ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাবি অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তারের দাবি সাদা দলের

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ এএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ এএম
ঢাবি অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তারের দাবি সাদা দলের
ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার অভ্যত্থানে গণহত্যায় উৎসাহিত করার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজ‌বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। 

রবিবার (২৪ মার্চ) সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃ‌তি‌তে এ দাবি জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন ও গণহত্যায় উৎসাহিত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা শিক্ষক সমিতির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের পক্ষ থেকে আমরা ফ্যাসিস্টের দোসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত ড. জিনাত হুদার এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সাদা দলের নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখাত এবং তদুপরি ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ড. জিনাত হুদা আর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নন। এরপরও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল এবং প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। এমন অবস্থায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতাকে নিয়ে বিষোদগার, নেতিবাচক মন্তব্য, গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হয়ে গণভবনে উপস্থিত হয়ে খুনি শেখ হাসিনার গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়ায় ফ্যাসিবাদের দোসর ড. জিনাত হুদাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে একাধিকবার মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে, তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

বিভিন্ন দাবিতে জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
বিভিন্ন দাবিতে জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, গুমের শিকার তিন জবি শিক্ষার্থী ও সাবেক জবি ছাত্রদল নেতাদের ফেরত, কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। 

বক্তব্যে সংগঠনটির সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, 'একের পর এক বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনা হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চুপ, বিচার ব্যবস্থা অপারগ। যারা জুলাই আন্দোলনের শহিদ ও আহত শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা পেয়েছে তারা আজ বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করার পরিবর্তে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিস্ট কোন গোষ্ঠী নয়, এটি কন্সেপ্ট।  যারাই নতুন করে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে চাইবে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ মিলে তাদের অধিকার রক্ষায় আবার ৫ আগস্ট রচনা করবে।' 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, 'আমাদের আক্ষেপ, হারানো আর না পাওয়ার তালিকা বড় থেকে বড় হচ্ছে। বিপরীতে আমাদের অধিকার আদায়ের কোঠা শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ২০ বছর হতে চলেছে। ২০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসন সুবিধা রয়েছে মাত্র ১২৪৮ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য। ছাত্রী হলের একটি মাত্র হল যেখানে ১২৪৮ আসনে গাদাগাদি করে থাকেন ২ হাজারের বেশি নারী শিক্ষার্থী। ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোন আবাসন সুবিধা। প্রতিদিন তারা মেসে অমানবিক জীবনযাপন করেন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা দিনাতিপাত করছে।' 

তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীদের যখন এমন অমানবিক অবস্থা তখন প্রশাসন দ্বিতীয় তলার ভবনে উঠতে লিফট তৈরি করেন তখন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে তা আঘাত করে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের উচিত ছিল নিরলস প্রচেষ্টা করা, আবাসন সংকট নিরসনে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। অথচ তার কোন নজির দেখা যায়নি। বিপরীতে শিক্ষার্থীরা একের পর এক আন্দোলন, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তাতেও প্রশাসনের গড়িমসি ভাঙছেনা।'

মেহেদী/

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য  ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কী করে?’, ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে’, ‘এক দফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, কুয়েটে চলমান ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা সংহতি জানাচ্ছি। ৪২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু এ ইনটেরিম সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যাতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এর পর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা গত ১৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

মেহেদী/

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্রীদের

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্রীদের
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা। ছবি: খবরের কাগজ

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এ সময় শতাধিক ছাত্রী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যৌন পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। যা নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর ও সবার উপর চাপিয়ে দেওয়ার মতো সুপারিশ। যা কখনই কাম্য নয়। ইসলামে নারীদের অধিকার কোনো অংশেই কম দেওয়া হয়নি। বরং ইসলাম নারীদেরকে অনেক সম্মানিত করেছে। এই শাহজালালের ভূমি থেকে আমরা কখনই এসব অযৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন হতে দেব না।’

মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার বলেন, ‘কমিশনে যারা বসে আছেন তারা বেশিরভাগই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিও কর্মী। বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন নারীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর সংস্কারের প্রস্তাব আনা দরকার। কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সব ধর্মের মূল্যবোধকে অপমান করেছে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করছে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা বর্তমান কমিশন ভেঙ্গে সংস্কার করে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান। 

নিয়ামতুল্লাহ/পপি/

শিক্ষক লাঞ্চিতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন না শিক্ষকরা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
শিক্ষক লাঞ্চিতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন না শিক্ষকরা
কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতি। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে হামলার সময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা জানান, শিক্ষার উপদেষ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি, এতে তারা ব্যথিত হয়েছেন। 

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ ফারুক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজে সহায়তা করে।

প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ভূত ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া হলেও তাতে শিক্ষকদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা নানারকম বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করে এখানে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে এটা নিয়ে আমরা শংকিত।’

অন্যদিকে ভিসির এক দফা পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখনও অনশনে অনড় রয়েছেন। ৪৬ ঘণ্টা ধরে না খেয়ে থাকা ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে অবস্থান করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। 

এদিকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারিতে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়, যার ফলে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন।

মাকসুদ/তাওফিক/ 

পথশিশুদের নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন শরীফ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
পথশিশুদের নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন শরীফ
ছবি: মো. আশিকুর রহমান

ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় অসংখ্য মানুষের ভিড়ের মাঝেও এক তরুণ নীরবে এগিয়ে চলেছেন সমাজের অবহেলিত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে। তিনি শরীফ ওবায়েদুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী অবহেলিত শিশুদের গিয়ে নিতে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নবোদ্যম ফাউন্ডেশন ও সেভ দ্য টুমরো স্কুল। তার লক্ষ্য—পথশিশুদের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তৈরি করা।

উদ্যোগের সূচনা
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পথশিশুদের কষ্ট কাছ থেকে দেখেছেন শরীফ। সেই অভিজ্ঞতা তাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। ‘ওদের বয়স বেশি নয়, তবে সংগ্রাম অনেক। ওদের জন্য কিছু করতে হবে’ এই চিন্তাই ছিল তার এই মহৎ উদ্যোগের প্রেরণা।

ফাউন্ডেশনের কাজের পরিধি
নবোদ্যম ফাউন্ডেশন কাজ করছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তার মাধ্যমে পথশিশুদের উন্নয়নে। তারা শুধু লেখাপড়া শেখায় না, দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়তা করে। শরীফ বলেন, ‘শিক্ষা শুধু বইয়ের ভেতরে নয়, এটা জীবনের হাতিয়ার।’

কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে
সেভ দ্য টুমরো স্কুল পথশিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এখানে তারা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি জীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে। স্কুলটির কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা হাইকোর্ট এলাকা, ভৈরব, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও মিরপুরে। শরীফের ভাষায়, ‘আমরা শিশুদের বলি—তোমরা বড় স্বপ্ন দেখতে পারো।’

৩৪ লাখ শিশুর জন্য লািলত স্বপ্ন
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৪ লাখ পথশিশু রয়েছে। শরীফ স্বপ্ন দেখেন এই শিশুদের প্রত্যেকের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার। তার মতে, ‘প্রতিটি শিশুই সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি। আমরা সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চাই।’

সামাজিক প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ
শুধু শিক্ষা নয়, স্কুলে দেওয়া হয় খাবার, চিকিৎসা ও মানসিক সাপোর্ট। অনেক শিশু এখন নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কাজটা সহজ নয়, তহবিলের অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ এখানে। তবু শরীফের অদম্য মনোভাব এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা এই লড়াইকে সহজ করে তুলেছে।

ভবিষ্যতের পথচিত্র
শরীফের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। 
শরীফের গল্প আমাদের শেখায়—সহানুভূতি আর সংকল্প থাকলে পরিবর্তন সম্ভব। একা নয়, সবাই মিলে গড়তে হবে একটি মানবিক সমাজ।

লেখক: শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

/রিয়াজ