ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে অটিজম শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
চট্টগ্রামে অটিজম শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

চট্টগ্রামে অটিজম শিশুর জন্মহার প্রতি বছরই বাড়ছে। এ বৃদ্ধির হারকে আশঙ্কাজনক মনে করছেন গবেষকরা। গত বছর প্রতি ৪৪ জনে একজন, এর আগের বছর ৫৪ জনে একজন, এ বছর প্রতি ৩৩ জনে একজন করে অটিজম শিশুর জন্ম হচ্ছে চট্টগ্রামে। 

বর্তমানে সরকারি হিসেবে চট্টগ্রামে ২০ হাজার ও দেশে ৮৬ হাজার অটিজম শিশু রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরও বেশি। 

চট্টগ্রামের নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও অটিজম গবেষক অধ্যাপক ডা. বাসনা রাণী মুহুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অটিজম শিশু। এ শিশুদের বাঁচার অধিকার আছে। এ সমাজে বসবাসে অধিকার আছে। তাদের মানবিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। মানবতা ও ভালোবাসা দিয়েই অটিজম শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। তবে মানুষ এখন একটু সচেতন হয়েছেন। আরও সচেতন হতে হবে।’ 

তিনি বলেন, স্বল্প ওজনে বাচ্চা, সিজারিয়ান বাচ্চার জন্ম হওয়া, বংশগত সমস্যা, পরিবেশগত সমস্যা যা গর্ভকালীন নিউরনের ওপর প্রভাব, মাতৃগর্ভে থাকার সময়ে ভ্রূণের সমস্যায়ও অটিজম শিশুর জন্ম হয়। দেশে বর্তমানে ৮৬ হাজার অটিজম শিশু আছে। চট্টগ্রামের আছে ২০ হাজার অটিজম শিশু।

তিনি আরও বলেন, ‘অটিজম সারা জীবনের সমস্যা। এটি নিরাময়যোগ্য কোনো রোগ নয়। এটি একটি স্নায়ুবিক বিকাশজনিত সমস্যা। আপনি কখন বুঝবেন শিশুটি অটিজম? যখন দেখবেন সে কথা বলছে অন্যদিকে তাকিয়ে। আপনার দৃষ্টি আকর্ষিত হচ্ছে না। কথা কম বলছে বা দুই বছর বলার পর কথা বন্ধ করে দিচ্ছে। তখন বুঝতে হবে সে অটিজম। তখন তাকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, ভালোবাসা, মানবতা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। কখনো অবহেলা করা যাবে না।’ 

প্রতি বছর ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবস পালন হয়ে আসছে। এবার ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ এ প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে বিশ্ব অটিজম দিবস। 

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। 

এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে নন্দনকানের চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বিশেষ শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অটিজম উত্তরণে আলোকিত মা সম্মাননা প্রদান ও দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে চট্টগ্রামে ২০১০ সালে মাত্র চারজন অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু তৎকালীন অটিস্টিক চিলড্রেন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার যা বর্তমানে নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন নামে সুপরিচিত। অটিজম এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্নদের উত্তরণে দীর্ঘ প্রায় একযুগের অধিককাল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে নিষ্পাপ অটিজম স্কুল এবং ২০২১ সালের থেকে ড. আর পি সেন গুপ্ত নিষ্পাপ সমন্বিত বিদ্যালয়। দুই শিফটে পরিচালিত নিষ্পাপ অটিজম স্কুলে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০৬ এবং নিষ্পাপ সমন্বিত স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২৪। শুরু থেকে এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্রছাত্রী একাডেমিক লেভেলে উত্তরণ হয়ে মূলধারার বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে ১৪ শিক্ষার্থী। কিন্তু আবার অনেকেই মূলধারার স্কুলে পড়ালেখার যোগ্যতা অর্জনের পরও স্কুল থেকে বিতারিত হয়েছে তাদের কিছুটা আচরণ এবং মূলধারার শিক্ষকদের অসহযোগিতার জন্য। 

এ থেকে দেখা যায়, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট অটিজম উত্তরণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। 

ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী প্রতি ৩৬ জন আমেরিকান শিশুর মধ্যে ১ জনের অটিজম আছে এবং আমাদের দেশে প্রতি ১,০০০ জনে ১ থেকে ৩ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। 

গবেষণা বলছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অটিজম হয়ে থাকে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। সম্মিলিতভাবে যত শিশুর ডায়াবেটিস, এইডস, ক্যান্সার, সেরিব্রাল পালসি, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, মাসকুলার ডিসট্রফি এবং ডাউন সিন্ড্রোম হয়ে থাকে তার চেয়ে অটিজমের সংখ্যাই বেশি। প্রতি বছর আমেরিকায় ২ মিলিয়ন লোকের মাঝে এএসডি (অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার) দেখা যায় এবং সারা বিশ্বে ১০ মিলিয়নের মতো লোকের অটিজম হয়ে থাকে। 

এ ছাড়া আমেরিকায় সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ অটিজমের বিস্তার বার্ষিক ১০ থেকে ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধির নির্ভরযোগ্য কোনো কারণ ও ব্যাখ্যা জানা যায়নি। তবে উন্নত যথাযথ রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার প্রভাব এবং পরিবেশগত প্রভাব এর জন্য দায়ী বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 

নিষ্পাপ অটিজম স্কুলের অধ্যক্ষ সোমা চত্রবর্ত্তী বলেন, চট্টগ্রামে থেরাপিস্ট এবং বিশেষায়িত স্কুলের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীরা এই বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতিও হচ্ছে না। প্রতিটি অটিজম শিশুর আচরণ স্বতন্ত্র হওয়ার কারণে তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ভিন্ন। তাই ১:১ বা ক্ষেত্র বিশেষে ১:২ ব্যবস্থায় বিশেষ শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয়। বিশেষায়িত শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা অভিভাবকরা পরিবারের অন্যান্য স্বাভাবিক সন্তানের লেখাপড়ার পাশাপাশি অটিজম সম্পন্ন শিশুর জন্য অতিরিক্ত ব্যয় ভার বহনে অক্ষমতার কারণে এবং পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ায় যাথাযথভাবে স্কুলগুলো পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন। আমরা বিশেষ স্কুলগুলোকে দ্রুত এমপিও ভুক্তি করার জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানাই।

নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি রোশাঙ্গীর বাচ্চু বলেন, ২০১৩ সালের এনডিডি সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে এনডিডি প্রটেকশন ট্রাস্টের সহায়তায় প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন পলিসি নির্ধারণ, কার্যরত প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশেষ শিশুদের চলমান স্বাস্থ্যভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, বয়স্কভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

আবদুস সাত্তার/পপি/অমিয়/

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঢাবির হলগুলোতে ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
ঢাবির হলগুলোতে ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর
ঢাবির হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি: খবরের কাগজ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে প্রায় ৩০০ কক্ষে ভাঙচুর করেছে। ইতোমধ্যে হলগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণও করা হয়েছে, শিগগিরই হলগুলো সংস্কার করে খোলার পরিকল্পনা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এসময় তিনি ভাঙচুর হওয়া বিভিন্ন হলের কক্ষ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ডিভিশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিকট হতে আর্থিক বরাদ্ধ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হলগুলোর কক্ষের পাশাপাশি অনেক স্থপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোও সংস্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে। সংস্কার শেষে দেশব্যাপী স্থিতিশীলতা বিরাজ করলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি প্রস্তুত হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।’

কবে নাগাদ খুলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে একটি অর্থ প্রাপ্তির বিষয় রয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে ইউজিসিকে এই আর্থিক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হবে। সেখানে আবার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয় রয়েছে। পরবর্তীতে টেন্ডার ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) অনুসরণ করে কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে। যেই সময়টি প্রয়োজন এতোটুকু সময় তো প্রয়োজন। এখন টেন্ডার দেওয়ার পর সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব কবে কাজ শেষ হবে। এরপর আমরা খোলার সিদ্ধান্ত নেবো।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর: গত ১৭ জুলাই রাত ১২টা অভিযোগ ওঠে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ৯ ছাত্রলীগ নেত্রী হলের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে, ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের টেনে-হিঁচড়ে হল থেকে বের করে দেয়। পরে রোকেয়া হলে ‘সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ’- এই মর্মে একটি বিবৃতি প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নেন। 

একে-একে রাতের বিভিন্ন সময়ে শামসুন নাহার, কবি সুফিয়া কামাল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর ভোরে ছাত্রলীগ উৎখাত করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান, এরপর সকাল সাতটা থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হল, সকাল সাড়ে আটটা থেকে কবি জসিম উদ্দীন হল, বিজয় একাত্তর, মাস্টার দা’ সূর্য সেন, মুহসীন, স্যার এ এফ রহমান এবং সবশেষ সলিমুল্লাহ মুসলিম হল নিয়ন্ত্রণে নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় হলে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে দেন কেউবা আগেই সটকে পড়েন। একেবারেই ছাত্রলীগ শূন্য হয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো।

পরে আন্দোলনকারী বেছে বেছে পদধারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর এবং জিনিসপত্র বাহিরে ফেলে দেন। এ এফ রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ৩১৮ নম্বর কক্ষ, কবি জসিম উদ্দীন হলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষ, বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের পদ্মা-৭০১০ কক্ষ ও সূর্যসেন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের ৩৪৪ নম্বর ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে একটি এবং সূর্যসেন হলের সামনে আরেকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় আন্দোলনকারী।

পরবর্তীতে ওইদিন সকালেই জরুরি সিন্ডিকেটের সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত আসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধে হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এর পরপরই পুরোপুরিভাবে হল ছাড়তে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যদিও এর আগে গত ১৫ ও ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, শহীদুল্লাহ্ হল এনং ফজলুল হক হল দখলে নেন আন্দোলনকারীরা।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের জন্য চট্টগ্রামে দোয়া

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের জন্য চট্টগ্রামে দোয়া

কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম নগরীর পাড়া-মহল্লার মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলের বর্বরোচিত আক্রমণ থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। এতে অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করে। 

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন খবরের কাগজকে বলেন, নগরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মসজিদে জুমার নামাজের পর কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া চেয়ে মোনাজাত করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। আজ (শুক্রবার) দেড় হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি চলবে। মূলত কারফিউতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজ করতে না পারায় তারা যেন কষ্টে না পড়েন, সে লক্ষ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, গত ১৬ ও ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম নগরী। এই দুই দিন দফায় দফায় নগরের মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া নগরের কোতোয়ালি, নিউ মার্কেট, নতুন ব্রিজ, বাকলিয়া এলাকাও রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এই দুই দিনে তাৎক্ষণিক ৫ জন ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ মারা যান। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ; যাদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। গত ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ শুরু হলে নগরে থেমে যায় সংঘর্ষের ঘটনা।

ছয় জেলায় দুই কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৮৪

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
ছয় জেলায় দুই কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৮৪
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতার মামলায় সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৮ জন, দিনাজপুরে ৯, নারায়ণগঞ্জ ও মেহেরপুরে দুই কাউন্সিলর, খুলনায় ৩ ও নড়াইলে ২ জন। খবরের কাগজের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

চট্টগ্রামে ৬৮ জন গ্রেপ্তার

নাশকতার বিভিন্ন মামলায় চট্টগ্রামে আরও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ৮০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এদিকে গতকাল নগরের ডবলমুরিং থানায় ৩১ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৭ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত সিএমপিতে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮টিতে। অন্যদিকে জেলা পুলিশের আওতাধীন ১৬টি থানায় মামলা হয়েছে ১১টি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর ইস্রাফিল গ্রেপ্তার

নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা ইস্রাফিল প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

দিনাজপুরে কাউন্সিলরসহ ৯ জন গ্রেপ্তার 

দিনাজপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মো. আব্দুল্লাহসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য আছে। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে শহরে নাশকতা চালিয়েছেন। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। তাদের ধরতে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

মেহেরপুরে বিএনপি নেতা বাবলু গ্রেপ্তার 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে গাংনী থানা-পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। বাবলু গাংনী শহরের চৌগাছার বাসিন্দা। তিনি সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, কয়েক মাস আগে নাশকতার একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নড়াইলে যুবদল নেতাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

নড়াইলে নাশকতার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তি ব্যক্তিরা হলেন নড়াগাতি থানা যুবদলের আহ্বায়ক মিজান মীর (৪৯) ও ছাত্রদল কর্মী সাজেদুল ইসলাম (২৪)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, নাশকতার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনায় ৩ জন গ্রেপ্তার

নাশকতার মামলায় খুলনা নগরীর যুবদলের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলী খানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে নাশকতার তিনটি মামলায় গত ১০ দিনে খুলনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯৩ জন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা ইন্ধন দিয়েছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মাগুরায় আটক ৫০ জন 

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আন্দোলন, সংগ্রাম, নিহতের ঘটনা ঘটলেও মাগুরার পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। মাগুরাতে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আন্দোলনের সময় ১৭ জুলাই জেলার শ্রীপুর উপজেলা সদরে ও ১৮ জুলাই জেলা শহরের ভায়নার মোড়ে কিছু সময়ের জন্য আন্দোলনে যুক্ত হয় শিক্ষার্থীরা। শ্রীপুর উপজেলার আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলেও জেলা শহরের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহসহ পুলিশের একাধিক সদস্যের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে। তবে নতুন করে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে কারণে পুলিশ প্রায় ৫০ জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ। 

বিজিবি পাহারায় তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
বিজিবি পাহারায় তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
ছবি: সংগৃহীত

আট দিন বন্ধ থাকার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া পাহারায় চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনের মাধ্যমে সারা দেশে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ভোরে একাধিক তেলবাহী ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। 

জানা গেছে, প্রথম ট্রেনটি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ২৪টি তেলবাহী বগি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দ্বিতীয় ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগি নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়। পরবর্তী সময় সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ট্রেনে এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান জানান, সারা দেশে জ্বালানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু তেলবাহী ট্রেন চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে। বিজিবি সব ধরনের সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি তেলবোঝাই ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নরসিংদীতে জেলে তাণ্ডব পলাতক আরেক জঙ্গি গ্রেপ্তার, ৪৮১ বন্দির আত্মসমর্পণ

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
পলাতক আরেক জঙ্গি গ্রেপ্তার, ৪৮১ বন্দির আত্মসমর্পণ
ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে কারাগার পালানো দুই নারীসহ চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ ছাড়া ৪৮১ জন বন্দি আত্মসমর্পণ করেছেন। 

পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে দুষ্কৃতকারীরা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯ জুলাই ৮২৬ বন্দি পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নরসিংদীতে যেসব স্থানে নাশকতা চালানো হয়েছে, বেশির ভাগই সরকারি স্থাপনা। এসব হামলা কোনো ব্যক্তির ওপর নয়। শুধু রাষ্ট্রের ক্ষতি করার জন্যই এসব পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় জেলা পুলিশের চারজন গুরুতর আহতসহ মোট ৩৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নরসিংদীর পৃথক স্থানে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১টি মামলায় ১৮৪ জন নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, নরসিংদী কারাগার থেকে লুট করা ৮৫ অস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, বাংলাদেশি রাইফেল ১৫টি, শটগান ১০টিসহ গত পাঁচ দিনে ৪৫টি অস্ত্র উদ্ধার এবং ৭ হাজার গুলির মধ্যে ১ হাজার ৯১টি উদ্ধার করা হয়েছে।