ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় একাত্মতা কুবি শিক্ষকদের

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় একাত্মতা কুবি শিক্ষকদের
ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পাশাপাশি গুচ্ছ নিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে সময় চেয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম তাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, 'আমরা চাই না আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে থাকুক। আমরা চাই স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা হোক এবং শিক্ষার্থীদের যে ভোগান্তি তা লাঘব হোক। গুচ্ছের মতো দীর্ঘ ভর্তি প্রক্রিয়া আসলে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত, আমরা গুচ্ছ প্রক্রিয়া চাই না। আগামী ১৪ তারিখ আমাদের সিন্ডিকেট মিটিং আছে। আমরা সেখানে এটি আলোচনা করে আশা করি ১৫ তারিখ দুপুর ১২টার মাঝেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারব।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান ও মুতাসিম বিল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান।

উপস্থিত সব শিক্ষকই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির প্রতি সমর্থন জানান এবং আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে নেওয়ার শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে হলে প্রত্যেকে তাদের এলাকার থেকে আসা স্টুডেন্টদের কীভাবে আপ্যায়ন করবে- সেই চিন্তায় থাকে এসব দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। গুচ্ছের পূর্বে ভর্তি পরীক্ষার সময় পুরো ক্যাম্পাসে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে। এ ছাড়া গুচ্ছের ফলে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থী কম পাচ্ছি। আমার বিভাগে ৬০টি সিট কিন্তু শিক্ষার্থী এর থেকে অনেক কম ভর্তি হয়। আবার মাস্টার্সে গিয়েও কমে যায়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিল চাই। '

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'আমি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বের হতেই চাচ্ছি। আমি এর আগেও এর পক্ষে ছিলাম না।'

২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী গণমাধ্যমে জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।  

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয়। এ ছাড়া গত ৫ জানুয়ারি সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা। এর পর গত ৯ জানুয়ারি গুচ্ছ নিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানাতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আতিকুর তনয়/জোবাইদা/

ঢাবিতে প্রশ্নপত্রের ছবি বাহিরে পাঠানোর চেষ্টা, ভর্তিচ্ছু আটক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ পিএম
ঢাবিতে প্রশ্নপত্রের ছবি বাহিরে পাঠানোর চেষ্টা, ভর্তিচ্ছু আটক
আটক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় হল থেকে মোবাইলফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠানোর চেষ্টাকালে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আটক ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আজিমপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ) কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থী ছবি তুলে বাহিরে পাঠানো চেষ্টা করলে, কেন্দ্র পরিদর্শক সেটি টের পান। পরে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইলফোন পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ছবিটি তিনি বাইরে পাঠানোর মাধ্যমে উত্তরপত্র পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন।’

লালবাগ থানায় ওই শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে ঢাবি প্রক্টর বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে তাকে লালবাগ থানা আটক করে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন তারা যাচাই-বাছাই করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আশা করি, তাদের প্রক্রিয়াও শেষের দিকে।’

এদিকে রাত ১০টার পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈইনু মারমা। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এজাহার দেয়ার কথা রয়েছে। তারা এজাহার দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে বাকি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হবে।’

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনশনে ঢাবির আরও ২ শিক্ষার্থী, অসুস্থ ১

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনশনে ঢাবির আরও ২ শিক্ষার্থী, অসুস্থ ১
আমরণ অনশনে বসা ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই শিক্ষার্থী। এবার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরও দুইজন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বলে দাবি ওই শিক্ষার্থীদের। ওই শিক্ষার্থীদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত না হচ্ছে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা ওই শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেছেন। একজন অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েছেন। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক ও ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের আবু সাঈদ। এর মধ্যে ওমর ফারুক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি তাদের। এছাড়া শনিবার সংহতি জানিয়ে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াহেদ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

জানা যায়, শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের গ্রুপ শিক্ষার্থী সংসদে স্ট্যাটাস দেন পরে অনেক শিক্ষার্থীই সংহতি জানান। এর মধ্যে সাঈদও অনশনে বসার ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন। এদের সঙ্গে শনিবার ওয়াহেদ ও ফজলুরও অনসনে বসেন।

আবু সাঈদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার না করা হচ্ছে, আমরা এখান থেকে সরছি না। আমরা চাই, অবিলম্বে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবি নিশ্চিত করা। এখন পর্যন্ত শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাছাড়া কেউই আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।’

একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওমর ফারুক ভাই কিছুটা অসুস্থ। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হচ্ছে, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না দিচ্ছেন, আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাব।’

এদিকে শনিবার অনশনে বসা আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘তাদের দাবি যৌক্তিক এবং এই দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন রয়েছে। আমরা দুই বন্ধু আজ সংহতি জানিয়ে তাদের সঙ্গে অনশনে বসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হচ্ছে, আমরা কেউ এখান থেকে উঠছি না।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জবির 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
জবির 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে 'বি' ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিন শিফটে (সকাল ৯টা, দুপুর ১টা, বিকেল ৪টা) এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই ইউনিটে আসন সংখ্যা ৭৮৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা গভ. মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বি-ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪২ হাজার ৯৭৪ জন পরীক্ষার্থীর জন্য আসন বিন্যাস করা হয়। ১ম ও ২য় প্রতি শিফটে ১৫ হাজার ১৩৮ জন করে এবং ৩য় শিফটে ১২ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। ১ম ‍শিফটে ৮৭ শতাংশ, ২য় শিফটে ৮৬ শতাংশ ও তৃতীয় শিফটে প্রায় ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তিন শিফটের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও পরিবেশ সন্তোষজনক ছিলো এবং পরীক্ষা আয়োজনে সফলতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরীক্ষায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য ছিলো ২৪ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ছিলো ৪৮ নম্বর। পরীক্ষার বিষয় ছিলো বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান।

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জবির 'ডি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এবং 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

 

মুজাহিদ/মেহেদী/

বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, ‘বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। অত্যন্ত কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তবে তাদের অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহযোগিতা করবে। ভর্তির সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেটি ঘটেছে সেটি দেখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। মূখ্য সমন্বয়কের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমাদের যে কমিটি কাজ করে, সেই কমিটি গত পুরো সপ্তাহ যাবত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ছাত্রদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিষয়টি যেন সমাধান করা হয়। সমাধান প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে, প্রায় কাজ শেষ করে ফেলেছেন। আমরা পূর্ণ আশ্বস্ত করতে চাই, ছাত্রদের পূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করা হবে।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এবছর বিজ্ঞান ইউনিটে বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮ জন, মানবিক শাখা থেকে ৭ হাজার ৯০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১ হাজার ৮২০টি, মানবিক শাখার জন্য ৫১ টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২৫ টি আসন রয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে
অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের অসহযোগিতা এবং পরীক্ষার নাম্বার জমা না দেওয়ায় স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের (১২ তম ব্যাচের) পরীক্ষার ফলাফল আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। চার বছরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় ৫ বছরেরও স্নাতক শেষ হয়নি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রায় বেশির ভাগ বিভাগের অনার্স শেষ হয়ে মার্স্টাসও সমাপ্তির পথে। সেখানে গণিত বিভাগের ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী যোগদানের পর সাড়ে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করার ঘোষণা দেন এবং সকল বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে মিটিং করে সবাইকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি। তার পরও সাড়ে ৫ মাসেও সেমিস্টার এবং রেজাল্ট নিয়ে একজন শিক্ষকের গড়িমসিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার জন্য অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়কে প্রধান করে, অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মোসা. জেসমিন নাহারকে নিয়ে পরীক্ষা কমিটি গঠিত হয়।

পরীক্ষা কমিটির সূত্র জানায়, পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও উপাচার্যের নির্দেশক্রমে সেশনজট কমানোর জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ করে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মেনে সব শিক্ষক পরীক্ষার খাতা ও ফলাফল যথাসময়ে জমা দিলেও অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের হাইড্রোডায়নামিক্স কোর্সের খাতা জমা না দেওয়ায় ফলাফল ঝুলে আছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই কন্টিনিউয়াস মার্কস শিক্ষার্থীদের দেখানোর কথা থাকলেও সেই মার্কসও দেখাননি এই শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একটি কোর্সে কমপক্ষে ৩০টি ১ দশমিক ৫ ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ক্লাস না নিয়ে শীতকালীন অবকাশের সময় মাত্র ১৩/১৪ টি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ করে দেন অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণিত বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, রেজাল্ট দিতে গড়িমসি করাতে চাকরির আবেদন করতে পারছেন না তারা। সব স্যারই খাতা কেটে জমা দিলেও তাজুল স্যার এখনো তাদের কন্টিনিউয়াস মার্ক দেননি। এ বিষয়ে তারা ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওনার সঙ্গে দেখা করলেও উনি শুধু আশ্বাস দিয়েই যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকেই ড. তাজুল ইসলাম উপাচার্য দপ্তরেই বেশি সময় কাটান।

এদিকে, দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা জানান, অন্যান্য কোর্সের শিক্ষকরা ক্লাস প্রায় শেষ করে মিড, ইনকোর্স ও প্রেজেন্টেশন শেষ করলেও ড. তাজুল ম্যাথ (ল্যাব -২)-এর কোনো পরীক্ষা এখন নেননি। ফলে তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া ওই ব্যাচের আগের সেমিস্টারের পরীক্ষা গত বছরের অক্টোবরে শেষ হলেও এখন ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেত্রীর পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল পাওয়া কাণ্ডে জড়িত অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট চাইলে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় জানান, সব শিক্ষকই খাতা কাটা শেষ করে খাতা জমা দিয়েছেন। শুধু তাজুল স্যারের হাইড্রো ডায়নামিক্স খাতা এখনো পাইনি। তার জন্য রেজাল্ট দিতে দেরি হচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে রেজাল্ট চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম বলেন, 'আমি ওদের (১২ ব্যাচের) পরীক্ষা শেষ করেই তো ওদের সঙ্গে শিক্ষা সফরে গেছিলাম। খাতা দেখার জন্য তো সময় লাগবে।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন বলেন, 'এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পরীক্ষা কমিটি ভালো বলতে পারেন। এ বিষয়গুলো ওনাদের হাতে।'

গাজী আজম হোসেন/জোবাইদা/