সড়ক নিরাপত্তায় প্রযুক্তিনির্ভর ও সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন: মেয়র আতিকুল । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

সড়ক নিরাপত্তায় প্রযুক্তিনির্ভর ও সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন: মেয়র আতিকুল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
সড়ক নিরাপত্তায় প্রযুক্তিনির্ভর ও সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন: মেয়র আতিকুল
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) এর সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-এর যৌথ উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক সাংবাদিকতা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) নগর ভবনের সভাকক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির একার পক্ষে সড়ক নিরাপদ করা সম্ভব নয়। শহরের সড়কসমূহকে নিরাপদ এবং টেকসই করার জন্য সকল নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। সড়কে সকলে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলুন। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে হেলমেট পরুন। ব্যক্তিগত গাড়িতে সিটবেল্ট ব্যবহার করুন। গাড়ী চালকদের প্রতি অনুরোধ, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাবেন না, পথচারী এবং সাইকেল আরোহীদের অধিকারকে সম্মান করুন এবং শহরে গাড়ির গতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আসুন, আমরা সবাই নিরাপদ, সহজগম্য ও আনন্দদায়ক সড়ক ব্যবস্থা তৈরিতে এক সঙ্গে কাজ করি। নিজস্ব পরিসরে অকালমৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আওতাধীন সড়কসমূহ নিরাপদ করতে ডিএনসিসি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর (যেমন: আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) সমাধানে যেতে হবে। ডিএনসিসি এআই নির্ভর সমাধানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এজন্য অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সহায়তা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের সড়কে পথচারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। এজন্য ফুটপাথ প্রশস্ত, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় করা, ফুটপাথ হতে নির্মাণসামগ্রী ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং হকারদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা হচ্ছে। রাস্তা পারাপারে পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং বা পদচারী সেতুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

তিনি ডিএনসিসির সেবা গ্রহণকারী নাগরিক ও সেবা প্রদানকারী সরকারি সংস্থাগুলোকে ফুটপাথ ও সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, ‘নাগরিক সেবা প্রদানকারী কোন সংস্থা কর্তৃক জরুরি প্রয়োজনে ফুটপাথ ও সড়ক কাটার প্রয়োজন হলে অবশ্যই ডিএনসিসিকে অবহিত ও প্রয়োজনীয় অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সড়কের সমস্যা সমাধানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন। সকল গণমাধ্যমে ট্রাফিক আইন ও রোড ক্রাশ নিয়ে প্রচারণা কর্মসূচি পরিচালনা করা প্রয়োজন। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সিগনালে গাড়ি থামানো ও আইন মেনে চলা, পথচারীদের সড়ক পারাপারে সহায়তা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ইত্যাদি বিষয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশেষ করে, সিগনালগুলোতে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে। ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) কো-অর্ডিনেটর-ঢাকা উত্তর মো. আবদুল ওয়াদুদ, বিশিষ্ট অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিয়োজিত বৈশ্বিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-এর টেকনিক্যাল এডভাইজর-রোড সেফটি আমিনুল ইসলাম সুজন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআইজিআরএস-এর কমিউনিকেশন অফিসার খালেদা জেসমিন মিথিলা।

কর্মশালায় সড়ক নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিকভাবে গৃহীত নিরাপদ ব্যবস্থাসমূহ বিষয়ে আলোচনা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার-অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম সোহেল মাহমুদ ও ড. আসিফ রায়হান, নিরাপদ সড়ক ডিজাইন বিষয়ে আলোচনা করেন ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউআরআই) এর বাংলাদেশ পরামর্শক আর্কিটেক্ট ফারজানা আক্তার তমা এবং সড়ক নিরাপত্তা সাংবাদিকতা বিষয়ে আলোচনা করেন এনটিভির সিনিয়র সাংবাদিক জহিরুল আলম।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ঢাকায় ব্যাংকক হসপিটাল হেলথ উইক ২৪-২৬ মে

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
ঢাকায় ব্যাংকক হসপিটাল হেলথ উইক ২৪-২৬ মে
ছবি : সংগৃহীত

গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ব্যাংকক হসপিটাল হেলথ উইক’। হোটেল হলিডে ইন সিটি সেন্টারে আগামী ২৪-২৬ মে  এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজম। 

হেলথ উইকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিবেন। তিন দিনব্যাপী এই হেলথ উইকের প্রথম দিন ২৪ মে কার্ডিওলজি বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। রোগী দেখবেন ব্যাংকক হসপিটালের ডা. ক্রিয়েংকাই হেংরুসামি, ডা. পারমাইউস এবং ডা. উইচাই।

দ্বিতীয় দিন ২৫ মে অরথোপেডিক্স বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। রোগী দেখবেন ব্যাংকক হসপিটালের ডা. পংটরন সিরিথিয়ানচাই, ডা. পানুয়াত সিলাওয়াটশানানাই এবং ডা. চাইডেজ সম্বুন। আর তৃতীয় দিন ২৬ মে নিউরোলজি বিভাগের ডা. ইয়ুদ্রাক প্রাসার্ট, ডা. চাঞ্জিরা সাতুকিৎচাই এবং ডা. চাইসাক রোগী দেখবেন।

এবারই প্রথমবারের মতো গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজম ও থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান থাইমেডিকসের যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মানের এই হেলথ উইক অনুষ্ঠিত হবে। 

চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে চাইলে আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে ০১৪০০৪০৯৩০৩, ০১৪০০৪০৯৩০৯ নাম্বারে। অথবা সরাসরি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা যাবে। অফিসের ঠিকানা- বাড়ি নং-০২, রোড-০৭, রুপায়ন প্রাইম টাওয়ার (লেভেল-০১), গ্রিন রোড, ধানমন্ডি।

জিয়াউদ্দিন রাজু/সালমান/

কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিল সাউথইস্ট ব্যাংক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিল সাউথইস্ট ব্যাংক

বিশেষ সিএসআর ফান্ডের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাষাবাদ এবং এ সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি কিনতে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। 

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে আসা কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেন। 

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পপি’ এর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের এ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক। 

এ সময় পপির প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদ আলম সরকারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ইবিএলের সঙ্গে কাজ করবে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ইবিএলের সঙ্গে কাজ করবে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট

বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) প্রবর্তিত ‘ইবিএল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন অ্যাওয়ার্ড’ বিষয়ে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। 

বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর গুলশানের ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সংক্রান্ত ব্যুরোর সফররত অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড ল্যু এবং ইবিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন। 

ইবিএল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন অ্যাওয়ার্ড প্রতি বছর দেওয়া হবে। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প ও উদ্যোগ বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন কর্পোরেট, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোর উত্তম চর্চা এবং এ ক্ষেত্রে অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদানকারী জলবায়ু অ্যাক্টিভিস্টদের স্বীকৃতি জানানো হবে এই পুরস্কারের মাধ্যমে। 

পুরস্কার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন খাত ও বিষয় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। যেমন- নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জল সংরক্ষণ, টেকসই কৃষি, আরবান রেজিলেন্স, জীব-বৈচিত্র্য সুরক্ষা ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি। 

একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ, গনমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক এজেন্সি প্রথিতযশা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিচারক প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচিত করবে। 

মধ্য এশিয়া বিষয় সংক্রান্ত ব্যুরোর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড ল্যু বলেন, ‘বাংলাদেশী ব্যবসা, সুশীল সমাজ ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিচালিত কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার অভিন্ন লক্ষ্য অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্টার্ন ব্যাংক। ইবিএলের নতুন এই গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন পুরস্কারটিকে সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা উম্মুখ হয়ে আছি।’ 

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পীটার হাস বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংকের সঙ্গে নতুন এই পার্টনারশীপ নিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অসাধারণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য ইবিএল কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগকে সহায়তা করার মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অধিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার আশা রাখি।’ 

ইবিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চরম আবহাওয়া পরিস্থিত আমাদেরকে জলবায়ু অভিযোজন, উপশম এবং অর্থায়নের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে। ইবিএল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের সঙ্গে পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং একই সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড ল্যুর অংশগ্রহণ আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। এটি একটি অনন্য উদ্যোগ, যা সামাজিকভাবে একটি দায়িত্বশীল ও পরিবেশবান্ধব ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আমাদের ভিশনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমার বিশ্বাস, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ইস্যু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অধিক হারে যুক্ত হতে অনেককেই উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে এ পুরষ্কারটি।’ 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লা-ফেইভ, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি, ইকোনমিক অফিসার এমি কাস, ইবিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী ও এম খোরশেদ আলম এবং হেড অব কম্যুনিকেশন্স জিয়াউল করীম। 

‘ইবিএল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ এর মনোনয়ন প্রক্রিয়া পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ইবিএল ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

কনকা ও হাইকোর ‘ঘষা দিলেই গোল্ড’ অফার শুরু

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
কনকা ও হাইকোর ‘ঘষা দিলেই গোল্ড’ অফার শুরু

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড কনকা ও হাইকো পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মাসব্যাপী খুচরা ও পাইকারি ক্রেতাদের জন্য প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। 

আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ এই ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে।

এতে ক্রেতারা কনকা ও হাইকো ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এলইডি টিভি, ওভেন ও ওয়াশিং মেশিন কিনলেই পাবেন একটি স্ক্র্যাচ কার্ড যা ঘষে তারা জিতে নিতে পারেন স্বর্ণালংকার অথবা কনকার এলইডি টিভিসহ অসংখ্য আকর্ষণীয় পুরস্কার।

এছাড়া পার্টনার এবং ডিলারদের জন্য থাকছে মোট উত্তোলনের উপর বিশেষ ছাড় এবং বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ।

মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কনকা ও হাইকোর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সম্মেলনের শুরুতে গ্রুপের ডিএমডি মো. নুরুল আফছার আগত সাংবাদিক ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। 

তিনি বলেন, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বসেরা কনকা ব্র্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্স সামগ্রী দেশের গ্রাহকদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন কনকা ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। যার সকল কৃতিত্ব আমাদের পার্টনার, শুভানুধ্যায়ী, ক্রেতা, ভোক্তা এবং তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও আস্থা। 

কনকা ও হাইকো ব্র্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্স পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, গুণগতমান, গ্রহণযোগ্যতা, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে বর্তমানে এদেশের গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ। 

তিনি আরও জানান, শিগগিরই বাজারে সংযোজিত হতে যাচ্ছে গ্রি ব্র্যান্ড রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের নতুন সংযোজন। এ ছাড়াও কনকা নতুন ফিচার সমৃদ্ধ আইসক্রিম ফ্রিজার, শোকেস ফ্রিজার, নো-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বাজারে সংযোজন হবে শিগগিরই।

সম্মেলনে বিশ্বের সর্বাধিক দেশে সমাদৃত কনকার পণ্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। 

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড কনকা রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার, সিলিংফ্যান এখন সম্পূর্ণ বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। 

কনকা ইলেকট্রনিক্স পণ্যসমূহের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিটি পণ্য দেশীয় পরিবেশ, ব্যবহারকারীদের জন্য স্বাছন্দ্যময়তা, সাশ্রয়ী মূল্য, সর্বোত্তম ব্যবহার এবং গ্রাহকদের চাহিদা ও মননশীলতার সাথে মানানসই করে ডিজাইন করা এবং বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্বন্বয়ে তৈরি। কনকা রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্বন্বয় একে এনে দিয়েছে খ্যাতি ও বিশেষ সুনাম এবং অন্যান্য ফ্রিজ থেকে আলাদা করেছে।

যেমন- ব্লু-জোন অ্যান্ড ভিটামিন ফ্রেশ টেকনোলজি, ফেস-আপ ফোমিং টেকনোলজি, অ্যাক্টিভ কার্বন ডিয়োডোরাইজার, হিউমিডিটি কন্ট্রোলার, অ্যান্টিফাঙ্গাল ডোর গ্যাস্কেট, ডিজিটাল ডিসপ্লে ইনভার্টার টেকনোলজি, কনকা ডিপ ফ্রিজার অটো-টেকনোলজি ফ্রিজার ও রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা যায়। 

কনকার অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ডিওডোরাইজার মূলত যে কাজটি করে তা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াকে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত ডিঅ্যাকটিভ করে খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখে। ফলে এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে যায় না। খাবার ভালো থাকে দীর্ঘদিন। 

কনকা ফ্রিজে ওয়াইডেস্ট ও ডিপেস্ট ডিজাইন করেছে, যার সুবাদে ফ্রিজের ভেতরের জায়গা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই। মাছ, মাংস, সবজি, ফল যেটাই কিনুন, সব বাজার একসাথে স্টোর করা সম্ভব। কনকা ফ্রিজে ১০০ শতাংশ ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। যেহেতু ফ্রিজে মূলত খাবারই রাখা হয় তাই খাবারের বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য সুবিধা বা হেলথ বেনিফিট অক্ষুণ্ণ রাখতে এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়।

বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের কথা মাথায় রেখে কনকা ফ্রিজে ইনভার্টার টেকনোলজি যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করে ফ্রিজের দীর্ঘস্থায়ীত্ব বাড়ে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় করে। 

কনকা ফ্রিজারের ট্রিপল মোড সমৃদ্ধ ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল একই সঙ্গে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার এবং সুপারকুল সুবিধা নিশ্চিত করে। আরও রয়েছে নান্দনিক ডিজাইন সমৃদ্ধ পুশ-পুল গ্লাস। 

এছাড়া কনকা ব্র্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, মিক্সার গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক ক্যাটল, গ্যাস স্টোভ, ইনফ্রারেড কুকার, প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, ইলেক্ট্রিক আয়রনসহ বেশ কিছু হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্সের পণ্যের কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করে উৎপাদন করা হয়। 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ-উন-নেওয়াজ, নুরুল আজিম সানি, বিক্রয় ও বিপণন জিএম মাহমুদুন নবী চেীধুরী, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার জুলহাক হোসাইন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডি হলেন মোস্তফা কামাল

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডি হলেন মোস্তফা কামাল
কে এ আর এম মোস্তফা কামাল

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড চীফ অব এইচ আর অ্যান্ড লজিটিক্স হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কে এ আর এম মোস্তফা কামাল।

সোমবার (১৩ মে) তিনি এ দায়িত্ব দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মোস্তফা কামাল ২০১৫ সালে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান হিসাবে আইএফআইসি ব্যাংকে যোগদান করেন। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩৪ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মোস্তফা কামালের। এই সুদীর্ঘ কর্মসময়ে তিনি সেনাবাহিনীর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া, নিরাপত্তা এবং লজিস্টিকসসহ আরও বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ট্রাস্ট ব্যাংক এবং আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত ছিলেন। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।

মোস্তফা কামাল আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃক নিযুক্ত আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের একজন পরিচালক।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/