![ধর্ষণের পর হত্যা করে শিশুকে ফেলা হয় ডাস্টবিনে, যুবক গ্রেপ্তার](uploads/2024/04/02/1712073658.CTG_rape_arrest.jpg)
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন ফলমন্ডি এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর লাশ। এ ঘটনায় মীর হোসেন (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মীর হোসেন ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। মীর হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর থানার রামচন্দ্রপুরের গরীব হোসেনের ছেলে। পেশায় ভাঙ্গাড়ি মালামাল বিক্রেতা। আর নিহত শিশু সুখীর মায়ের নাম বিলকিস বেগম। তারা মা-মেয়ে বোতল কুড়িয়ে ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের বাসা শহরের বাকলিয়ার বৌবাজার এলাকায়। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিস্তারিত তুলে ধরেন নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, গত ৩১ মার্চ রাতে মা বিলকিস বেগম সুখীকে জেনারেল হাসপাতালের সামনে বসিয়ে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেটে ভিক্ষা করতে যান। রাত ১টার দিকে সুখী মসজিদের সিঁড়িতে ছিল। কিন্তু রাত দেড়টা থেকে মেয়েকে আর খুঁজে পায়নি বিলকিস। পরদিন ১ এপ্রিল কোতোয়ালি থানার ফলমন্ডি এলাকায় শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বিলকিস সেখান যান এবং সুখীর লাশ শনাক্ত করেন। শিশুর লাশ শনাক্তের পর কোতোয়ালি থানা পুলিশের টিম সিসি ক্যামরার ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং খুনিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মীর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মীর হোসেনের জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ আরও জানায়, আন্দরকিল্লা থেকে চিপস-চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে সিআরবি এলাকায় নিয়ে যায় সে। সেখানে পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। তারপর চটের বস্তা মুড়িয়ে ভ্যানগাড়িতে করে ফলমন্ডি এলাকার ডাস্টবিনে ফেলে আসে। এর আগেও শিশু ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মীর হোসেন। কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় ২০১২ সালে ধর্ষণের পরে খুনের ঘটনায় সে জেলও খেটেছে বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারণা, সে যেখানেই সুযোগ পায় শিশুদের টার্গেট করে। এর বাইরেও আর কোনো অপরাধে মীর হোসেন জড়িয়েছিলেন কি না তদন্ত করছে পুলিশ।