![নিখোঁজের ২৫ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার](uploads/2024/04/23/1713887414.Mukhles_Uddin.jpg)
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর মিঠামইন উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে শহরের নরসুন্দা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে তুর্জয় (২৫) জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ৫ নম্বর কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি জেলা জজ আদালতের একজন পেশকারের সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দেহভাজন আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নরসুন্দা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে লাশ উদ্ধার হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই আশরাফ আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘তিন মাস ধরে মোখলেছ কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউবাজার এলাকার চুন্নু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি গত ২৯ মার্চ ভাড়া বাসা থেকে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে নিখোঁজ হন। তার সর্বশেষ অবস্থান রাস্তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত হয়। ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তার সঙ্গে কয়েকজনকে দেখা যায়। তার ধারণা ওরাই তাকে অপহরণ করে মেরে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে তুর্জয়ের বন্ধু মিজান শেখের পরিবারের একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলছে। এর জের ধরে তুর্জয়কে মেরে লাশ গুম করেছে। আজ আমার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তুর্জয়ের গলাকাটা ছিল। ওকে মেরে পেটে পাথর বেঁধে লাশ নদীতে ফেলা হয়েছে। এ বিষয় সদর থানায় মামলা করেন তুর্জয়ের আরেক বড় ভাই মো. মিজানুর রহমান।’
এর আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ মিঠামইনের কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন ফুলপুর গ্রামের শেফুল শেখ (৬৫) ও তার তিন ছেলে মিজান শেখ (২৮), মারজান শেখ (২৬) এবং রায়হান শেখকে (২১) হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মোখলেছকে হত্যা করে লাশ নরসুন্দা নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে জানায়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ খবরের কাগজকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবার অপহরণ মামলা করেন। পরে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়। এরপর আটক হওয়া ব্যক্তিরা হত্যার কথা স্বীকার করেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মিজানের দেওয়া বক্তব্য অনুসারে নরসুন্দা নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।’