ঢাকা ৩ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
English

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙলেও চলবে অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ পিএম
ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙলেও চলবে অবস্থান কর্মসূচি
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসা ঢাবির ৪ শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে শহিদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে শহিদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম। অনশন ভাঙালেও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তাদের অনশন ভাঙানো হয়। এ সময় শহিদ রানার স্ত্রী রানু তালুকদার ও ছেলে মেহরাজ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

রুবী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের স্বজন হত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালাতে হবে। কিন্তু আমরা আর কোনো সন্তান হারাতে চাই না। তাই অনশন না করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করুন। আমরা শহিদ পরিবারসহ দেশবাসী আন্দোলনে থাকব।’

এরপর তারা ডাবের পানি পান করিয়ে ছাত্রদল নেতা মো. ওমর ফারক ও আবু সাঈদ এবং বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও ফজলুর রহমানের অনশন ভাঙান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে আবদুল ওয়াহেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘চব্বিশের বীর শহিদ রানা তালুকদারের মা, তার স্ত্রী-সন্তানসহ এসে আমাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করলে আমরা অনশন ভাঙি। আজ থেকে যতদিন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হবে, ততদিন রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন নিয়ে জবি প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন নিয়ে জবি প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল
ছবি: খবরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা ও পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট অধিভুক্ত পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও নেতারা।

এসময়ে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংসার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সম্পাদক মাহবুব রনি। 

প্রধান আলোচক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ সুবিধা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনেকে অনেক কিছু চায়। তাই বিভিন্ন জন নানান দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে, রাজপথে নামছে। ২৪ এর গণঅভুত্থানে যারা কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করেছেন তাদের মাঝেও আমরা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি। এই বিভাজন খুব বাস্তব সম্মত কারণ যখন একটা গণঅভ্যুত্থান হয় তখন কিন্তু সমুদ্রের মতো প্রত্যেকটা স্রোত এসে এখানে জমা হয়। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ তাদের সমর্থন ও ভিন্ন মতাদর্শ নিয়ে এখানে যুক্ত হয়। কিন্তু যখন গণঅভ্যুত্থান সফল হয় তখন এই প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মতো দেশ গঠনের কথা ভাবে, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মতো দাবি দেওয়া জানাতে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, এই দাবিগুলো জানাতে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য ছিল তা যেন বিনষ্ট না হয়। গণঅভ্যুত্থানের যে ঐক্য সে ঐক্যের প্রধান শিক্ষা হলো আমাদের পারস্পরিক যে বিভেদ ও মতাদর্শিক ভিন্নতা, তা সত্ত্বেও যেন আমরা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এই বিষয়টি সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেন ভুলে গেছি কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হয়। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেই ব্যবস্থাই ফিরে যেতে চাই না যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না, মানবাধিকার ছিল না, ভোটাধিকার ছিল না, স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারতাম না, স্বাধীনভাবে মিছিল মিটিং করতে পারতাম না, সেরকম পরিস্থিতিতে আমরা আর ফিরে যেতে চাই না। সকলের প্রতিজ্ঞা করা উচিত আমরা আর কখনো ফ্যাসিবাদী, কর্তৃতবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যাব না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘২৪ এর জুলাই আন্দোলনে আমরা একটা শিক্ষা পেয়েছি, সে শিক্ষাটা আমাদের সকলকে গ্রহণ করতে হবে। সে শিক্ষাটা হলো মানুষ অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতি ইত্যাদি জিনিসগুলো সাময়িক সময়ের জন্য মানতে বাধ্য হলেও কখনোই তারা মন থেকে মেনে নেয় না। এর ফলেই ২৪ এর আন্দোলনে সব মানুষ আন্দোলনে নেমেছে, ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে। তাই আমাদের সকলের শিক্ষা নিতে হবে যে পরবর্তী সময়ে আমরা কেউ যেন এরকম ফ্যাসিবাদী চিন্তা-ধারা লালন না করি। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ এর কাছে দাবি জানান যে, আমাদের যারা ক্যাম্পাসের সাংবাদিকতায় থাকতে চায় বা ভবিষ্যতে সাংবাদিকতা নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা তারা দিয়ে থাকেন, সেগুলো যেন আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

স্বল্প খরচে পড়াশোনা শেষে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ স্পেনে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
স্বল্প খরচে পড়াশোনা শেষে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ স্পেনে
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদ ছবি: সংগৃহীত

বিচিত্র সংস্কৃতি আর উন্নত অর্থনীতির দেশ স্পেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর কাছে স্বপ্নের দেশ। আর হবেই না বা কেন, যেখানে খোদ আমেরিকা থেকে শিক্ষার্থীরা যেখানে যায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে আশা করি আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন দেশের স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের মতো আপনারও যদি স্বপ্ন থাকে স্প্যানিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার, স্পেনে ঠাঁই পাওয়ার, তবে আজকের এই লেখা আপনার জন্য। 

কেন স্পেনে পড়তে যাবেন?
ইউরোপের দেশ স্পেনের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। পশ্চিম ইউরোপের শেনজেনভুক্ত দেশ স্পেনের ভাষা স্প্যানিশ, মুদ্রা ইউরো আর রাজধানী মাদ্রিদ। সারা বিশ্বে পৃথিবীর অন্যতম উন্নত অর্থনীতির দেশ স্পেন। তাই এ দেশ আপনাকে এনে দিতে পারে সাফল্য।   

কোর্স খোঁজা ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
প্রতি বছর সারা বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্পেনের মোট ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসেন। স্পেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে। দেশটিতে শুধু স্প্যানিশ ভাষায় পড়ানো হয় এমন না, ইংরেজি ভাষায়ও পাঠ দান করা হয়ে থাকে। ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি সব প্রোগ্রামই ইংরেজি ভাষায় করার সুযোগ আছে। কিন্তু যদি আপনার স্প্যানিশ ভাষা জানা থাকে তাহলে আপনার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মোচন আরও সহজ হবে।
 
স্পেনে পড়তে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা
স্পেনে ব্যাচেলর পড়তে যাওয়ার জন্য এইচএসসি পাস, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং পিএইচডি করার জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি। এরপর আপনার দরকার হবে ভাষাগত দক্ষতার। আপনি ইংরেজি ভাষায় কোর্স করতে চাইলে আপনাকে IELTS-এ ন্যূনতম ৫.৫/৬.০ স্কোর পেতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই স্কোর পরিবর্তিত হয়। আর আপনি যদি স্প্যানিশ ভাষায় কোর্স নিতে চান তাহলে আপনাকে স্প্যানিশে আপনার B1/B2 বা DELE (Diploma of Spanish as a Foreign Language) Intermediate বা DELE B1/B2 থাকতে হবে।
উল্লেখ্য যে, স্প্যানিশ ভাষায় সরাসরি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্প্যানিশ ভাষায় ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীরা তিন ধাপে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারে।
প্রথম ধাপে স্নাতক কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়, যা সাধারণত বছরের শুরুর (ফেব্রুয়ারি-জুন) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়, যা সাধারণত বছরের মাঝখানের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
তৃতীয় ধাপে গবেষণামূলক/PhD কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয়, যা সাধারণত এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
স্পেনে দুই ধরনের মাস্টার্স কোর্স আছে: একটি অফিসিয়াল মাস্টার্স, যা স্পেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুমোদিত আর দ্বিতীয়টি হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও অফার করা মাস্টার্স প্রোগ্রাম, যা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার ব্যাচেলরের মার্ক্স স্পেনের সমতুল্য স্কেলে রূপান্তর করিয়ে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পড়বে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
১। সব একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট (স্পেনের স্কেলে রূপান্তর করা) 
২। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার
৩। সিভি
৪। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫। আবেদন ফি পরিশোধের প্রমাণ

আপনার ডকুমেন্টস সবকিছু ঠিক থাকলে, দু-এক মাসের মধ্যে আপনাকে মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হবে। অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আবেদন কনফার্ম করার জন্য টিউশন ফির পুরোটা বা আংশিক অংশ বিশ্ববিদ্যালয়রে প্রদত্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে হবে। টিউশনের ফির কতটুকু অংশ জমা দিতে হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন হতে পারে। এই টিউশন ফি (আংশিক/ পূর্ণ) জমা দেওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে অ্যাকপ্টেন্স লেটারের হার্ডকপি ও ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র পাঠাবে।

পড়াশোনার খরচ ও বৃত্তি
স্পেনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে আপনার বার্ষিক ফি দিতে হবে ৬,০০-১,২৮০ ইউরো। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হলে বার্ষিক ফির পরিমাণ হবে ৫,৫০০-১৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফির তারতম্য হয়ে থাকে। ইউরোপের বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি ক্রেডিট ৫৫-৮০ ইউরো হয়ে থাকে আর মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রতি ক্রেডিটের ফি হয়ে থাকে ২২-৩৬ ইউরো। 
স্পেনের পাবলিক ও প্রাইভেট সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে বৃত্তির সুবিধা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে বৃত্তির খবরা-খবর জেনে নেওয়া ভালো। 

স্পেনের আবাসন ব্যবস্থা
স্পেনে আপনি কোথায় আছেন সেটার ওপর নির্ভর করবে আপনাকে আবাসন বাবদ কত খরচ করতে হবে। মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো শহরে থাকতে আপনাকে ৩৫০-৯০০ ইউরো দিতে হতে পারে শেয়ারড ফ্ল্যাটের জন্য। কিন্তু আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে সালামাঙ্কা, স্যান্টিয়াগো ডি কম্পোসটেলা ও গ্রানাডা শহরে থাকেন আপনি ৩০০ ইউরোতে আপনার ফ্ল্যাট পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য খরচও এখানে কম। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলেও আবেদন করতে পারেন। দ্রুত আবেদন করলে আপনার হোস্টেলে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, ভিসার জন্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে হাউজিং কন্ট্রাক্ট ডকুমেন্টস।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
স্পেনের ভিসা পেতে আপনার সময় লাগবে তিন মাসের বেশি, তাই আগে থেকেই আপনাকে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভিসা পাওয়ার প্রথম ধাপে আপনাকে ঢাকা স্পেনের দূতাবাস থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে নিচের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে- 
http://www.exteriores.gob.es/embajadas/dhaka/es/Paginas/inicio.aspx
আপনি সব কাগজ নিয়ে সময়মতো এম্বেসিতে উপস্থিত হয়ে ডকুমেন্টস দাখিল করবেন। যদি সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকে, তাহলে ভিসা ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে রসিদসহ সব ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলো-
১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো অফার লেটার
২। সব সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সনদ
৩। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ
৪। সিভি, মোটিভেশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার
৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক সচ্ছলতার ডকুমেন্টস
৬। IELTS / DELE B1-B2-এর সনদ
৭। হাউজিং সার্টিফিকেট/ ডকুমেন্টস  
১১। ফ্লাইট বুকিং টিকিট
১২। স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ
স্পেনে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পান। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, খণ্ডকালীন কাজের টাকায় নিজের খরচ চালানো সম্ভব হলেও টিউশন ফি দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

স্পেনে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
স্পেনে উচ্চশিক্ষারত বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সমাপ্তির পর স্পেনে একটি চাকরি খোঁজার জন্য অথবা নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে সর্বোচ্চ ১২ মাস স্পেনে থাকার অনুমতি পান। এখানে পাঁচ বছর থাকার পর অস্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে এজন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন- সফলভাবে স্পেনে কোর্স শেষ করতে হবে, স্বাস্থ্যবিমা থাকতে হবে এবং চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত চলার মতো আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র থাকা লাগবে। আর টানা ১০ বছর থাকার পর, আপনি স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্র: studyspice.com

লেখক: শিক্ষার্থী, স্পেন

/রিয়াজ

কুবিতে প্রশ্নফাঁস, প্রমাণ বিনষ্টের অভিযোগসহ ৫ দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
কুবিতে প্রশ্নফাঁস, প্রমাণ বিনষ্টের অভিযোগসহ ৫ দাবি শিক্ষার্থীদের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রমাণ বিনষ্ট করার অভিযোগসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছে উক্ত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপিটি জমা দেন তারা।

স্মারকলিপিতে পরীক্ষার পূর্বে অতিদ্রুত তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি বিনষ্ট করার চেষ্টা, অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীর খাতা জব্দ করা এবং আগামী পরীক্ষার পূর্বে অভিযুক্তের খাতার সঙ্গে প্রমাণাদি মিলিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, ৩০৬ কোর্সের ফাইনালের ফলাফলে অ্যাসাইনমেন্ট, মিড নেওয়া ব্যতীত নাম্বারিং করার অভিযোগও করেন। 

এ বিষয়ে উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ড্রাইভে লিংক নষ্ট হওয়াকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না। তাই তদন্তের বিষয় জানতে আমরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে গেলে উনি আমাদেরকে একটি লিখিত দিতে বলেন। সেক্ষেত্রে আমরা লিখিত স্মারকলিপিটি রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।

এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান জানান, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে এসেছিল। তারা এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে এবং আমি তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের অবশ্যই যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সিমেস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ উক্ত ব্যাচের সিমেস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আতিকুর রহমান তনয়/মাহফুজ 

 

সরে এল বাম সংগঠনগুলো, ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
সরে এল বাম সংগঠনগুলো, ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা ও দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিবেচনায় পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। এদিকে শনিবার পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ইনকিলাব মঞ্চের পদযাত্রা। পরে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী দুই দফা দাবিসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পাঁচ দফা দাবি থেকে সরে এসে দুই দফা দাবি জানাচ্ছি। আজ থেকে আগামী এক মাস আমরা প্রতিদিন লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করব। আগামী ২৫ এপ্রিল বিকাল ৩টার সময় শাহবাগ মোড়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং জুলাই, শাপলা ও পিলখানা হত্যার বিচার দাবিতে শহিদি সমাবেশ ঘোষণা করছি।’

ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো- জুলাই, পিলখানা, শাপলা গণহত্যার বিচার ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এসব দাবিতে শনিবার শাহবাগে জড়ো হয়ে শহিদ মিনারের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ। শাহবাগ থেকে শহিদ মিনারের দিকে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির হাট এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিরে যান।

এদিকে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর শহিদ মিনার থেকে গণপদযাত্রার কথা থাকলেও তারা কর্মসূচি থেকে সরে আসে। দুপুরে শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত একটি সমাবেশ থেকে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এ সময় তারা সাত দফা দাবি ঘোষণা করেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন দাবিগুলো ঘোষণা করেন।

দাবিগুলো হলো- আছিয়াসহ সব হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার; ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ; জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার; মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলাকারী মব সন্ত্রাসীদের বিচার; চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ, যৌথ বাহিনী দ্বারা শ্রমিক হত্যার বিচার; সাগর-রুনী, তনু, আফসানা, মুনিয়াসহ আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত হত্যার বিচার এবং হিন্দু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা, লুটপাটের বিচার করতে হবে।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, ‘মামলার ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, বাম ঘরানার আটটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের প্রতিবাদ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে শহিদ মিনার থেকে তাদের সরে যেতে আলটিমেটাম দিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ।

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার, এক ছাদের নিচে সব ছাত্রসংগঠন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার, এক ছাদের নিচে সব ছাত্রসংগঠন
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল প্রায় সকল ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতৃবৃন্দ এক ছাদের নিচে সমবেত হন।  

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

এবারের ইফতার মাহফিলে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। নতুন ছাত্রসংগঠন হিসেবে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুলা কাদের ও সদস্য সচিব মাহির আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দুই গ্রুপ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ ও বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।  

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির এই আয়োজন ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি ও সংহতির নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। ভিন্ন মতাদর্শের সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে একই টেবিলে বসে আলোচনা ও ইফতার করায় ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/