বঙ্গোপসাগরে কালবৈশাখীতে ১৬টি লবণবাহী ট্রলার ডুবে প্রায় ৩০ হাজার মণ লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ট্রলারগুলোতে থাকা ৭২ জন মাঝিমাল্লা ও শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ।
বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরে আনোয়ারা, বাঁশখালী, মহেশখালী, সাঙ্গু মোহনা, উঠান মাঝিরঘাট, বারআউলিয়া ও দোভাষী বাজারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোন কমান্ডার (বিএন) মো. সুরাইব বিকাশ জানান, বঙ্গোসাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশ কিছু ট্রলার বা বোটডুবির ঘটনা ঘটেছে। সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬ জন মাঝিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পতেঙ্গায় কোস্টগার্ডের দপ্তরে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মাঝিদের মধ্যে রয়েছেন এমভি আল্লাহর দান ট্রালের মাঝি জিয়া উদ্দিন, এমভি তৌফিক ইলাহির মাঝি মানিক মানিক, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মানিক, মনসুর উদ্দিন, বদি আলম, আবু হানিফ, জাবেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আনিস, মোহাম্মদ আহিম, সোহেল মিয়াসহ মোট ২৬ জন। তারা বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
জানা গেছে, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ১৬টি ট্রলার লবণবোঝাই করে চট্টগ্রাম শহরের মাঝিরঘাট ও নৌপথে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছিল। পথে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছলে কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারগুলো। এতে একের পর এক ট্রলারগুলো ডুবে যায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ৪টি ট্রলার থেকে ২৬ জন মাঝিমাল্লা ও শ্রমিককে উদ্ধার করে। বেশ কিছু মাঝিমাল্লা ও শ্রমিক সাঁতার কেটে অন্য ট্রলারে উঠেছেন। ট্রলারডুবির ঘটনায় প্রায় ৩০ হাজার মণ লবণ পানিতে তলিয়ে যায়। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ।
বারআউলিয়া ঘাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, ‘লবণবাহী ট্রলারডুবির দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রলারসহ নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ চলছে।’