
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সরস্বতী পূজা পরিচালনা করেছেন একই বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী অনুস্কা ব্যানার্জী।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জগন্নাথ হল মাঠ প্রাঙ্গণে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে অনুস্কা বলেন, ‘আমার বিভাগের সরস্বতী পূজায় পৌরোহিত্য করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এ বিষয়ে আমার বিভাগ থেকে আমাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আজ এখানে এত মানুষ দেখে মনে হয়েছে, আসলেই আমাদের বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানকার প্রতিটি মানুষকে অসাম্প্রদায়িক মনে হয়েছে। এ বছর আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পূজা পরিচালনা করেছে।’
বিভাগের ছাত্রীর পূজা পরিচালনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এটি একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এটি নারীর ক্ষমতায়নের একটি চমৎকার উদাহরণ।’
সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতিমা স্থাপন করা হয় রবিবার রাত ১২টা এক মিনিটে। পূজার দায়িত্বে ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১০-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ ও বাঁধন দেব।
বিভাগের শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পূজায় অংশ নেন।
বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী সজিব বলেন, ‘হলের পূজায় যোগ দিয়ে মনে হচ্ছে প্রকৃত আনন্দের উৎস হলো জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা। হলের পূজার বিশেষত্ব হলো পূজার বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ছাড়া বিভাগের শিক্ষকদের আতিথেয়তা করার সুযোগ পাওয়ার অনুভূতি অসাধারণ।’
বাঁধন দেব বলেন, ‘বছর শেষে এই যে আবার প্রাণের মেলায় আমরা মিলিত হয়েছি, সেখানে সবার অংশগ্রহণ আর সম্মিলিত আনন্দই আমাদের প্রাপ্তি। শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নয়, জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের উৎসবে পরিণত হয়েছে।’
পৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ বলেন, ‘এবার মায়ের পূজোয় একজন আয়োজক হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। পূজোর আয়োজনে বিভাগের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা পেয়েছি। তাই সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে একসঙ্গে ৭৪টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুমন/