![সাতক্ষীরার আয়কর অফিসে ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা](uploads/2023/11/30/1701334644.Untitled-1.jpg)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। চলছে টানা অবরোধ, হরতাল। তবে চলমান হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার আয়কর অফিসে। গতকাল বুধবার দিনভর আয়কর মাসের শেষ সময়েও মেলায় করদাতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন ২ হাজার ২৬টি রিটার্ন জমা পড়েছে। সবমিলিয়ে আয়কর মাসে রিটার্ন জমা হয়েছে ১৭ হাজার ২৬টি।
আয়কর মেলার আদলে কর অফিসে করদাতারা পাচ্ছেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। একই জায়গায় টিআইএন গ্রহণ, রিটার্ন জমাসহ আয়কর সংক্রান্ত সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ায় করদাতারা উৎসাহ নিয়েই আসছেন এখানে। তবে করদাতাদের অনেকে মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে উপ-করকমিশনার সার্কেল ১৩ খুলনা অঞ্চলের সাতক্ষীরা কার্যালয়ে যেয়ে দেখা গেছে, তথ্যকেন্দ্রসহ আশপাশের একাধিক টেবিলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ করছেন। পাশে নির্দিষ্ট আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়ার বুথে লাইন ধরে জমা নেওয়া হচ্ছে। আর আয়কর মাসের শেষ সময়ে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী হতে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা রিটার্ন দাখিল করছেন। কেউ বা কর প্রদানের চালান জমা দিচ্ছে আবার আয়কর প্রত্যয়ন গ্রহণ করছেন।
মমতাজ বেগম নামে এক স্কুলশিক্ষিকা বলেন, বেতন নেওয়ার জন্য আয়কর রিটার্নের প্রয়োজন। এ জন্য সেবাদাতাদের কাছে বসে ফরম পূরণ করছি যেন কাজটি নির্ভুল হয়।
আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে দেশে অবরোধ, হরতাল চলছে। এ ছাড়া আয়কর আইন ২০২৩ সম্পর্কে করদাতাদের পূর্ণ ধারণা নেই। এজন্য দেশের রাজনৈতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় বাড়ানো প্রয়োজন। তাহলে মানুষ স্বস্তিসহকারে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবে।
এ ব্যাপারে উপ-করকমিশনার সার্কেল ১৩ খুলনা অঞ্চলের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের উপ-করকমিশনার বিপুল কুমার সমাদ্দার জানান, কর সেবার মাস হিসেবে সাতক্ষীরায় করদাতাদের সেবা দিতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। আয়কর মেলার আদলে কর অফিসে করদাতারা পাচ্ছেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। অপরদিকে কর দেওয়া যাবে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানির মাধ্যমে এবং যেকোনো ব্যাংকের ভিসা বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বলে জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) থেকে আয়কর মাস উপলক্ষে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিল, কর অঞ্চলে হেল্প ডেস্কের পাশাপাশি রিটার্ন গ্রহণ বুথ স্থাপন ও গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সেই মোতাবেক শতভাগ নির্দেশনা মেনে কাজ করছি।’
হরতাল-অবরোধের প্রভাব রয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রতিদিন এখানে মানুষ ভিড় করছেন। আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। গতকাল (বুধবার) ২ হাজার ২৬টি রিটার্ন জমা পড়েছে। সবমিলিয়ে আয়কর মাসে রিটার্ন জমা হয়েছে ১৭ হাজার ২৬টি। যেটা আজ আরও বাড়তে পারে।