
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ জনকে এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃতরা সবাই অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রভোস্ট বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘অভিযুক্তরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের র্যাগিং করেছে। গোপনে তারা এই কাজ করেছে। পরবর্তী সময়ে তথ্যের ভিত্তিতে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদের শনাক্ত করেছি। অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকারও করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলগুলোর প্রভোস্ট, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ৭ নম্বর ধারা মোতাবেক হল থেকে তাদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ জন এবং নন অ্যাটাচ ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং অন্য হলের আবাসিক কিন্তু এই হলে থাকত সেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বাকৃবি প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর এবং আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করে এবং এর ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও ব্যবস্থা নেবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে ও নবীন এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। ওইসময় হলের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করে।
কামরুজ্জামান/সালমান/