজেদ, মহিউদ্দীন মুজাহিদ মাহি ও আদনান মোস্তারি। এছাড়া সংলাপে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });