ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরির বয়স ৩২ ও ৪ বার বিসিএস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
সরকারি চাকরির বয়স ৩২ ও ৪ বার বিসিএস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আন্দোলনটি আরও জোরদার হয়। এরপর তারা বিভিন্ন কর্মসূচিসহ শাহবাগ অবরোধও করে। চলমান ইস্যুতে গত ২৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ এবং তিনবারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এই ইস্যুতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি রাজপথে চলছে আন্দোলন-অবরোধও। গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান থেকে পানি ছোড়ে পুলিশ। এরপর গত ৩১ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে চারবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে চারবার বিসিএস নিয়েও ধোঁয়াশা কাটেনি। যারা ইতোমধ্যে চারবার বিসিএস দিয়ে ফেলেছেন, তাদের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়নি। এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। তবে অনেক শিক্ষার্থী সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদও জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। আজকের প্রতিবেদনে এ ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরছেন খালিদ ফারহান


এনামুল হক
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সেশন: ২০১৭-১৮

বাংলাদেশের বিসিএস এর প্রেক্ষাপট বর্ণনায় টুয়েলভথ ফেইল সিনেমার মনোজ (কেন্দ্রীয় চরিত্র) আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্থসামাজিক দিক ও বিসিএস সম্পর্কে বাংলাদেশের তরুণদের একটা দিক মনোজ প্রতিনিধিত্ব করে। উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠী কৃষির উপর নির্ভরশীল। সেই কৃষি পরিবার বা নিম্নবিত্ত অন্যান্য পেশার সাথে জড়িত থাকা পরিবার থেকে যখন কেউ উচ্চশিক্ষা লাভ করে তখন স্বাভাবিকভাবেই সে চেষ্টা করে তার পরিবারের উন্নতির জন্য অথবা নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে সম্মানজনক পেশায় দেখার জন্য।

ফলশ্রুতিতে, লেখাপড়া শেষ করেই খুব দ্রুতই একটি চাকরি পাওয়া আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যার জন্য দেখা যায়, পাবলিক বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশিই চাকরির প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। সেই শুরু থেকে যদি চক্রাকারে ঘুরতে-ঘুরতে ২৪ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত চলে যায়, অথবা এই ১১ বছরে ৭-৮টি বিসিএস দিয়ে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় পর্যবসিত হয়, তখন তা রাষ্ট্র বা সমাজের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দারুণভাবে অপচয় করা ছাড়া আর কিছুই নয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি চাকুরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর একটি অযৌক্তিক ভাবনা বলে আমি মনে করি। ৩৫ বছরে পাশ করে একজন ব্যক্তির চাকরিতে জয়েন করতে বয়স হবে ৩৭ বছর-যা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে খুবই বেশি। কেননা যেখানে ২৫ লাখের উপর বেকার তরুণ চাকরি পাচ্ছেনা অথবা বছরের পর বছর সরকারি চাকরির পিছনে পড়ে থাকছে, তখন এর প্রভাব পুরো সমাজেই পড়ছে। ৩০ বছর বয়সেই চাকরি না পেয়ে প্রচন্ড হতাশায় আত্মহত্যার খবরও আমরা দেখেছি, তাই ৩৫ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির জন্য পড়ে থাকা মেধার অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। যার জন্য করোনা বা অন্যান্য অসুবিধা সাপেক্ষে ৩২ বছর-ই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য যথাযথ মনে করি। আর এই সময়ের মধ্যে একজন ব্যক্তি ৩-৫ বার বিসিএস পরীক্ষায় বসতে পারাটাই যৌক্তিক মনে করি। দিনের পর দিন অসংখ্যবার বিসিএস পরীক্ষার জন্য বসে থেকে হতাশ হওয়ার চেয়ে একটা টাইম ফ্রেম বেঁধে দেয়াটাই যৌক্তিক মনে করি। 

এরপরও কতবার বিসিএস দেয়া যাবে এই বিষয়টি আরো বিস্তারিত আলোচনা বা পর্যালোচনার দাবি রাখে। কিন্তু বয়সের ব্যাপারটি ৩৫ আমি অযৌক্তিক ই বলবো।

এন এম রাসেল
সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সেশন: ২০১৭-১৮

সরকারি চাকরির মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে বিসিএস ক্যাডার। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের চারবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমার মতো সদ্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা প্রার্থীদের অনেকে হতাশ করেছে। 

একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি মূলত অনেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন, যার দরুন এত ভালো প্রস্তুতি নেওয়াটা অনেকের পক্ষেই প্রায় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তার জন্য অনেকেই প্রথমবার বিসিএস দিলে এতটা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারে না। অনেক বড় ভাই-আপুর থেকে জানতে পাই যে, তাদের কেউ কেউ ৫/৬/৭ বার পরীক্ষা দিয়ে ক্যাডার হতে পেরেছিলেন। এ দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক সংকটের জন্য নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করেন। সেক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষাকে সীমাবদ্ধতায় রাখা ঠিক হবে কি?- আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম। স্বপ্নে যদি সীমাবদ্ধতা থাকে তাহলে স্বপ্ন শিকড়েই নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের মতো যারা টিউশন অথবা ক্লাস শেষে আলাদা কাজ করে অর্থ জোগান দিয়ে পড়াশোনা চালান, তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত হতাশা সৃষ্টি করবে। আশা রাখি, বর্তমান সরকার আরও সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্তে উপনীত হবে।

শাহরিন জান্নাত নীরা
তৃতীয় বর্ষ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ কতবার বিসিএস দিতে পারবেন- এমন সময় বেঁধে দেওয়ার দিকে মনোযোগ না দিয়ে বরং এক একটা বিসিএসের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াকাল (প্রিলি-রিটেন-ভাইভা, ভেরিফিকেশন ও গ্যাজেট প্রকাশের সময়কাল) কী করে সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্য সম্পন্ন করা যায়, তার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়াটা জরুরি বলে আমি মনে করি।

তাছাড়া প্রথমে পিএসসির পূর্ণ সদস্য গঠন করে আগের ঝুলে থাকা নিয়োগগুলো সম্পন্ন করা উচিত, যাতে পরবর্তী বিসিএসগুলোয় এই সুদীর্ঘ কালক্ষেপণ কমিয়ে আনা যায়। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিসিএস ক্যাডার হওয়া বেশির ভাগেরই স্বপ্নের পেশা। সেক্ষেত্রে শুরুতেই এভাবে এত কম সময় (চারবার) বেঁধে দেওয়ার কারণে যারা পূর্বেই কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন- এমন প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যারা একদমই নতুন, তারা টিকে থাকতে না পেরে বৈষম্যের শিকার হবে বলে আমি মনে করি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ছয়বার আইসিএস দেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে। 

যেহেতু চাকরির বয়স ৩২ করা হবে, বাংলাদেশে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ কতবার দিতে পারবেন তা একান্তই বেঁধে দিতে হলে ন্যূনতম পাঁচ থেকে সাতবার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।


মো. আমান উল্লাহ খান 
পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
সেশন: ২০১৬-১৭

বাংলাদেশের বৃহৎ যুবসমাজকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। তবে দেশে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির বাজার বৃদ্ধি করে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিই নতুন বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ।  
সরকারি চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা বৃদ্ধিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কারও মতে, এতে যুবসমাজ উপকৃত হবে। আবার কেউ দাবি করছেন বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে বেকারত্ব হারের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

বয়স নির্ধারণে পৃথিবীব্যাপী যে প্যারামিটারকে প্রাধান্য দেওয়া হয় তা হলো, সে দেশের নাগরিকদের গড় আয়ু এবং তাদের শারীরিক সম্ভাবনার গড় অবস্থা। সেই হিসাবে বাংলাদেশে সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি করে ৩২ বা ৩৫ করা অযৌক্তিক নয়। তবে চারবার বিসিএস পরীক্ষাদানের সীমাবদ্ধতা নাগরিক অধিকারের ওপর চরম হস্তক্ষেপ। ফলে রাষ্ট্রকে বয়স থাকাকালীন সরকারি চাকরিতে নাগরিকদের সুযোগ প্রদানের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণের মধ্য দিয়ে নাগরিক জীবনের ওপর হস্তক্ষেপের সুযোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্র তার সক্ষমতার প্রমাণ দিক, নাগরিকের ওপর অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করে নয়।

জান্নাতুন নাঈম 
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
১৭ ব্যাচ (দ্বিতীয় বর্ষ)

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সিদ্ধান্তে ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট নয়। তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ (পুরুষ) এবং ৩৭ (নারী) করার পাশাপাশি অন্তত আটবার বিসিএসে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ দাবি সরকার মেনে নিলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

প্রথমত, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে অবসরের বয়সসীমাও বাড়াতে হবে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে বেকারত্ব কমার পরিবর্তে বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে একজন ৩২ বয়স্ক এবং ষাটোর্ধ্ব চাকরিজীবীর কর্মক্ষমতা ও সৃজনশীলতা অসমান হবে।

দ্বিতীয়ত, একাধিকবার বিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে চাকরিপ্রার্থীদের নতুন কোনো সুযোগ না খুঁজে সরকারি চাকরি না হওয়া পর্যন্ত বিসিএস এবং সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রবণতা থেকে যাবে। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের একটা দীর্ঘসময় বেকার থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। 

সেক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ এবং বিসিএস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ চারবার অংশগ্রহণ নির্ধারণ করে দেওয়া যৌক্তিক সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে।

হাসান

ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা চান ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা চান ঢাবি উপাচার্য
শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এদিকে ঢাবি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবর চিহ্নিত করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই সহযোগিতা কামনা করেন। 

তিনি বলেন, ‘যে কয়েকটি বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক, এর মধ্যে অন্যতম শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনো পদ-পদবী, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কী পরিমাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সকলের জানা প্রয়োজন। শহিদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের রক্তক্ষরণ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝার জন্য ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরা জানা দরকার। সকল অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এই প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এবিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহিদদের কবরসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

দিবসটি ঘিরে ঢাবি উপাচার্যের ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

অন্যদিকে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। এসময় অনুষদের ডিনগণ, বিভাগীয় প্রধানরা, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, অফিস প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টার এর পরিচালকরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
জাপানের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নোবিপ্রবির শিক্ষক
ড. মো. শিবলুর রহমান

বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য জাপানের জিচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দ্য মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শিবলুর রহমান।

কেমোস্ফিয়ার জার্নালে প্রকাশিত তার গবেষণাপত্রটির জন্য এ অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। 

গবেষণাপত্রটি ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৪ সালে এসে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে মনোনীত হয়।

গবেষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু ছিল- কিভাবে স্বল্প ঘনমাত্রার আর্সেনিক এক্সপোজার উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্তর্নিহিত আণবিক প্রক্রিয়াগুলোকে প্ররোচিত করে এবং সেল লাইন ও অ্যানিমেল মডেল উভয় ব্যবহার করে আণবিক প্রক্রিয়াকে চিহ্নিতকরণ।

ড. শিবলুরকে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য একটি সার্টিফিকেট এবং পাঁচ লাখ জাপানি ইয়েন সম্মানী দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে।

এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার পর ড. শিবলুর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং আমার পোস্টডক্টরাল সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ইছিহারার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই অ্যাওয়ার্ডটি আমাকে আগামীতে আরও ভালো গবেষণা করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছি।’

অধ্যাপক শিবলুর বলেন, ‘আমি বর্তমানে আমেরিকার স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে গবেষণা করছি। এখানে আমার গবেষণার বিষয় হচ্ছে- কিভাবে আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিষাক্ত ধাতুর মিশ্রণগুলো বাংলাদেশি গ্রামীণ শিশুদের শৈশব শুরুর দিকে এবং শেষের দিকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’


তিনি আশা ব্যক্ত করেন, তাদের এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশে পরিববেশগত নিউরোটক্সিসিটি সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ড. শিবলু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) অর্থায়িত একটি গবেষণা প্রকল্পের গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত (বর্তমানে ছুটিতে আমেরিকায় অবস্থান করছেন)।

তিনি জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ এমইএক্সটির অধীনে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি থেকে ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জাপানের মর্যাদাপূর্ণ জেএসপিএস পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক্টরাল গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

ড. রহমান আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিভিন্ন জার্নালে ৩০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং আর্থ সিস্টেম অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল জিওকেমিস্ট্রি অ্যান্ড হেলথ জার্নালের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি বেশ কয়েকটি একাডেমিক সোসাইটির সদস্য এবং বিএমসি পাবলিক হেলথ, ডিসকভার অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসসহ বেশকিছু স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

কাউসার/তাওফিক/পপি/ 

ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত
ছবি: খবরের কাগজ

বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ঢাবি ক্যাম্পাসে সীমিত হয়েছে বাইরের যানবাহন চলাচল।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি মোড়ে তল্লাসী চৌকি বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাত প্রবেশমুখে বাইরের যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার ক্যাম্পাসের স্টিারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জরুরি সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ভেতরে প্রবেশ করা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমরা এই কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে অনেকের কষ্ট হবে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। জরুরি কাজে আসলে যাচাই-বাছাই শেষে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পলাশী মোড়ে নিরাপত্তা ও নজরদারি বক্স উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। উদ্বোধনের পর শুক্রবার থেকে শুধু বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে পলাশী দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা খোলা রেখে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্যাম্পাসে স্টিকারবিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড
বেরোবিতে গণিত অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রংপুর অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ে ১৫তম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত।  

তিনি বলেন, গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বেরোবিসহ রংপুর অঞ্চলের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেরোবি গণিত বিভাগ আয়োজিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) এর শিক্ষার্থী আদিত্য বনিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবি শিক্ষার্থী সঞ্জীব চন্দ্র দেব এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাউস্ট এর শিক্ষার্থী মো. নূর এ আলম।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর রংপুর অঞ্চলে আহ্বায়ক ও বেরোবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আরিফুল কবির ও প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনে রংপুর কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল আলমসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজম/নাবিল/এমএ/

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ওই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরত নিয়ে মানহানিকর এবং ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের নিয়ে উপহাসের অভিযোগে ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য এবং গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ সব ফ্যাসিবাদীর দোসর শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান তারা।

এতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যখন ধর্ম অবমাননা করে, তখন তাকে আমরা শিক্ষক না বলে কুলাঙ্গার বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। শিশির ভট্টাচার্য্য এমনটি করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ এবং বিচার দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নীল দলের শিক্ষকরা নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন এবং ক্লাসেও অংশ নিচ্ছেন। যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, সেখানে এই দালাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এই শিক্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কোনো বিরূপ মন্তব্য করা উচিত নয়। তাকে চাকরিচ্যুত বা শাস্তির আওতায় আনতে হলে সেটা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেতে হবে। তা ছাড়া, অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’

এদিকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘শিগগিরই তিন দফা দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিন এই দাবির পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে জনমত গঠন করা হবে।’

তিন দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্বনবীকে অপমান ও ’২৪-এর শহিদদের অবমাননার জন্য শিশির ভট্টাচার্য্যকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; যেসব শিক্ষক গণহত্যায় মদদ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডিকে দ্রুত ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিন্ডিকেট গঠন; অতিদ্রুত ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শিশির ভট্টাচার্যে্যর শিক্ষক পদ বাতিল ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি তুলে মানববন্ধন কর্মসূচি করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });