মেয়র ও নারী কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভায় সংঘর্ষ, আহত ১০ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

মেয়র ও নারী কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভায় সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
মেয়র ও নারী কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভায় সংঘর্ষ, আহত ১০
ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের বিশ্বনাথে একই সময়ে ১০০ গজের মধ্যে পৌরসভার মেয়র ও নারী কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভায় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনায় পথচারী নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দোকানপাট।

এ ঘটনায় বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় মেয়রের সমর্থক ইংরেজ আলী, সমুজ আলী, আনোয়ার আলীসহ বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও তার নির্দেশে গাড়ি দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম মামলা করেন। এর প্রতিবাদে পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় মেয়রের বাসার সামনে বেলা ৩টার দিকে প্রতিবাদ সভা আহ্বান করেন মেয়র পক্ষের লোকজন। অন্যদিকে একই সময়ে প্রায় ১০০ গজের মধ্যে পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসনা বেগমের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়। নারী কাউন্সিলরের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের গ্রেপ্তার ও অপসারণের দাবিতে এ সভা ডাকে পৌর আওয়ামী লীগ। কিন্তু সভাগুলো শুরুর আগেই উভয় পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।

এ সময় মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন পৌর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দোকানপাট ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল জালাল বলেন, ‘পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসনা বেগমের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের গ্রেপ্তার ও অপসারণের দাবিতে অনুষ্ঠিত পৌর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় মেয়র মুহিবুর রহমানের বাসা থেকে তার (মুহিব) পক্ষের সন্ত্রাসীরা হামলা চালান, সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করেছি।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিক কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।’

বাঘাইছড়িতে জেএসএস-ইউপিডিএফের বন্দুকযুদ্ধ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
বাঘাইছড়িতে জেএসএস-ইউপিডিএফের বন্দুকযুদ্ধ
বন্দুকযুদ্ধে স্থানীয়দের ঘরের আসবাবপত্রে গুলি লেগেছে। ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২৯ মে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। গতকাল সোমবার (১৩ মে) দেওয়া হয়েছে প্রতীক বরাদ্দ। জাতীয় রাজনৈতিক দলের কোনো প্রার্থী না থাকলেও লড়ছেন পাহাড়ের বিবদমান আঞ্চলিক দুই দলের প্রার্থীরা।

নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠ দখলে মরিয়া দল দুটি। তাই নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই অবতীর্ণ হয়েছে বন্দুকযুদ্ধে। এদের একটি সন্তুলারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। অন্যটি সন্তুলারমার ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এককালে নেতৃত্ব দেওয়া প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। 

তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি সংগঠন দুটিও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। 

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদ জানিয়েছেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নে দুলোবনিয়া এলাকায় বিকেল ৪টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ থামে সন্ধ্যার দিকে। কয়েক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবারও দুই পক্ষ শুরু করে বন্দুকযুদ্ধ। এ সময় কয়েক শ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র হামলায় আটজন নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ৩৩ জন। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সন্তুলারমার জনসংহতি সমিতি-জেএসএস সমর্থিত বড়ঋষি চাকমাকে দায়ী করেন তার প্রতিদ্বন্ধি সংস্কারপন্থি জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত স্বতন্ত্র ও বিজয়ী প্রার্থী সুদর্শন চাকমা। এ ঘটনায় মামলা হলেও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও খুনিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। 

এবারও নির্বাচনকে ঘিরে আঞ্চলিক দলগুলোর অপতৎপরতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বিষয়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফের স্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

এমপি জিল্লুরের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
এমপি জিল্লুরের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ
মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওনক আহমেদ। ছবি : খবরের কাগজ

মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি মো. জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছেন রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওনক আহমেদ অপু। 

তিনি দাবি করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন স্থানীয় এমপি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কথা বলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওনক আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে রওনক আহমেদ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধির ২২ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য নির্বাচন-পূর্ব প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের সংসদীয় আসনের (মৌলভীবাজার-৩) এমপি মো. জিল্লুর রহমান আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহজাহান খানের পক্ষে নির্বাচনি প্রচার করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে এমপি রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বক্তব্যে শাহজাহান খানের পক্ষে এবং আমার বিপক্ষে কথা বলেন। এইরূপ পক্ষপাতিত্বমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচন আচরনবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছেন। তিনি আমাদের সবার কাছে একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। তিনি যখন কোনো ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে প্রচার চালান, তখন তা জনসাধারণের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এমপির এ প্রচারে ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমার কর্মী-সমর্থকরা এবং রাজনগর উপজেলার সাধারণ মানুষ ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুস সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, অভিযোগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম
উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র
চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি : খবরের কাগজ

১ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। গত ৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

গতকাল সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ৩টায় গ্যাসসংকট নিয়ে ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার জানান,  ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১০ মার্চ চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। তবে অপর ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট তখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। মার্চ মাস চালু ছিল, কিন্তু ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। 

তিনি আরও জানান, বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ মেরামত কাজের জন্য ৩৮ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাসসংকটের কারণে এখন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট। একটি ১০০ মেগাটওয়াট এবং অপরটি ৫০ মেগাটওয়াট। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে।

প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি সোনা লুট

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি সোনা লুট
ছবি : খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মধ্যরাতে বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেছে এক দল ডাকাত। 

গতকাল সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া আলীম আল রাজিম আকন্দের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কয়েড়া ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী আলীম বলেন, ‘বাসার পেছনে লোহার গ্রিল কেটে মধ্যরাতে বাসার ভেতরে ঢোকে ডাকাতরা। পরে শব্দ পেয়ে জেগে উঠে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আমার ও সন্তানদের মাথায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। স্ত্রীর কাছ থেকে আলমিরা ও লকারের চাবি চায় ডাকাতরা। কিন্তু চাবি দিতে না চাইলে ডাকাতরা আমাদের সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রাখে ও মারধর করে আহত করে। এরপর নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি সোনার অলংকার লুটপাট করে তারা পালিয়ে যায়।’

আলীম আরও জানান, ডাকাতরা রাত ৪টার দিকে পালিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে চিৎকার করলে লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। এর আগে সকালে বিষয়টি ভূঞাপুর থানা-পুলিশকে জানানো হয়।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটির ব্যাপারে ভুক্তভোগী জানালে দ্রুত টহলরত পুলিশকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী কোনো অভিযোগ না করলেও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা: রাজশাহীর ডিসি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা: রাজশাহীর ডিসি
বক্তব্য দিচ্ছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম  আহমেদ। ছবি: খবরের কাগজ

ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম  আহমেদ।

তিনি বলেন, গুজবে কান দেবেন না। অতিউৎসাহী হয়ে আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা যাবে না। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে এক হাজার ৫৬৩ জন ভোটগ্ৰহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, এর আগে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের ভোটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট প্রদানের পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সকলকে এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাই আইনের লঙ্ঘন ও ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছে। প্রতিটি প্রার্থী আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রার্থীদের জন্য যেমন আইন রয়েছে, তেমনি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যও আইন রয়েছে। সেই আইন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’ 

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও দূর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ কর্মশালায় দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক, পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম।

এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী, দূর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামসহ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা।

এনায়েত করিম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/