ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

বাকৃবির ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
বাকৃবির ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ জনকে এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃতরা সবাই অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

প্রভোস্ট বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘অভিযুক্তরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের র‍্যাগিং করেছে। গোপনে তারা এই কাজ করেছে। পরবর্তী সময়ে তথ্যের ভিত্তিতে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদের শনাক্ত করেছি। অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকারও করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলগুলোর প্রভোস্ট, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ৭ নম্বর ধারা মোতাবেক হল থেকে তাদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ জন এবং নন অ্যাটাচ ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং অন্য হলের আবাসিক কিন্তু এই হলে থাকত সেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘র‍্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বাকৃবি প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর এবং আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করে এবং এর ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও ব্যবস্থা নেবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে ও নবীন এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। ওইসময় হলের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করে।

কামরুজ্জামান/সালমান/

শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের করা আনন্দ শোভাযাত্রা। ছবি: খবরের কাগজ

উৎসবমুখর পরিবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।   

এরপর সবাইকে নিয়ে বেলুন ওড়ানো হয় এবং এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে কেক কাটা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আজ সত্যিই আনন্দের দিন। আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এই সময়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বহুভাবে বিকশিত হয়েছে। এই উন্নয়নে যাদের অবদান রয়েছে বিশেষ করে সিলেটবাসী এবং যাদের চেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আজকের এই দিনে আমি তাদের স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবের শহিদদের এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ৩৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দেশের মানুষ গর্ব করতে পারবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণা নির্ভর করে গড়ে তুলব। আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা ২৫৩ কোটি টাকার দুইটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছি। সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এখানে হযরত শাহজালাল (র.) এর নামে একটি কর্ণার তৈরি করার, আমরা সেটিও বাস্তবায়ন করব।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসফাক আলী/সুমন/

ভালোবাসা দিবসে বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
ভালোবাসা দিবসে বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভালোবাসা দিবসে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ

করেছেন বেরোবি প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে এক পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আগামী শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। উক্ত সময়ে বেরোবির সকল শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য বলা হলো।'

ভালোবাসা দিবসে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, 'দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ভালোবাসা দিবসেও ক্যাম্পাসে বহিরাগত এর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল ঢাবির ক' ইউনিটের পরীক্ষা। তাই সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি বেরোবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ক' ইউনিটের (বিজ্ঞান শাখা) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

গাজী আজম হোসেন/জোবাইদা/ 

দুই সপ্তাহের মধ্যে জবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল: উপাচার্য

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
দুই সপ্তাহের মধ্যে জবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল: উপাচার্য
সংবাদ সম্মেলনে জবি উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

১৫ দিনের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ডি ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের (ডি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুততম সময়ে ফলাফল দিয়ে অতি দ্রুত ভর্তি নিয়ে ক্লাস শুরু করার। পরীক্ষার ১৫ দিন বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করব।’

এবার প্রতিটি ইউনিটে শিফটভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় ফলাফল প্রতি শিফটে উপস্থিতির সমানুপাতিক হারে আলাদা করে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

উপাচার্য জানান, শুক্রবার সাড়ে ৯টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ডি ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

এ পরীক্ষায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ উপস্থিতির আশা করছেন তিনি।

এবার ডি ইউনিটে ৫৯০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন ২৪ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৪২ জন।

সকাল সাড়ে নয়টা থেকে প্রথম শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

নাইমুর/

জবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ এএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯ এএম
জবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব সিফাত হাসান। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ও সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)  রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল সাক্ষরিত এ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হিসেবে আছেন ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিন, মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন নওয়ার জয়া ও উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে আছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী। 

এ ছাড়া কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আলী আহমেদ আরাফ, মো. ফেরদাউস শেখ, মো. শাহিন মিয়া। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন সুমন আলী, মো. সোলেমান হোসেন, সাকিবুল হাসান, আমিনুল ইসলাম, আকরামুল হক আলী, আহমেদ আরাফ, শাহপরান আহমেদ শ্রাবণ, মো. স্বপন মিয়া, আম্মার বিন আসাদ ও তাহমিদুর রহমান।

কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান ও যুগ্ম সদস্যসচিব আশরাফ আরেফিন, কামরুল হাসান রিয়াজ, সাখাওয়াত হোসেন, মাসুদ রানা মাসুম, ইব্রাহিম খলিল, মাশরুর মাহমুদ শাকের।

সিনিয়র মুখ্য সংগঠক জুনায়েদ মাসুদ ও সংগঠক ওমর ফারুক শ্রাবণ, আতিকুর রহমান, রাকিব হোসেইন তুষার, তুষার আহমেদ সিয়াম, মো: রাকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান ও সহ-মুখপাত্র সিয়াম হোসাইন।

এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন, পূজা মদক, তাফহিম রাফি, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ কায়েপ, বায়েজিদ হোসেইন, মো. রাজিব হোসেইন, মমিতা রাণী সূত্রধর, ফারজানা আক্তার, আব্দুর রহমান, মোহাম্মাদ নাহিদ, মুজাহিদুল ইসলাম, সিদরাতুল মুনতাহা তাওহিদাল, জাকির হোসেন, সুমাইয়া আফরিন, তৈমুর রহমান, মেহরাজ হোসেন তাইমুর, মুজাহিদুল হক জিহাদ, মাহিদ হাসান, সাজ্জাদুল ইসলাম নাঈম।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী
আমরণ অনশনে বসা ঢাবির দুই শিক্ষার্থী । ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হচ্ছে অনশন থেকে সরবেন না তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই দুই শিক্ষার্থী তিনটি প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অনশনে বসেছেন। যেখানে লিখা, ‘আমরণ অনশন আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার চাই’, ‘আমরণ অনশন, শহিদ আবু সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধের রক্ত লাল, আওয়ামী লীগের সেল্টার দেয় কোন দালাল।’

অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক ও ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের আবু সাঈদ।

জানা যায়, শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ গ্রুপে স্ট্যাটাস দিই, পরে অনেক শিক্ষার্থীই সংহতি জানান। এর মধ্যে সাঈ আমার সঙ্গে অনশনে বসার ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেছেন। এতোদিন হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে পারল না। তারা ২ হাজারের মতো মানুষ মেরেছে এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে। এছাড়া বিগত ১৫ বছরে যে ধরনের অপরাধ করেছে সবগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

বিচার নিশ্চিত না করা হলে অনশন থেকে উঠবেন না উল্লেখ করে আবু সাঈদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না আওয়ামী লীগের বিচার না করা হচ্ছে, আমরা এখান থেকে সরছি না। আমরা চাই, অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচার নিশ্চিত করা হোক।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ