ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

ঢাবিতে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছায় প্রতিবাদ, প্রক্টরের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
ঢাবিতে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছায় প্রতিবাদ, প্রক্টরের দুঃখ প্রকাশ
শেখ হাসিনা ছবিসম্বলিত জুলাই গ্রাফিতি মুছে ফেলা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনের পিলারে থাকা দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি ৫ আগস্টের পর ‘ঘৃণার প্রতীক’ হয়ে ওঠে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একদল নেতা-কর্মীরা। এ ছবিতে বিভিন্ন সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জুতা নিক্ষেপ, এমনকি লাল রঙ পর্যন্ত লেপটে দেওয়া হয়। এবার সেই ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলাকে ঘিরে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিও তোলেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে রবিবার দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দপ্তর।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ‘২৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জুলাই আন্দোলনে এই দুটি গ্রাফিতি বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে। এই স্মৃতিকে তাজা রাখা এবং প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরও সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।’

এতে আরও বলা হয়, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এই স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।’

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিন রাত দুইটার দিকে ঘৃণাস্তম্ভটিতে থাকা গ্রাফিতি মুছে ফেলা হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা এই গ্রাফিতি মুছে ফেলার প্রতিবাদ জানান। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে থাকা এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউসুফ আহমেদ শিক্ষার্থীদের জানায় এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার কথা। 

এসময় শিক্ষার্থীরা এমন ঘটনার প্রতিবাদে ‘বাহ্ প্রক্টর চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার’, ‘খুনির ছবি মুছল কারা, স্বৈরাচারের দোসর তারা’, ‘জুলাইয়ের চেতনা বৃথা যেতে দেব না’, ‘ঘৃণাস্তম্ভ মুছল কেন, প্রক্টর জবাব চাই’, ‘খুনি হাসিনার দালালেরা হুঁশিয়ার-সাবধান’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। যা চলে ৪ টা পর্যন্ত। এর মাঝে সাড়ে ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে।

এসময় প্রক্টর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি পাঠালে, তখন এখানে থাকা দুটি ছবিও (শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা) চলে যায়। তখন প্রশ্ন তোলেন, এখনও কেন এই দুজনের ছবি থাকবে? পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসারকে জানানো হলে, স্টেট অফিসার মেট্রোরেলকে বললে পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তাদের লোক পাঠিয়ে এটা মুছে ফেলেছে।’

পরে শিক্ষার্থীরা আবারও শেখ হাসিনার আরেকটি ব্যঙ্গ গ্রাফিতি এঁকে দেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বিসিএস ঠেকাতে জবি শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
বিসিএস ঠেকাতে জবি শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন মামলায় হয়রানির শিকার সাগর চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর চাকরি ঠেকাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ১২ তম ব্যাচের (২০১৬-২০১৭ সেশনের) শিক্ষার্থী সাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী নওশের আলী।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২:৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন মামলায় হয়রানির শিকার সাগর চৌধুরী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী। 

হয়রানির শিকার সাগর চৌধুরী এখন চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি ৪৬তম বিসিএস প্রিলিতে উত্তীর্ণ হয়ে লিখিতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি যেন বিসিএসে জয়েন করতে না পারেন সেজন্যেই এই মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাগর।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা একজন সেনা সদস্য ছিলেন। এর প্রেক্ষিতে আমরা একটা মামলা করি। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাদেরকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলাটি উঠিয়ে নিতে বলে। কিন্তু আমরা করি না, আমরা চেয়েছিলাম আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির বিচার হোক। এরপরে আমার বাবার হত্যা মামলার ২ মাস আগে পাশের গ্রামের একটি হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করে চার্জশিট করে আমার বাবার হত্যাকারী কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি। 

তিনি আরও বলেন, এ হত্যার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় থাকি কখনো এলাকায় থাকা হয়নি সেভাবে। আমি জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি অংশগ্রহণ করি। ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পরেও আমাকে সিআইডি ও বিভিন্ন সরকারি তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে হয়রানিমূলক মামলায় আসামি করে চার্জশিটে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে আমার বাবার হত্যাকারী কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে। সে এখন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পোস্টে আছে। আমি এ হয়রানিমূলক হত্যা মামলা থেকে নিজেকে মুক্ত দেখতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১০ম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, সে জুলাই আন্দোলনে প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিল। সে পুরান ঢাকায় থাকতো। সে তার বাসা গোপালগঞ্জে খুব কমে যেত। ২০২৩ সালে সে ঢাকাতেই ছিল। তাকে মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তাকে এই মামলা থেকে নিঃশর্তে মুক্তি চাই। 

তিনি আরও বলেন, মামলার বাদী গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এখনও বহাল তবিয়তে এলাকায় বিচরণ করছে। তার ছেলে পুলিশের এসআই থাকায় সে এ কাজগুলো এখনও করে বেড়াচ্ছে। আমরা তারও বিচার দাবি করছি।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জায়িম, সম্পাদক রিফাত

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জায়িম, সম্পাদক রিফাত
ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল হক জায়িম (বায়ে), সম্পাদক রাকিব রিফাত। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ‘দৈনিক নয়া দিগন্ত’র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি তাজমুল হক জায়িম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘দৈনিক ইনকিলাব’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাকিব রিফাত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়রি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ইসলামী সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইমরান শুভ্র ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান নবীন।

নির্বাচিত অন্য প্রতিনিধিরা হলেন- সহ-সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ (মানবজমিন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা (ডেইলি অবজারভার), অর্থ সম্পাদক নিয়ামতুল্লাহ মুনিম (খবরের কাগজ), দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (যায়যায়দিন), প্রচার সম্পাদক মোর্শেদ মামুন (কালবেলা), কার্যনির্বাহী সদস্য ইদুল হাসান ফারহান (দিনকাল), জামাল উদ্দিন (শিক্ষাবার্তা)।

নির্বাচন পরবর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

নবনির্বাচিত সভাপতি তাজমুল হক জায়িম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সত্যের সারথি হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে ক্যাম্পাস তথা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে ইবিসাস ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছে। এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সভাপতি হিসেবে যে গুরুদায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসেছে আমরা সেই দায়িত্ব পালনে সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এই কাজে ইবিসাসের সকল সহযোদ্ধাদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা কামনা করছি।

দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নতুন নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন। তোমাদের মাধ্যমে উঠে আসুক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। আজকের এই দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত আছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাচ্ছি সকল জায়গায় এই ধারা অব্যহত থাকুক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক বাংলাদেশর মধ্যে রোল মডেল।

এমএ/

কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ, একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ, একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের ৯৮তম বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের তদন্তসাপেক্ষে ছাত্রত্ব বাতিল, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য প্রফেসর ড. এমএমএ হাসেমকে সভাপতি করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার সকাল থেকেই তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রশাসনিক একাডেমিক ভবনে প্রবেশপথের ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।

মাকসুদ/সালমান/

কুয়েটে ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দাবিতে  ক্লাস বর্জন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
কুয়েটে ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দাবিতে  ক্লাস বর্জন
৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান করেছে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘের্ষের ঘটনায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান করে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বেলা ১১টার দিকে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডাকে। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

কুয়েটের জনসংযোগ বিভাগের পাবলিক রিলেশনস অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- কুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না, পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসন থেকে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে, শিক্ষার্থীদের সামরিক বাহিনীর সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসাব্যয় বহন করতে হবে এবং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে।

এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।

মাকসুদ রহমান/সুমন/

শাবিপ্রবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১০ এএম
শাবিপ্রবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন
শাবিপ্রবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইনে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান বায়োটেডের যৌথ উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে থ্যালাসেমিয়া রোগ এবং এর প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন বায়োটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সওগাতুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রোগ্রামের সফলতা কামনা করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের প্রোগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত। যে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব, তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই সর্বদা উত্তম। যদি আমরা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থাকতে পারি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরোধের পথে এগিয়ে যেতে পারব। অসুস্থতা কোনোভাবেই কাম্য নয়, তাই এই প্রোগ্রামের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসফাক আলী/সুমন/