জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত
দ্বীন ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন খবরের কাগজকে বলেন, ‘দ্বীন ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। জামিনের কাগজপত্র আমাদের কাছে এসে পৌঁছার পর গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরের বাগিচাগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে তিনি নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তার মৃত্যুর জন্য জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি এ মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে ১৭ মার্চ কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন এ মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিন ও সহপাঠী আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কুমিল্লার আদালতে কয়েক দফা জামিন আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। অবশেষে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

অক্টোবরেই চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন: হানিফ

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
অক্টোবরেই চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন: হানিফ
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাসে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (১৯ মে) সকালে চট্টগ্রাম সেনা কল্যাণ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই সভা আয়োজন করে।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের জেলা স্তরের যে সাংগঠনিক কমিটিগুলো রয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি অন্যতম শক্তিশালী। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বরাবরই তার সাংগঠনিক সক্ষমতার দক্ষতা দেখিয়েছে। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দলের শক্তিশালী ভিত্তিকে সুদৃঢ় রেখেছে। এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিকে সুদৃঢ় ও বিস্তৃত করার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা হলেও শুধুমাত্র সাংগঠনিক কাঠামোর শক্তিশালী ভিত্তির কারণে সংগঠনটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস যেমন জনগণ, আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও অস্তিত্ব নির্ভরশীল শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির ওপরই।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির আওতাধীন ২৭টি ইউনিট ও ২৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি। এ ছাড়া ১৫টি থানার মধ্যে একটি থানায় সম্মেলন হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের যে সকল কমিটির সম্মেলন হয়নি। সেগুলোর সম্মেলন মূলত পরিস্থিতিগত কারণে নয়, স্থানীয় নেতৃত্বের অনীহা ও আন্তরিকতার অভাবের কারণে হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য আনন্দ ও স্বস্তির দিন। কেননা এই দিনেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগসহ তার অধীনস্থ সকল স্তরের সাংগঠনিক কমিটিগুলোর সম্মেলন ও কমিটি গঠনের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাতে প্রত্যেক নেতা-কর্মীর মনোবল চাঙ্গা হয়েছে।

সভামঞ্চে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও মিলাদ মাহ‌ফিল

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও মিলাদ মাহ‌ফিল
ছবি: খবরের কাগজ

মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদা ভাই) ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) বাদ আসর উপজেলার দত্তপাড়ায় তার বাড়িতে এ দোয়া ও মিলাদ মাহ‌ফি‌ল অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়।

একইসঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় উপ‌স্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লী‌গের প্রেসি‌ডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, ফ‌রিদপুর-৪ আস‌নের সংসদ সদস্য মু‌জিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর জেলা প‌রিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর র‌শিদ খান, পু‌লিশ সুপার মাসুদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপ‌তি শাহাবু‌দ্দিন মোল্লা প্রমুখ।

তাছাড়া, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান আসিব, শিবচর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মু‌ক্তিযোদ্ধা আ. ল‌তিফ মোল্লা, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. মো. সেলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপ‌তি বীর মু‌ক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বি‌ভিন্ন পেশাজী‌বী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তারা মরহুম ই‌লিয়াস আহমেদ চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

রফিকুল ইসলাম/অমিয়/

সিলেট-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
সিলেট-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেট-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিলেটবাসী।

রবিবার (১৯ মে) বিকেল পাঁচটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেট এবং কক্সবাজার দুটো এলাকাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। সিলেট যেমন সুন্দর, সিলেটের মানুষজনও সৌন্দর্যপিপাসু ও ভ্রমণপ্রিয়। কিন্তু সিলেট থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম ‘প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত’ কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। ফলে সিলেটবাসীকে কক্সবাজার যেতে প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয়। এই ঝামেলা এড়াতে ও স্বল্প খরচে কক্সবাজার যেতে সিলেট-কক্সবাজার রুটে ট্রেন সার্ভিসের কোনো বিকল্প নেই। 

তারা বলেন, সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এটি। এই ট্রেন সার্ভিস চালু হলে সিলেট এবং কক্সবাজারের পর্যটন আরও সমৃদ্ধ হবে, ব্যবসায়িক যোগাযোগও বাড়বে। তাই এই রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু করা এখন সময়ের দাবি। 

বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের রেলপথ বরাবরই অবহেলিত। তাই এ বিষয়ে যারা সংসদ নেতা আছেন তাদেরকে সোচ্চার হতে হবে। এবং সিলেটের জনগণের দাবি সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত হবে।

মানববন্ধনের সমন্বয়কারী ফটোসাংবাদিক মামুন হোসেন, ফটো সাংবাদিক পল্লব ভট্টাচার্য, সাংবাদিক নাবিল এইচ জানান, সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু না হওয়া পর্যন্ত তারা সিলেটবাসীকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন।

গণমাধ্যমকর্মী নাবিল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশকর্মী ও দৈনিক খবরের কাগজের সিলেট ব্যুরোর ফটোসাংবাদিক মামুন হোসেন ও ফটোসাংবাদিক পল্লব ভট্টাচার্য।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাসদ মার্কসবাদী সিলেট জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি সজল ছত্রী, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্নয়ক আশরাফুল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত, সিলেট ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিলা ববি, যুব ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিউর রহমান, সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ,  ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, পরিবেশকর্মী শাহ সিকান্দর শাকির, সমাজকর্মী কয়েস আহমদ সাগর, সংস্কৃতিকর্মী জয়ন্ত কুমার দাস।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মামুন হাসান, ফটোসাংবাদিক এইচ এম শহিদুল ইমলাম, ফটোসাংবাদিক আজমল আলী, ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল, মাই টিভির সিলেট প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দাস, যমুনা টিভির ব্যুরো অফিসের ক্যামেরাপার্সন আহমদ শাহীন, ফটোসাংবাদিক এহিয়া আহমদ, ফটোসাংবাদিক কৃতিশ তালুকদার, বার্তাটুয়েন্টিফোরের সিলেট প্রতিনিধি মো. মোশাহিদ আলী, সংস্কৃতিকর্মী ও ডিবিসি নিউজের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার নয়ন সরকার নিমু, ফটোসাংবাদিক রেজুয়ান আহমদ, সিলেটভিউটুয়েন্টিফোরের রিপোর্টার নিবেন্দু তালুকদার, দৈনিক শ্যামল সিলেটের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রুম্মান আহমদ, ডিবিসি নিউজের সাস্ট প্রতিনিধি শাদমান সাবাব, যুক্তধারার সুরাইয়া আহমেদ রিমা প্রমূখ।

শাকিলা ববি/অমিয়/

মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ায় ২ পুলিশকে পিটিয়ে জখম, যুবক আটক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ায় ২ পুলিশকে পিটিয়ে জখম, যুবক আটক
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহীতে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করেছে মো. সোহান (২৩) নামে এক যুবক। 

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

হামলায় আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল শামীম হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আটক যুবক মো. সোহান রাজশাহীর কাটাখালী থানার শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। হামলার ঘটনার পর তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক জানান, তিনি একটি টিম নিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলেন। কনস্টেবল শামীম সে সময় সোহানের মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সংকেত দেন। সোহান মোটরসাইকেল থামিয়েই প্রশ্ন করেন, তার হেলমেট আছে, কাগজপত্রও আছে। তারপরেও কেন তাকে থামানো হলো। কনস্টেবল শামীম বলেন, কাগজপত্র থাকলে স্যারকে দেখান। এ সময় শামীমের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সোহান। এক পর্যায়ে কনস্টেবল শামীম মোটরসাইকেল থেকে চাবি খুলে নিয়ে তাকে ঘুষি মারেন সোহান। তখন আরেক কনস্টেবল শহিদুল তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাকেও একটি কাঠের চলা দিয়ে মারতে শুরু করেন সোহান। এতে শহিদুলের মুখে গুরুতর জখম হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় ওই যুবককে আটক করে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে সে থানা হেফাজতেই রয়েছে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

এনায়েত করিম/এমএ/

 

কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার হোমনায় সাদেক মিয়া নামে ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন। এছাড়া রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও প্রদান করা হয়।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার বরাত দিয়ে জানান, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই খুন হয় হোমনা উপজেলার ছোট গানিয়ারচর এলাকার ব্যবসায়ী মো. সাদেক মিয়া। ওই দিন দুপুরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে সাদেক মিয়ার হাত পা কেটে ধনিয়া ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকাল আটটায় মৃত্যুবরণ করে সাদেক মিয়া। এই ঘটনায় সাদেক মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার ১৮ জনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ শুনানির পর রবিবার আদালত সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী কামরুজ্জামান আরও জানান, নিহত সাদেক মিয়া মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি ও খালাসপ্রাপ্ত একজন উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী রেখা আক্তার জানান, আসামিরা সবাই সাদেক মিয়া পূর্ব পরিচিত। তাদের কাছে সাদেক মিয়া যেসব টাকা পায় সেগুলো যেন না দিতে হয় সেজন্য পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে আদালতের রায় কার্য করার দাবি জানান।

জহির শান্ত/এমএ/