ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে ব্রয়লার মুরগির বাজার চড়া

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
চট্টগ্রামে ব্রয়লার মুরগির বাজার চড়া
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার একটি ব্রয়লার মুরগির খামার। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে দফায় দফায় বাড়ছে মুরগির দাম। ২০ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪৫ টাকা। বাচ্চার সরবরাহ কম ও খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন চট্টগ্রামের মুরগি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে পবিত্র শবে বরাত ও রোজার মাসকে পুঁজি করে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর। 

চলতি মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ১৬৫ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে কেজিতে নতুন করে আরও ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২০৫ টাকায়। বর্তমানে আরও ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ঠেকেছে ২১০ টাকা কেজি। 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, আজকের বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে ২১০ টাকায়।

মহানগরের কর্ণফুলী বাজারে মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ জসিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফার্মগুলো বাচ্চা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তাই খামারিরা জোগান দিতে পারছেন না। বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। পরিবহন খরচ আছে। দাম বাড়লে সমস্যা আমাদেরই হয়। সব জায়গায় জবাবদিহি করতে হয়। আমাদেরই বা কী করার আছে?’ 

খবরের কাগজ মুরগির খামারি ও ফিড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছে। খামারিরা জানান, বাচ্চার সরবরাহ কম। তার ওপর দামও অনেক বেশি। বর্তমানে প্রতিটি ব্রয়লার বাচ্চা ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। খাবারের দাম বেড়েছে। গত বছর প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) খাবার (ফিড) ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি মুরগিতে উৎপাদন খরচ হয় ১৩০ টাকা। খামার থেকে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজেই খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ২১০ টাকা হওয়াটা অস্বাভাবিক বলে জানান খামারিরা। তবে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বাচ্চার দাম বাড়েনি। পাশাপাশি খামারিদের চাহিদা অনুসারে বাচ্চা সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। ফিডের দাম তো নতুন করে বাড়েনি।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার মুরগির খামারি লিটন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ লিটন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার খামারে দুই হাজার বাচ্চা আছে। ৫৫ টাকায় প্রতি পিস বাচ্চা কিনেছি। খাবারের দামও বেড়েছে। মুরগির দাম ওঠানামা করে। আমরা এখন ১৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করছি। খুচরায় ২১০ টাকা বিক্রি হওয়া মানেই দামে কারসাজি চলছে।’ 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার খামারি মোহাম্মদ সাইফুল খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি তিন বছর ধরে মুরগির ব্যবসা করছি। বর্তমানে বাচ্চাসংকটের কারণে আমার তিনটি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খাবারের দাম কমলে ও বাচ্চার সরবরাহ বাড়লে এ খাতে উদ্যোক্তার সংখ্যা আরও বাড়তে।’ 

লোহাগাড়ার পোলট্রি খামারি জসিম উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, এক দিন বয়সী ব্রয়লার বাচ্চা এখন বাজারে নেই। খামারিরা ইচ্ছা করলেও বাচ্চা কিনতে পারছেন না। তার খামারেও ব্রয়লারের শেড খালি পড়ে আছে উল্লেখ করে বলেন, কিছু অখ্যাত কোম্পানি এক দিন বয়সী বাচ্চা বিক্রি করছে প্রতিটি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তাও সীমিত আকারে। অনেক খামারের শেড খালি পড়ে আছে। 

আসন্ন রমজানে মুরগির অভাব হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় কোম্পানিগুলো নিজেরাই মুরগি পালন করছে। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে তারাই ব্যবসা করবে। বর্তমানে এক দিন বয়সী একটি বাচ্চা কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। একটি পূর্ণবয়স্ক মুরগি বাজারে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দুই কেজি খাবার খায়। প্রতি কেজি ৭২ টাকা ধরলে দাম পড়ে ১৪৪ টাকা। তার সঙ্গে রয়েছে পরিচর্যা ও ওষুধ খরচ। যে কারণে খামারির খুব একটা লাভ হয় না। এখানে লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলে। 

সীতাকুণ্ডের ছকিনা পোলট্রির স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, বর্তমানে হ্যাচারিগুলো নির্দিষ্ট কিছু চুক্তিবদ্ধ ফার্মকে বাচ্চা সরবরাহ করছে। এর বাইরে তারা অন্য খামারিকে দিচ্ছে না। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক খামার। উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারদরে। 

নাহার অ্যাগ্রোর কর্মকর্তা মোহাম্মদ রানা খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা বাচ্চা ৪৯ টাকায় বিক্রি করছি। খাবার (ফিড) বিক্রি করছি ৭২ টাকা কেজি। খাবারের দাম নতুন করে বাড়েনি। পর্যাপ্ত পরিমাণে বাচ্চার সরবরাহ দিচ্ছি। খুচরায় মুরগির দাম বাড়ার কথা না। কেন বাড়ছে, সেটি বলতে পারছি না।’ 

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন কবির খবরের কাগজকে জানান, চাহিদা ও জোগানের ওপর মুরগির দাম নির্ভর করে। বর্তমানে চাহিদা বাড়ছে, তাই দামও বাড়ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ফিডের দামও। তবে দাম বাড়লেও তাতে কৃষকের কোনো লাভ নেই। সরকার এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চার দাম বেঁধে দিলেও ফিডের দাম সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা নেই। তাই লাভের টাকা বাচ্চা ও ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পকেটেই চলে যায়। 

ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সামনে শবে বরাত। এরপর আসছে রোজা। গত বছরও এ সময়ে মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কাজেই বারবার এটিই প্রমাণিত হচ্ছে, সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছেন। প্রশাসনের অভিযান বা নজরদারি দৃশ্যমান নয়। ফলে যে যার মতো করে দাম নিচ্ছেন। সরকারের উচিত ভোগ্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছি। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে আমরা ছাড় দেব না। পাশাপাশি অভিযোগ জানালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চাল-চিনি-আটা আগের দামেই

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
চাল-চিনি-আটা আগের দামেই
ছবি : সংগৃহীত

সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা, মেঘনাসহ অন্যান্য কোম্পানির অসংখ্য গাড়ি ঢাকায় এসেছে। সরবরাহ বেড়েছে আটা, চিনি, তেল, লবণের। নওগাঁ, দিনাজপুর, শেরপুরসহ অন্য জেলা থেকে বিভিন্ন কোম্পানির চালও বিভিন্ন বাজারে এসেছে। সারা দেশে কারফিউ জারি করা হলেও সহিংসতার আতঙ্ক কাটেনি ড্রাইভারদের। 

মালিক সমিতি দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলে রাজি হওয়ায় ভয়ের মধ্যেই বিভিন্ন জেলা ও মিল থেকে ঢাকায় চাল, আটা, চিনিভর্তি ট্রাক আনছেন। এর ফলে সরবরাহ অনেক বেড়েছে। দাম বাড়েনি। আগের দামেই এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
মোহাম্মদপুর এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার। তারপরও কৃষিমার্কেট বাজারে গতকাল দেখা গেছে বিভিন্ন দোকানে চালভর্তি ট্রাক আনলোড করা হচ্ছে। রাসেল এন্টারপ্রাইজের সুমন খবরের কাগজকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের নামে সহিংসতার পর সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কারফিউ জারির ৬ দিন পর কৃষিমার্কেটে বৃহস্পতিবার প্রচুর চালের ট্রাক এসেছে। তাই দাম বাড়েনি। পাইকারি পর্যায়ে ৬৩-৬৫ টাকা কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাক মালিকরা এখনো গাড়ি পোড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছেন। এ জন্য ভাড়া বেশি নিচ্ছেন।’
 
অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীও বলছেন, সারা দেশে সহিংসতা চলতে থাকায় কয়েক দিন কোনো চালের গাড়ি আসেনি। গতকাল অনেক গাড়ি আসে। সেই গাড়ির চাল আনলোড করা হচ্ছে। এ সময় শফিক নামে এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, ‘ভয়ে আতঙ্কের মধ্যেই শেরপুর থেকে চাল আনা হয়েছে। সকালে এসেছি। আজ এই মার্কেট বন্ধ। তাই আস্তে ধীরে ট্রাক আনলোড করা হচ্ছে।’ 

এই বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা সারোয়ার বলেন, ‘দাম বাড়েনি। আগের মতোই মিনিকেট ৭০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫ টাকা ও মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ 

সরবরাহ ও দামের ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারের নোয়াখালী রাইস এজেন্সির মো. ইউসুফ বলেন, ‘সহিংসতার কারণে কয়েক দিন চাল না এলেও মজুত একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। চাল আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বেড়েছে। দাম বাড়েনি। আগের মতোই মিনিকেট ৭০ টাকা কেজি, আটাশ ৫৫ টাকা ও মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০-১৪০ টাকা কেজি।’ 

এই বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের বিক্রয়কর্মী শামীম বলেন, ‘কয়েক দিন পর গতকাল সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা, মেঘনাসহ অন্যান্য কোম্পানির গাড়ি এসেছে। এসব গাড়িতে প্রচুর আটা, চিনি, তেল, লবণ এসেছে। কোনো জিনিসের দাম বড়েনি। আগের মতোই ২ কেজি আটা ১০০-১২০ টাকা, ১লিটার তেল ১৬৫ টাকা, ৫ লিটার ৮০০ টাকা, মসুর ডাল ১২০-১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশে কারফিউ জারি করেছে। তবে কেনাকাটাসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে প্রতিদিন। এ সময় দোকান খোলা হচ্ছে। প্রথম দিন বিক্রির হিড়িক পড়লেও পরে বিক্রি কমে গেছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ বাজারে আসেন না। আগের মতো বিক্রি হয় না।’ 

এই বাজারে সোনালি ব্রয়লার হাউসের মালিক লিটন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আগের চেয়ে পরিস্থিতি ভালোর দিকে। বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগি আসছে। এ জন্য আগের চেয়ে দামও কমেছে। ব্রয়লার ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ অন্য বিক্রেতারাও কম দামে মুরগি বিক্রি করছেন। 

এদিকে চালের আরেক মোকাম বাদামতলিতেও চালের দাম বাড়েনি বলে বিক্রেতারা জানান। দামের ব্যাপারে এই বাজারের সলিমুল্লাহ বলেন, ‘গতকাল প্রচুর চালের ট্রাক এসেছে। এ জন্য দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে নাবিল, এসিআই, আকিজ, মজুমদারের মিনিকেট ৬৩-৬৭ টাকা কেজি, আটাশ ৫২ টাকা ও মোটা চাল ৪৫ টাকা কেজি। অন্য চাল ব্যবসায়ীরাও বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর সরকার দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিলে গতকাল প্রচুর চালের ট্রাক বাজারে এসেছে।’ 

এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগের চেয়ে রাজধানীতে ডিমের গাড়িও বেশি এসেছে বলে জানা গেছে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ বলেন, ‘আগের চেয়ে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমেছে। গতকাল বিভিন্ন মোকাম থেকে ১৮-২০ লাখ পিস ডিম এসেছে। ১০০ ডিম বিক্রি করা হয়েছে ১১০০ টাকা বা ডজন ১৩২ টাকা। যা আগের চেয়ে কম।’ সেই ডিম টাউনহল বাজার ও কারওয়ান বাজারে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতে সেই ডিম সরবরাহের অজুহাতে ১৬০-১৬৫ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সাদেক খান বাজার, যাত্রাবাড়ীতে আগের চেয়ে বেশি করে সবজি আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। বিভিন্ন মোকাম থেকে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের সরবরাহ বেড়েছে বলে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান। এসব পেঁয়াজ বিভিন্ন বাজারে খুচরা বিক্রেতারা ১১৫-১২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, আদা ২৮০-৩০০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। 

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৭ এএম
সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তির টাকা জমা করতে না পারায় হঠাৎ করেই তারল্যসংকটে পড়েছে দেশের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক। সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন শেষে তাই গ্রাহকের নগদ অর্থের চাহিদা পূরণ করতে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারল্যসংকট পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল বুধবার ব্যংকগুলোকে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। 

অ্যাশিওরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও ইসলামী ব্যাংক লিকুইডিটি সাপোর্ট (আইবিএলএস)-এর আওতায় প্রথাগত বাণিজ্যিক ব্যাংক (কনভেনশনাল কমার্শিয়াল ব্যাংক) ও ইসলামী ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত নীতি সুদহারে (পলিসি রেট বা রেপো রেট) এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নীতি সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘ব্যাংক খোলা থাকলে একটা নিয়মিত অর্থপ্রবাহ থাকে। যেমন গ্রাহক তার সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তির টাকা জমা দেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে সাধারণ ছুটি থাকায় প্রায় এক সপ্তাহব্যাপী লেনদেন হয়নি ব্যাংকে। তাই ব্যাংকে নগদ টাকা জমা পড়েনি। এখন যে তারল্যসংকট তা সাময়িক।’ 

তিনি বলেন, ‘তার পরও ব্যাংকে নগদ অর্থের চাহিদার চাপ আমাদের ধারণার চেয়ে কম হয়েছে। এখনো ব্যাংকের সেবা সীমিত পর্যায়ে আছে। ব্যাংকগুলো পূর্ণ মাত্রায় চালু হলে এ-সংকট থাকবে না।’

উল্লেখ্য, এএলএস ও আইবিএলএস-এর মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে গত ১৮ জুলাই ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ধার নিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর ২৪ জুলাই ব্যাংকগুলো মোট ২০৪টি আবেদনের বিপরীতে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার নেয়।

হিসাব অনুযায়ী ১৮ জুলাইয়ের তুলনায় ২৪ জুলাইয়ে দেওয়া ধারের পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বা ৩৪.২৯ শতাংশ বেশি।

এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ পিএম
এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল দেশের পুঁজিবাজার। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তবে আগের কর্মদিবসে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি টাকার নিচে। অপরদিকে আজ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ কোটি ৫১ লাখ টাকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ঘোষিত তিন দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গতকাল বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। ওই দিন উভয় পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। লেনদেন নেমে আসে তলানিতে। তবে এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার।

এদিকে আগের কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও কাজ করেনি মোবাইল অ্যাপ। ফলে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারেননি। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের গতিও ছিল কম। অবশ্য সবগুলো ব্রোকারেজ হাউস নির্ধারিত সময়ে লগইন করে লেনদেনে অংশ নিতে পেরেছে। তাদের লেনদেনেও সমস্যা হয়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও গতকাল বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সীমিত পরিসরে চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। ব্যাংক খোলায় পুঁজিবাজারেও লেনদেন শুরু হয়। তবে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

গতকাল নির্ধারিত সময় বেলা ১১টায় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে কিছু কিছু জায়গায় ইন্টারনেটে সমস্যা হওয়ায় লেনদেনে তার প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ে মোবাইল অ্যাপ। ফলে ডিএসইতে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যায়। একই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় স্থান পায় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকের বড় পতন হয়।

তবে বৃহস্পতিবার মোবাইল অ্যাপ কাজ না করলেও বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হন। এতে বেড়ে যায় ক্রেতার সংখ্যা। এর ফলে ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। এদিন দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। পাশাপাশি মূল্যসূচকেরও বড় উত্থান হয়।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৮৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬ প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ ছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতিও। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, ইন্টারনেটের গতিও কিছুটা কম ছিল। তবে এদিন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ভালো ছিল। যার ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েছে।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৯টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির। এদিন লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এল ২৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এল ২৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ
ছবি : খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত দুদিনে প্রায় ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।

তিনি জানান, মঙ্গল ও বুধবার স্থলবন্দর দিয়ে ১২৪ ট্রাকে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। এর মধ্যে মঙ্গলবার আসে ৮১ ট্রাক ও বুধবার আসে ৪৩ ট্রাক। খালাসের পর পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, এর আগে কারফিউ ও সাধারণ ছুটির কারণে গত রবি ও সোমবার বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।

এদিকে ভারত থেকে আমদানি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। 

জহুরুল ইসলাম/সালমান/

ভারতে সোনার দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
ভারতে সোনার দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ফের বেড়েছে সোনার দাম। এক দিনেই বেড়েছে প্রায় ১ হাজার রুপি। বুধবার (২৪ জুলাই) কলকাতায় ১০ গ্রাম সোনার (২৪ ক্যারেট) দাম দাঁড়ায় ৭৫ হাজার ২০০ রুপি, আগের দিন মঙ্গলবারের তুলনায় যা ৯০০ টাকা বেশি। আর জিএসটি যোগ করলে তা দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৪৫৬ রুপিতে। স্বর্ণশিল্প মহলের একাংশের মতে, এ‌ ধারা অব্যাহত থাকলে স্বর্ণ কিনতে গিয়ে আরও চাপে পড়বেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে গহনার ব্যবসায়ীরা তথা কারিগররাও। 

সোনার দামের এই লাফের পেছনে আমেরিকায় সুদের হার কমার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠাকে দায়ী করছেন স্বর্ণশিল্প-সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধিও এতে জ্বালানি জুগিয়েছে বলে মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, আমেরিকায় জুন মাসে মূল্যবৃদ্ধি মে মাসের ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। 

মূলধনি বাজারে জোর গুজব, এর ফলে সেপ্টেম্বরের বৈঠকেই সুদ কমাতে চলেছে সে দেশের শীর্ষ ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। যেটা হলে লগ্নিকারীরা আরও বেশি করে সোনার দিকে ঝুঁকবেন। আর সেটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ববাজারে পাকা সোনার দামকে, এদিন যা প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে ২৪৭২ দশমিক ২০ ডলারে। গতকালের থেকে ৪৭ দশমিক ২০ ডলার বেশি। 

বুলিয়ন মার্চেন্ট সংস্থা জে জে গোল্ডের এমডি হর্ষদ অজমেড়া বলেন, আমেরিকায় সুদ কমলে লগ্নির ক্ষেত্র হিসেবে জৌলুস হারাবে স্থায়ী আমানত। সেটা আঁচ করে লগ্নিকারীরা এখন থেকেই সোনায় টাকা ঢালছেন, যা বাড়াচ্ছে দাম। অনেকে ডলার থেকে লগ্নি তুলেও সোনায় ঢালছেন বলে খবর রয়েছে।

সোনার দাম আগামী দিনে রকেট-গতিতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শ্যাম মেহরা। তিনি বলেন, মনে করা হচ্ছে চলতি বছরেই আমেরিকায় দুই দফায় সুদ কমানো হবে। তার জেরে দ্রুত বাড়বে সোনায় লগ্নি। হিসাবমতো দেওয়ালির সময়েই ১০ গ্রাম পাকা সোনা ৮০ হাজার রুপিতে ঠেকতে পারে।

এই খবরে কপালে ভাঁজ গহনা ব্যবসায়ীদেরও। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এমডি শুভঙ্কর সেন বলেন, রথযাত্রা ইতাদি উৎসবের হাত ধরে কিছু দিন আগে পর্যন্ত গহনার চাহিদা ছিল ভালোই। কিন্তু অল্প সময়ে দাম এতটা বাড়ায় বিক্রি কিছুটা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। একই উদ্বেগের কথা জানিয়ে বনগাঁর গহনা ব্যবসায়ী বিনয় সিংহ বলছেন, ‘দর ৭০ হাজার রুপির আশপাশে থাকাকালে বিক্রি ভালো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরে তা বাড়ছে শুধু নয়, এদিন তো প্রায় এক ধাক্কায় ১ হাজার রুপি উঠল। ফলে বেশ চিন্তায় আছি।’

গহনার ছোট ব্যবসায়ী ও কারিগরদের সংগঠন বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের আবার আশঙ্কা, ছোট দোকানে চাহিদা আগে থেকেই কম ছিল। এই অবস্থা চললে আরও কমবে। কারিগরদের কাজ পেতে সমস্যা হবে। তবে ব্যবসায়ী মহলের অন্য অংশের মতে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেভাবে বড় উৎসব নেই। ফলে এখনই বিশাল প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। কিন্তু পুজো বা ধনতেরসের সময়েও দর চড়া থাকলে কী হবে সেটাই চিন্তার। সূত্র: আনন্দবাজার