সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (২০ মে) রাত ১০টার দিকে থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হচ্ছেন রোহান আহমদ (৩০) ও রাজু আহমদ (২৪)। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। তবে দুই পক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারী রোহান আহমদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার রাত ১০টার দিকে হাউজিং এস্টেট এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে রোহানসহ তার পক্ষের নেতা-কর্মীরা নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল করে পিয়াংয়ের খোঁজ নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রোহানের পক্ষের তিনটি মোটরসাইকেল আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় রোহান ও রাজু আহত হন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যোগাযোগ করলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা দুজনেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। দুই পক্ষের বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে কিছু অবহিত নন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আগুনে পোড়ানো তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষে দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। সংঘর্ষের ব্যাপারে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গত চার বছরেও দুটি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। দুটি কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন কমিটি ঘোষণায় একটি পক্ষ ও পুরোনো কমিটির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন নিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগে দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে।
এসবি/ইসরাত চৈতী/অমিয়/