ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আনন্দ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছে এক্সপ্রেশানস্ সদস্যরা

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
আনন্দ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছে এক্সপ্রেশানস্ সদস্যরা

দেশের অন্যতম বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্সপ্রেশানস্ লিমিটেডের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হিমালয়কন্যা নেপালে আনন্দ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চার দিনের এই আনন্দ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেন তারা। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এক্সপ্রেশানস্-এর কর্মীরা।

ভ্রমণের প্রথম দিন নাগরকোটে রাত্রিযাপন করে এক্সপ্রেশানস্ দল। নাগরকোটে পুরো দল এক সঙ্গে হিমালয়ে সূর্যোদয়, কাঠমাণ্ডু উপত্যকার অপরূপ মনোরম দৃশ্য ও আরও কয়েকটি হিমালয় পর্বতশ্রেণির দৃশ্য উপভোগ করেন।

নাগরকোট থেকে এক্সপ্রেশানস্ দল কাঠমাণ্ডু ফেরার পথে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ভক্তপুর দরবার স্কোয়ারে প্রাচীন মল্ল রাজাদের রাজপ্রাসাদ নান্দনিক কারুকার্য ও স্থাপত্যশৈলির হিন্দু মন্দির ও বৌদ্ধ মন্দিরের অপূর্ব সমন্বয় দর্শন করে। 

এরপর কাঠমাণ্ডু ফিরে দর্শন করে শহরের পশ্চিমে টিলার চূড়ায় অবস্থিত প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মীয় কমপ্লেক্স স্বয়ম্ভূনাথ। 

দ্বিতীয় দিনের শেষ হয় ইউনেস্কো স্বীকৃত আরেক বিশ্ব এতিহ্যবাহী স্থান কাঠমাণ্ডু দরবার স্কোয়ার দর্শন করার মধ্য দিয়ে। 

তৃতীয় দিন চন্দ্রগিরি হিলে ক্যাবল কার রাইড সবার কাছে ছিল অন্যতম আর্কষণ। 

এরপর থামেল শহরে নেপালের ঐতিহ্যবাহী নানা কুটিরশিল্প ও হস্তশিল্প সংগ্রহ করে রাতে সবাই অংশগ্রহণ করেন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সংগীত, অভিনয় ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন এক্সপ্রেশানস্-এর কর্মীরা। 

চতুর্থ দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা দেশে ফিরেন।

নেপাল আনন্দ ভ্রমণে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এবং চিফ বিলিফ অফিসার সৈয়দ আপন আহসান। 

তিনি জানান, ৩১তম বছরে এক্সপ্রেশানস্ লিমিটেড বাংলাদেশে আজ একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতা, দেশ, মাটি ও মানুষের চেতনাকে ধারণ করে চলেছে। দেশজ সংস্কৃতির সাথে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ কৌশলকে সমন্বয় করে বিজ্ঞাপনের উৎকর্ষতা অর্জনে বিশ্বাসী বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্সপ্রেশানস্ লি.।

কর্মীবৃন্দদের অভিজ্ঞতাকে ঋদ্ধ করতেই তাদের নিয়ে মাঝে মাঝে দেশের বাইরে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করে থাকে এক্সপ্রেশানস্। 

এর আগেও ভারত ও থাইল্যান্ডে সকল কর্মীদের নিয়ে ভ্রমণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।     

ব্র্যান্ড সৃষ্টি, বিপণন ও উন্নয়ন যোগাযোগের লক্ষ্যে এটিএল, বিটিএল, ডিজিটাল ও ওটিটি সকল প্লাটফর্মে ৩৬০ ডিগ্রি সমাধান দিতে অডিও, ভিডিও, প্রিন্ট বিজ্ঞাপন তৈরি থেকে শুরু করে যেকোনো ইভেন্ট, অ্যাক্টিভেশন, মিডিয়া সলিউশন, ডিজিটাল কমিউনিকেশন করে থাকে এক্সপ্রেশানস্। 

বিগত তিন দশক ধরে দেশিয় ও বহুজাতিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার যোগাযোগ ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এক্সপ্রেশানস্ লিমিটেড।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কোম্পানির ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ইসমাইল নওয়াব, পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল খালেক মিয়া ও মুখ্য হিসাব কর্মকর্তা মো. মঈনুল আহছান চৌধুরীসহ আরও অনেকে যুক্ত ছিলেন।

সভায় ২০২৩ সালের জন্য প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যংশ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব চৌধুরী এহসানুল হক।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী

এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুননির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।

খায়রুল আলম চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ২০০১ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব উইলভার হ্যাম্পটন থেকে স্নাতক, ২০০২ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে ‘বার অ্যাট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এ ছাড়া ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

আইএফআইসি ব্যাংকের ইসলামিক সেবা চালু

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আইএফআইসি ব্যাংকের ইসলামিক সেবা চালু
ছবি: বিজ্ঞাপন

প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি পরিপূর্ণ ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আইএফআইসি ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হলো শরীয়াহ্ভিত্তিক আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ‘আইএফআইসি ইসলামিক’।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে ‘আইএফআইসি ইসলামিক’ ব্যাংকিং সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মানিত ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা, ব্যাংকের অ্যাডভাইজর শাহ এ সারওয়ার, শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লাসহ প্রমুখ।

এখন থেকে শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি এর দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ১৪০০ এর অধিক সকল শাখা-উপশাখা থেকে ইসলামি ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্থানীয় শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ জুলাই) উপজেলার দয়ারামপুর কাদিরাবাদ সেনানিবাসের স্যাপার কনভেনশন হলে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের এই সংবর্ধণা দেওয়া হয়।

নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি থেকে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

শিক্ষাই সেবা-সেবাই শিক্ষা এই স্নোগানে স্থানীয় শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজন করে। 

একই অনুষ্ঠানে বাগাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি সংসদ সদস্যকে সংবর্ধণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন আইডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা যশোর এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সরকারী অধ্যাপক মো. হামিদুল হক।

প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, দেশ ও সমাজের সব ক্ষেত্রে নিজেকে অনন্য হিসেবে গড়ে তুলতে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে হবে। মানবিক ও নৈতিক মানুষ হিসেবে ২১ শতকের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বাউয়েটের তথ্য অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষক মো. শামীম ইকবালের পরিচালনায় এবং আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অতিরিক্ত সচিব (অব.) সিদ্দিকুর রহমান, রাজশাহী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সাজেদুর রহমান, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আনেছ আলী সরদার প্রমুখ।

ক্রেস্ট ও সনদপত্র পেয়ে কৃতি শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

হিন্দু আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
হিন্দু আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মতিয়া চৌধুরী
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সম্পত্তিতে হিন্দু ও বৌদ্ধ নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। 

সোমবার (১৫ জুলাই) দেশে হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের নেতারা তার সঙ্গে দেখা করে ১১ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করার সময় তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কার পরিষদের নেতারা হিন্দু আইনের আওতাধীন নারী, লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠি, প্রতিবন্ধী এবং দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরে আইন সংশোধনের জন্য সংসদ উপনেতার সহায়তা চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

দাবির ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তবে আপনাদেরকে লেগে থাকতে হবে, সমাজের মানুষকে বোঝাতে হবে, জাগাতে হবে।’

হিন্দু আইন সংস্কারের দাবিতে জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন সদস্যের প্রত্যেকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীর উদ্বোধনী দিনে সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকার রমনায় সংসদ উপনেতার সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করে প্রথম স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।

সংস্কার পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ময়না তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক, সহ-সভাপতি সাংবাদিক সুভাষ সাহা, ভানুলাল দাস (পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি) ও গোকুল কৃষ্ণ পোদ্দার (বায়ো কেমিস্ট), সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ও মহিলা ঐক্য পরিষদের (বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নারী শাখা) সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সংস্কার পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক মুক্তা রাণী শেরপা, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. সুশান্ত বড়ুয়া (পেডিয়াট্রিস্ট), শুভ চন্দ্র দাস (নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক), অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দেব উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদে লিঙ্গবৈষম্যহীন উন্নততর হিন্দু আইন পাসের জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে কোনো ভূমিহীন রাখবেন না ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ মহৎ ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য বৈষম্যমূলক হিন্দু আইন সংশোধন করা জরুরি। কারণ বিদ্যমান আইন হিন্দু ও বৌদ্ধ নারীদের সবাইকে ভূমিহীন করেছে। 

প্রচলিত আইন সংশোধন করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের সম্পূর্ণ অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়ে সংস্কার পরিষদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘পিতামাতার সম্পত্তিতে সন্তানরা (লিঙ্গপরিচয় নির্বিশেষে) সমান অধিকার পাবেন। একই সঙ্গে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রী এবং স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামী এক সন্তানের সমপরিমাণ উত্তরাধিকার পাবেন।’

সংখ্যালঘুদের বসতভিটা সংরক্ষণের স্বার্থে শরিকদের অনাপত্তি ছাড়া হিন্দু আইনের আওতাভুক্ত নয় এমন কারও কাছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বসতভিটা ও বাড়ি বিক্রয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং ক্রেতা হিসেবে নিকটতম শরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধর্মান্তরিত ব্যক্তির উত্তরাধিকার হরণের প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ধর্মান্তরিতরা পূর্বপুরুষের ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনাচরণ ও পরিবার ত্যাগের সঙ্গে পূর্বপুরুষের সম্পত্তিতেও অধিকার ত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবেন। দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, ধর্ম, সংস্কৃতি, পরিবার এবং সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিষিদ্ধ করে সংসদে সুস্পষ্ট সংবিধিবদ্ধ আইন পাস করা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে পুরুষরা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যতগুলো ইচ্ছা বিয়ে করতে পারেন, যার কোনো আইনগত নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া একাধিক বিবাহ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

অসবর্ণ বিবাহ বৈধকরণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, “ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র ও বিভিন্ন উপবর্ণের নারী-পুরুষেরর মধ্যে অসবর্ণ বিবাহ হরহামেশাই ঘটছে। কিন্তু এসব বিয়ের আইনগত বৈধতা নেই। অবৈধ বিয়ের সন্তানরাও আইনত ‘অবৈধ’ বিবেচিত হয়। অবৈধ সন্তানের পৈত্রিক সম্পত্তিতে অধিকার নড়বড়ে থাকে। এগুলো মানুষের প্রতি অবিচারমূলক অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। তাই বৃটিশ আমলে প্রণীত Hindu Marriage Disabilities Removal Act 1946 সংশোধন করে অসবর্ণ বিবাহের আইনগত বৈধতা দেওয়া প্রয়োজন।’

হিন্দু আইনে সন্তান দত্তক নেওয়া বৈধ হলেও স্বামীর অনুমতি ছাড়া নারী ও লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর দত্তক নেওয়ার অধিকার নেই। ছেলে দত্তক নেওয়া যায়, কিন্তু মেয়ে সন্তান দত্তক নেওয়া যায় না। প্রতিবন্ধী শিশুকে এবং ভিন্ন গোত্রের বা ভিন্ন বর্ণের শিশুকে দত্তক নেওয়া যায় না। এরকম নানাবিধ বৈষম্য নিরসন করে আধুনিক, উন্নত ও মানবিক দত্তক আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে বিকলাঙ্গ, দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, যৌন ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং যক্ষা ও কুষ্ঠ রোগের মতো তথাকথিত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পত্তির অধিকার পান না। 

এর নিরসন দাবি করে বলা হয়, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সবার সম্পত্তির সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বিধান ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক সুযোগ দেওয়া জরুরি।’

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ আইন প্রণয়ন, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে  বাবা ও মায়ের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং আওয়ামী লীগের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত অঙ্গীকার অনুযায়ী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে রাষ্ট্র কারও প্রতি বৈষম্য করতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, বৃটিশ আমলে প্রবর্তিত বিভিন্ন হিন্দু আইনে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা এখনো চালু থাকায় নাগরিকরা রাষ্ট্রের কাছে বৈষম্যই পাচ্ছে। আদালতের কাছে বিচার প্রার্থী হলে হিন্দু নারীরা সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা অসাংবিধানিক।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/