
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হকের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
শনিবার( ২১ জুন) পৃথক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
মোহা. মাহমুদুল হক বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য, দৈনিক ডেইলি স্টারের সাবেক মেট্রো এডিটর, ইউএনবির সাব-এডিটর ছিলেন। এ ছাড়া তিনি রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মাহমুদুল হককে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছি। আমরা রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। যে প্রক্রিয়ায় মাহমুদুল হককে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গত বছরের ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরে মুদি দোকানি ছমেস উদ্দিনের মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, সেই দিন পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে ছমেস উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। অথচ গত ৩ জুনের ওই মামলায় মাহমুদুল হককে ৫৪ নম্বর আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জার্নালিজম অ্যালামনাই ফোরাম অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটির (জাফরু) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাফরু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়, একই সঙ্গে মাহমুদুল হকের গ্রেপ্তারে মর্মাহত। তাকে হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে। জাফরু এ মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার প্রত্যাশা করছে।
এর আগে মাহমুদুল হকের মুক্তির দাবিতে গত শুক্রবার বেরোবির মূল ফটকে মানববন্ধন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ওই সময় তারা রংপুরের এসপি, তাজহাট থানার ওসি, হাজীরহাট থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। তা না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
জানা যায়, ওই মামলার বাদী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। কিন্তু তিনি জানেন না, কে কে আসামি। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আবু সাইদের হত্যার ঘটনায় প্রথম শিক্ষক হিসেবে মাহমুদুল হক পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।