
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারী নেতৃত্ব ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। নারীর প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংগঠনটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘জুলাই-পরবর্তী সময়ে নারীদের ওপর রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সহিংসতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষা অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই বিএনপি কর্মীরা তার ওপর সহিংস হামলা চালিয়েছে। একই দিন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিলে অংশ না নেওয়ায় দুজন নারী শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে এক ছাত্রদল নেত্রীর বিরুদ্ধে।’
হৃদি বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার এ প্রবণতা প্রকারান্তরে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহাবস্থানকে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নারী ঐক্য ও অধিকার রক্ষায় আমাদের জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
সংগঠনটির ঢাবি শাখার মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, ‘যে দলের চেয়ারপারসন একজন নারী, সেই দলের অভ্যন্তরেই যদি নারীর মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই, বিএনপি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে এবং নারীর মর্যাদা রক্ষায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।