ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

জাহাঙ্গীরনগরে বসন্তের পূর্ণতা আসে আগুনরাঙা পলাশে

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
জাহাঙ্গীরনগরে বসন্তের পূর্ণতা আসে আগুনরাঙা পলাশে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুটেছে পলাশ ফুল। ছবি: খবরের কাগজ

‘ও পলাশ, ও শিমুল/ কেন এ মন মোর রাঙালে/ জানি না, জানি না/ আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে…’ আগুনরাঙা বসন্ত এলেই মনে পড়ে লতা মঙ্গেশকরের এই কালজয়ী গান। বাংলার বসন্তের সাথে পলাশের উপস্থিতি সহজাত। আর পলাশ মানেই রক্তরঙা আভায় আলোর বিচ্ছুরণে পর্ণমোচী বনের নবনৃত্যকলা। 

আচমকা পলাশ ফুল দেখে মনে হতে পারে থোকা থোকা আগুনের শিখা। পলাশ যেন শীতের রিক্ততা কাটাতে বসন্ত-প্রকৃতির মন রাঙানোর দায় নিয়েছে। মাটির পরশে বেজে ওঠে মিষ্টি হারমোনির মর্মর ধ্বনি। আগুনরাঙা ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো শিক্ষাঙ্গন। ফুলের পাপড়ি ঘাসের জমিনে পড়ে যেন লাল কার্পেটে রূপ নিয়েছে। পলাশদামে মুখ ডুবিয়ে মেটে শালিকের সে কি আনন্দ! পত্রহীন ডালের ফাঁক গলে নীলাকাশে শোভিত রঙের খেলা। এ যেন বসন্তের আগমনী বার্তা। শুধু বার্তা নয়, গাছে গাছে ফোটা নতুন কুঁড়ি আর নানা রঙের বাহারি ফুল জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে।

বলছিলাম শীতের আড়মোড়া ভেঙে রুক্ষতা বিদায় করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তের প্রাণ আগুনরাঙা পলাশের কথা। এই রক্তরাঙা পলাশের রক্তিম রঙে পুরো ক্যাম্পাস রঙিন হয়ে উঠছে। পলাশদামে মুখ ডুবিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে পাখির ঝাঁক। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নবরূপে। গাছে গাছে পাখির কলকাকলি। কুহু কুহু ধ্বনিতে শোনা যায় কোকিলের কুহুতান। সব মিলিয়ে এ যেন এক প্রকৃতির নবপ্রাণ।

প্রকৃতি আমাদের যাপিত জীবনের নিত্যসঙ্গী। মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতির মতো পরিবেশ-প্রকৃতিও বদলায়। প্রকৃতির এই অদলবদলের খেলায় বিপুল ঐশ্বর্যধারী ঋতুরাজ বসন্তের হাওয়ায় যখন মুখরিত চারপাশ, তখন প্রকৃতির সাথে বাঙালিও বসন্ত-প্রেমের স্বাদ নিতে শুরু করে। দখিনা-বাতাসে নেওয়া শুরু করে নিঃশ্বাস। বনফুলের পল্লবে পাগলের ন্যায় উত্তরীয় উড়িয়ে আপন মনে গায় গান। প্রেমিকের হৃদয়ে লাগে প্রেমের দোলা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমির নগরীখ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাঙ্গন একেক ঋতুতে পায় একেক রূপ। শীতের সময় এই হিম নগরী মুগ্ধ থাকে অতিথি পাখির কলতানে, বসন্তে ফুলের সৌরভে মুখরিত করে চারপাশ আর পাখির কলকাকলিতে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে স্তব্ধ রাখে কোলাহল। গ্রীষ্মে বাহারি ফলের ছড়াছড়িতে আকৃষ্ট করে যে কাউকে। সাংস্কৃতিক উৎসবের সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত জাহাঙ্গীরনগরে যখন বসন্তের আগমন ঘটে, তখন ক্যাম্পাস যেন সব ছাড়িয়ে তার নিজস্ব সত্তাটিকেই ধারণ করে। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তের মৌসুমে পলাশ ফুলের গাছগুলো এক চমৎকার দৃশ্য উপস্থাপন করে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে সারি সারি পলাশগাছ ফুলে পূর্ণ হয়ে উঠেছে, আর তাদের উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল যেন পুরো পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলে। পর্ণমোচী প্রতিটি গাছে বসন্তের হাওয়ায় পলাশ এক মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য অনুভূতির নাম এবং এর সুমিষ্টতা হয়তো পাখিদের বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টির কারণ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শাখা-প্রশাখা ও আঁকাবাঁকা কাণ্ডের গাছটির টকটকে লাল ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগরে হলুদ ও লালচে রঙের ফুল দেখা যায়। এই সময়টাতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীরা যেন ফুলের মাঝে হারিয়ে যায়, প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে চায়।

শহুরে জীবনের কোলাহলে ঋতুরাজ কিংবা গ্রীষ্ম তাপমাত্রার অসহ্যতা ছাড়া ঠিক আলাদাভাবে হয়তো প্রভাব ফেলে না। হয়তো গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম জানান দেয় তার উপস্থিতি। ঋতুরাজ বসন্তের হয়তো সে সুযোগ নেই। কিন্তু ঢাকার অদূরে অবস্থিত এক নৈসর্গিক শিক্ষাঙ্গন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত আসে মায়া ছড়িয়ে। প্রকৃতির শোভা ছড়িয়ে ভালোবাসার গান গেয়ে গেয়ে। মনের আনন্দে পাখিরা গান গাইতে শুরু করে। বসন্ত মানুষের হৃদয়ে তোলে ঢেউয়ের তাল। সে তাল পূর্ণতা পায় সুর শ্বাশতে। রবীন্দ্র-নজরুলেও এ বসন্ত ধরা দেয় কখনো বিরহী, কখনো আনন্দ, কখনো সৃষ্টি, কখনো প্রকৃতির অনবদ্য গানে।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বসন্তকে তুলে এনেছেন গানে, ‘বসন্ত আজ আসলো ধরায়/ ফুল ফুটেছে বনে বনে/ শীতের হাওয়া পালিয়ে বেড়ায় ফাল্গুনী মোর মন বনে।’ আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘মায়ার খেলা’ গীতিনাট্যে বসন্তকে তুলে ধরেছেন, ‘আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে/ এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়।’ এখানকার শিক্ষার্থীদের অবচেতন মনেও বসন্তের এই প্রভাব পড়ে। বসন্তের এই দিনে পর্ণমোচী বনের উদাসী বাতাসে শুকনো পাতার নূপুরের নিক্বণ আর দূর থেকে ভেসে আসা বসন্তদূত কোকিলের কুহুতানের ধ্বনিতে প্রেমিকযুগলের হৃদয় আকুল করে হৃদয়মন্দিরে গেয়ে ওঠে, ‘আজি, খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো/ আজি, ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো/ এই সংগীত-মুখরিত গগনে/ তব গন্ধ করঙ্গিয়া তুলিয়ো।’ 

কেউ কেউ নিঃসঙ্গতায় হয়তো বলে ওঠে, ‘দূরে, গগনে কাহার পথ চাহিয়া/ আজি, ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে।’

আমানউল্লাহ/তাওফিক

কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তারা, পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তারা, পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা
কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগান। 

অন্যদিকে কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মিছিলটি শুরু হয়‌। দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে তারা মানববন্ধন করেন। এ সময় শিক্ষক-কমকর্তারা কিছু শিক্ষার্থী কুয়েটের ভিসিকে হয়রানি করছে বলে দাবি করেন। ক্যাম্পাসে এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে কুয়েট পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
    
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ না করে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে কুয়েট প্রশাসন। তারা বলছেন, বহিষ্কারের নামে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রদের হয়রানি করা হতে পারে। সেই সঙ্গে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি জানানো হয়। 

শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে জানান, কুয়েটে হামলার ঘটনায় বহিরাগত এক ব্যক্তি কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন, ওই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা মাঠ ছাড়বেন না বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভিসি চাপ প্রয়োগ করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে গেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে সমর্থন দিতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। 

 ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি। ছবি: খবরের কাগজ

মঙ্গলবার দুপুরে তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশের পর রাতে হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। কুয়েট শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক বলেন, ‘আমরা হলে উঠলেও খাবার পানির সংকট রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। দুই মাস আগের ট্যাংকির পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হলের কর্মচারীদের এখনো নিয়োগ হয়নি। আমাদের সমস্যাগুলো হল প্রভোস্টকে অবহিত করেছি। তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম দুই মাস বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে চার-পাঁচ মাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। এতে আমরা শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

অন্যদিকে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-কর্মচারীদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেন। এ সময় কুয়েটের উপাচার্যকে শিক্ষার্থীরা হয়রানি করছে বলে শিক্ষক-কমকর্তারা দাবি করে এর প্রতিবাদ জানান।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে নির্দোষ হতে পারেন। ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি সেটা যাচাই বাছাই করছে।’ তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন না।’ এ ছাড়া ৪ মে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পরিবেশ তৈরির জন্য তিনি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রদের হল ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। ওই সময় হলের ইন্টারনেট সংযোগ এবং পানির লাইন যেভাবে ছিল এখনো সেভাবে রয়েছে।’

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর নামের তালিকা ও সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। তাই এসব তালিকা দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। 

শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধনে বলা হয়, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টত আইনের লঙ্ঘন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলা হয়। তারা যেন কোনো ধরনের অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে স্থানীয় এক বাসিন্দা আদালতে মামলা করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

 

মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ ডিইউকিউএসের আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভালের পর্দা নামছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
ডিইউকিউএসের আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভালের পর্দা নামছে বৃহস্পতিবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ফেস্টিভালের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কুইজ সোসাইটির (ডিইউকিউএস) উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্ট বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শেষ হতে যাচ্ছে। সমাপনী দিনে রয়েছে অন্তবিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তবিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্মুক্ত রাউন্ড। এরপর পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে পর্দা নামবে এবারের আসরের।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ফেস্টিভালের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে উদ্বুদ্ধ করতে কুইজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি ধরে রাখতে এই ফেস্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।’

কুইজ সোসাইটির সভাপতি ওয়াসি আহাম্মেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনের মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার এবং ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফারজানা বাসার উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ডিইউকিউএসের আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভালে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে মুক্তচিন্তার স্বাধীন দৈনিক ‘খবরের কাগজ’। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ডিইউকিউএস কুইজের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চাকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জ্ঞানচর্চার সেই ধারাবাহিকতায় এবারও আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল। এবারের কুইজ ফেস্টে আন্তস্কুল, আন্তকলেজ ও আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কুইজ প্রতিযোগিতায় ১০০টি টিম, মেগা কুইজে ৩০টি টিম আর অন্তবিশ্ববিদ্যালয় কুইজে ৭০টি টিম অংশ নেয়। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, ফিলিপাইনসহ ১১টি দেশের প্রতিযোগীরা এই ফেস্টে ভাচুয়ালি অংশ নিচ্ছেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

নতুন করে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
নতুন করে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর শুধু বহুনির্বাচনি পরীক্ষা নেবে এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে সেটি মঞ্জুরের পর এবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আগামী ১৭ মে শুধু ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে অংশ নেওয়া ভর্তিচ্ছুরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

এদিকে একই ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা থেকে অংশ নেওয়া ভর্তিচ্ছুদের ফল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাবির অনলাইনে ভর্তি কমিটির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ থেকে জানানো হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির বিশেষ সভার সিদ্ধান্তক্রমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের পুনরায় বহুনির্বাচনি আগামী ১৭ মে তারিখে বিকেল ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ফলাফল আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রকাশ করা হবে এবং আগামী ১৯ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত তাদের বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম পূরণ করতে পারবেন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ‘একাধিক ভুল থাকায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ‍তোলা হয়। ১৯ মার্চ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ভর্তি পরীক্ষার ফল স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। 

এদিকে ১৩ এপ্রিল বিকেলে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে, সেটি মঞ্জুর করে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ।

/আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ
ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সামনে সংবাদ সম্মেলনে জুনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

মে মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের টাইম ফ্রেম এবং জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে টাইমলাইনে দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মে মাসের প্রথমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং মাঝামাঝি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে কিন্তু কবে ডাকসু নির্বাচন হবে এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয়, শঙ্কা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা বলে, পরবর্তী সময়ে একটি পর্যায়ে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিল করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বলতে চাই, ৫ আগস্ট পরবর্তী যে কমিটমেন্ট সেই জায়গা থেকে কোনো অদৃশ্য শক্তিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে দেওয়া হবে না।’

ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখের দাবি জানিয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘এখন এপ্রিল চলছে, আগামী মে মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের মধ্যে টাইম ফ্রেম ঘোষণা করতে হবে এবং জুনের ভেতরে, কুরবানি ঈদের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রহণযোগ্য-প্রতিযোগিতা মূলক ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারের সঙ্গে আমরা আছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতিদ্রুত সংস্কার শেষে শিক্ষার্থী বান্ধব ডাকসু উপহার দেবেন। একই সঙ্গে যারা ডাকসুতে নির্বাচিত হবেন, তারা শিক্ষার্থীদের যে চাওয়া তার সঙ্গে মিল রেখে ডাকসুকে আরও বেশি ছাত্রবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলবেন।’

এতে অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, সদস্যসচিব রাকিবুল ইসলামসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাইমলাইন অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। তবে তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং কবে নির্বাচন হবে, এ নিয়ে কিছুই উল্লেখ নেই ওই টাইমলাইনে।

আরিফ জওয়াদ/মাহফুজ

 

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল শুরু, মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ঢাবিতে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল শুরু, মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। এবারের আসরে ১১ দেশের প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত ‘প্রথম ডিইউকিউএস ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ফেস্ট-২০২৫’ শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির (ডিইউকিউএস) আয়োজনে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি আয়োজকদের।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ওয়াসি আহাম্মেদ বলেন, ‘ঢাবি কুইজ সোসাইটিই দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম এই ধরনের বৃহৎ আন্তর্জাতিক কুইজ উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এটি বাংলাদেশের কুইজ সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবে।’

দেশের বাইরের অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে কুইজ সোসাইটির যোগাযোগ সম্পাদক মুসাররাত তাইয়্যেবা মুসকান বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, ফিলিপাইনসহ মোট ১১টি দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বিদেশি কুইজাররা ভার্চুয়ালি প্রতিযোগিতায় যুক্ত হবেন।’

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন উদ্বোধনের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা এবং একক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে অন্তঃ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্মুক্ত রাউন্ড। সেই সঙ্গে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক আয়োজনের পর্দা নামবে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদমান মুস্তফা রাফিদ, ছাত্র কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক জয়নব আরা পাপড়ি এবং উপ-আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মাইনুর জান্নাত রাবিনা।

ডিইউকিউএসের আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভালে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে মুক্ত চিন্তার স্বাধীন দৈনিক ‘খবরের কাগজ’।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ডিইউকিউএস কুইজের দ্বারা জ্ঞানচর্চাকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জ্ঞানচর্চার সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল।