
বিশ্ব হিজাব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো হিজাব র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘প্রটেস্ট অ্যাগেইনস্ট হিজাবোফোবিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন থেকে এই হিজাব র্যালি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে শেখ রাসেল টাওয়ার প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাতুল জান্নাত বলেন, 'যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের তার পেছনের ইতিহাস জানা সব থেকে জরুরি। আমরা যেমন দেখেছি জুলাই অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার প্রপাগান্ডার শিকার হয়েছি, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। তাই আমরা যদি আমাদের ইতিহাস না জানি তাহলে এই হিজাব ডে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে।’
র্যালিটির অন্যতম আয়োজক স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন খালেদ বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদের আমলে হিজাব-নিকাব পরিধান করেছে, তারা বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছে। শুধু হিজাব-নিকাবই নয়, যারা দাঁড়ি-টুপি পরতো তারাও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। পশ্চিমারা এগুলোকে এক ধরনের জঙ্গিবাদের চিহ্ন হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার জন্যই মূলত আমাদের প্রচেষ্টা।’
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান। নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পর থেকেই হিজাব পরা শুরু করেন তিনি। কিন্তু হিজাব পরার পর থেকে নানা ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের মুখোমুখি হন তিনি। ২০১৭ সালে ইউ ইয়র্ক রাজ্য ১ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব হিজাব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পরে ২০২১ সালে ফিলিপাইন ১ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় হিজাব দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ বছর দিবসটির ১২তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য #VeiledInStrength অর্থাৎ শক্তিতে আবৃত। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
আরিফ জাওয়াদ/মেহেদী/